বইমেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যে বইগুলো সহজেই লেখা যেত
যে বইগুলোর নাম বলব, সেগুলো আরও বহু যুগ আগেই লেখা হয়ে গেছে। তবে বইগুলো আরও সহজেই লেখা যেত, যদি বইমেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো যেত। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ইকবাল খন্দকার কয়েক দিন ধরে মেলা প্রাঙ্গণে পানি ছিটানো হচ্ছে না, এদিকে আবার ঠাটা রোদ, মানুষের ভিড়ও বেসামাল।
এই অবস্থায় যদি রবীন্দ্রনাথ একদিন মেলায় চক্কর দিতে আসতেন, তাহলে তাঁর চোখে যে পরিমাণ ধুলোবালি পড়ত আর তাতে যে অভিজ্ঞতাটা হতো, তিনি নিমেষেই লিখে ফেলতে পারতেন—
চোখের বালি
দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে স্টল, ততই বাড়ছে মেলার দর্শনার্থী। ফলে মেলার ছোট একটা অংশ চলে গেছে বাংলা একাডেমীর বাইরে। ভবিষ্যতে হয়তো অর্ধেক মেলা হবে বাংলা একাডেমীর ভেতরে, বাকি অর্ধেক হবে বাইরে। যা-ই হোক, ভেতর ও বাইরে—এই দুই অবস্থায় মেলাকে দেখলে রবিঠাকুর স্বাচ্ছন্দ্যে লিখে ফেলতে পারতেন—
ঘরে-বাইরে
এখন কাগজ-কালির দাম বেড়েছে। ফলে বইয়ের যে দাম এখন রাখা হয়, তাতে যে কেউ সাময়িকভাবে হলেও দেউলিয়া হতে পারে। কিন্তু নজরুল ইসলাম যদি মেলায় এসে ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’ কথায় বিশ্বাসী হয়ে বই কিনতেই থাকতেন, তাহলে খালি পকেটে লিখে ফেলতেন—
রিক্তের বেদন
বইয়ের দাম যতই বেশি হোক না কেন, বই কিনে না হয় কেউ দেউলিয়া হলোই না, কিন্তু ঝুঁকি আরও আছে। মনে করুন, নজরুল এসে তাঁর বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে বইমেলার ক্যানটিনে ঢুকলেন। বন্ধুদের বললেন যাঁর যা ইচ্ছে খাওয়ার জন্য। অবশেষে বিল দেওয়ার পর আর্থিক অবস্থা যেখানে গিয়ে দাঁড়াবে, সেখান থেকে সহজেই এই বই লেখা যায়—
সর্বহারা
বইমেলা মূলত বই কেনাবেচার জায়গা হলেও এই জায়গাটিকে আজকাল প্রেমিক-প্রেমিকারা ডেটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে। গত পয়লা ফাল্গুনের কথা ধরা যাক। পুরো বইমেলা সেদিন হলুদ হয়ে গিয়েছিল শাড়ির হলুদ রঙে। পল্লিকবি জসীমউদ্দীন যদি এই দৃশ্য দেখতেন তাহলে হয়তো মেলার লেখককুঞ্জে বসেই লিখে ফেলতেন—
হলুদ পরির দেশে
চোখের বালি
দিন যত যাচ্ছে ততই বাড়ছে স্টল, ততই বাড়ছে মেলার দর্শনার্থী। ফলে মেলার ছোট একটা অংশ চলে গেছে বাংলা একাডেমীর বাইরে। ভবিষ্যতে হয়তো অর্ধেক মেলা হবে বাংলা একাডেমীর ভেতরে, বাকি অর্ধেক হবে বাইরে। যা-ই হোক, ভেতর ও বাইরে—এই দুই অবস্থায় মেলাকে দেখলে রবিঠাকুর স্বাচ্ছন্দ্যে লিখে ফেলতে পারতেন—
ঘরে-বাইরে
এখন কাগজ-কালির দাম বেড়েছে। ফলে বইয়ের যে দাম এখন রাখা হয়, তাতে যে কেউ সাময়িকভাবে হলেও দেউলিয়া হতে পারে। কিন্তু নজরুল ইসলাম যদি মেলায় এসে ‘বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না’ কথায় বিশ্বাসী হয়ে বই কিনতেই থাকতেন, তাহলে খালি পকেটে লিখে ফেলতেন—
রিক্তের বেদন
বইয়ের দাম যতই বেশি হোক না কেন, বই কিনে না হয় কেউ দেউলিয়া হলোই না, কিন্তু ঝুঁকি আরও আছে। মনে করুন, নজরুল এসে তাঁর বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে বইমেলার ক্যানটিনে ঢুকলেন। বন্ধুদের বললেন যাঁর যা ইচ্ছে খাওয়ার জন্য। অবশেষে বিল দেওয়ার পর আর্থিক অবস্থা যেখানে গিয়ে দাঁড়াবে, সেখান থেকে সহজেই এই বই লেখা যায়—
সর্বহারা
বইমেলা মূলত বই কেনাবেচার জায়গা হলেও এই জায়গাটিকে আজকাল প্রেমিক-প্রেমিকারা ডেটিং স্পট হিসেবেও ব্যবহার করে থাকে। গত পয়লা ফাল্গুনের কথা ধরা যাক। পুরো বইমেলা সেদিন হলুদ হয়ে গিয়েছিল শাড়ির হলুদ রঙে। পল্লিকবি জসীমউদ্দীন যদি এই দৃশ্য দেখতেন তাহলে হয়তো মেলার লেখককুঞ্জে বসেই লিখে ফেলতেন—
হলুদ পরির দেশে
No comments