ডিসিসি নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে পারে না-ভোক্তা অধিকার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত
‘ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার’ বলে বাংলায় যে প্রবাদটি আছে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি)। প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয়র মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব বিএসটিআইয়ের হলেও তৈরি খাবারের মান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখভাল করার কথা ঢাকা সিটি করপোরেশনের।
কিন্তু এর জন্য যে লোকবল ও সরঞ্জাম দরকার, তার কিছুই নাকি তাদের নেই। ডিসিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রমজান মাসে ইফতারিসহ তৈরি খাবারে ভেজাল প্রতিরোধের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার সব প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় লোকবল ও ম্যাজিস্ট্রেটের অভাবে তাঁরা সেই কাজটি করতে পারেননি। ডিসিসি কি ভ্রাম্যমাণ আদালতের জন্য সরকারের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছিল? চাইলে সরকারের জবাব কী ছিল, তা দেশবাসী জানতে চায়। আর না চাইলে সেই প্রশ্নের জবাব ডিসিসিকেই দিতে হবে।
নগরবাসী মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ, রাস্তাগুলোর অবস্থা শোচনীয়। রাস্তায় ঠিকমতো বাতি জ্বলে না। এসব দিকে ডিসিসির নজর আছে বলে মনে হয় না। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যতটা উৎসাহী, নগরবাসীর সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে ততটাই নিস্পৃহ। পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে তিনি আট বছরেরও বেশি সময় মেয়র পদে বহাল আছেন। কাউন্সিলরদের অবস্থাও তা-ই। খোদ প্রধানমন্ত্রীও নগরবাসীর দুর্ভোগের জন্য মেয়রের সমালোচনা করেছেন। তার পরও ডিসিসির নির্বাচন না করার কী কারণ থাকতে পারে?
অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয়র মান নিয়ন্ত্রণের কাজটিও বিএসটিআই যথাযথভাবে করতে পারছে না লোকবলের অভাবে। বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয়টি, এর সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দুটি যোগ হলে আটটি আদালত দিয়ে মহানগরের হাজার হাজার কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মান তদারক করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে ভেজাল ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রমজান মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে ভেজাল পণ্য উৎপাদকেরা অধিক সক্রিয়। এমনকি সৌদি আরব থেকে আমদানি করা খেজুরেও ফরমালিন মেশানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডিসিসি বা বিএসটিআইয়ের লোকবল আছে কি নেই, তা জনগণের দেখার বিষয় নয়। জনগণ দেখতে চায়, ভেজালবাজদের হাত থেকে ভোক্তাদের রক্ষায় তারা প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। নিম্নমান ও ভেজাল পণ্যের মহোৎসবে ডিসিসি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।
নগরবাসী মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ, রাস্তাগুলোর অবস্থা শোচনীয়। রাস্তায় ঠিকমতো বাতি জ্বলে না। এসব দিকে ডিসিসির নজর আছে বলে মনে হয় না। এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যতটা উৎসাহী, নগরবাসীর সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে ততটাই নিস্পৃহ। পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে তিনি আট বছরেরও বেশি সময় মেয়র পদে বহাল আছেন। কাউন্সিলরদের অবস্থাও তা-ই। খোদ প্রধানমন্ত্রীও নগরবাসীর দুর্ভোগের জন্য মেয়রের সমালোচনা করেছেন। তার পরও ডিসিসির নির্বাচন না করার কী কারণ থাকতে পারে?
অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয়র মান নিয়ন্ত্রণের কাজটিও বিএসটিআই যথাযথভাবে করতে পারছে না লোকবলের অভাবে। বিএসটিআইয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত ছয়টি, এর সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের দুটি যোগ হলে আটটি আদালত দিয়ে মহানগরের হাজার হাজার কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মান তদারক করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ কারণে ভেজাল ও নিম্নমানের খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। রমজান মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে ভেজাল পণ্য উৎপাদকেরা অধিক সক্রিয়। এমনকি সৌদি আরব থেকে আমদানি করা খেজুরেও ফরমালিন মেশানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডিসিসি বা বিএসটিআইয়ের লোকবল আছে কি নেই, তা জনগণের দেখার বিষয় নয়। জনগণ দেখতে চায়, ভেজালবাজদের হাত থেকে ভোক্তাদের রক্ষায় তারা প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে। নিম্নমান ও ভেজাল পণ্যের মহোৎসবে ডিসিসি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।
No comments