চরাচর-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মোশারফ হোসেন by ফখরে আলম
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে অ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেনের মাথার দাম ছিল এক লাখ টাকা। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তিনিই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার অনুরোধ জানান।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বর্ণাঢ্য এই রাজনৈতিক নেতা মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে ১৯৭৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি যশোরের গুরুদাস বাবু লেনের নিজ বাসভবনে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। দুর্বৃত্তের হাতে নিহত তিনিই এ দেশের একজন প্রথম সংসদ সদস্য। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সুরেন্দ্রনাথ আইন মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় মোশারফ হোসেন রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
পূর্ব পাকিস্তানে এসে তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি যশোর অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে তিনি যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যশোরের ছাত্রজনতাকে সংগঠিত করে তিনি স্থানীয়ভাবে বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে একটি বৃহৎ বাহিনী গড়ে তোলেন। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জীবিত অথবা মৃত মোশারফ হোসেনের মাথার দাম এক লাখ টাকা ঘোষণা করে। ২৬ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মোশারফ হোসেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ২৭ মার্চ তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের পেট্রাপোলে যান। একাত্তরের ৯ মাস কলাকাতায় অবস্থান করে মোশারফ হোসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছেন। আট নম্বর সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। একাত্তরের ১১ মার্চ প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সমাবেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। ১৯৭২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তিনি সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। মোশারফ হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী ছিলেন।
দীর্ঘ ৩৮ বছরেও খ্যাতিমান এই রাজনীতিক হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। ৩ ফেব্রুয়ারি মোশারফ হোসেনের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে তাঁর ছবির সামনে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে থাকেন আর কাঁদেন। প্রিয় মানুষটির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁদের নায়ককে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ফখরে আলম
পূর্ব পাকিস্তানে এসে তিনি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানে তিনি যশোর অঞ্চলে নেতৃত্ব দেন। ১৯৭০ সালে তিনি যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যশোরের ছাত্রজনতাকে সংগঠিত করে তিনি স্থানীয়ভাবে বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে একটি বৃহৎ বাহিনী গড়ে তোলেন। এ সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জীবিত অথবা মৃত মোশারফ হোসেনের মাথার দাম এক লাখ টাকা ঘোষণা করে। ২৬ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী মোশারফ হোসেনের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। ২৭ মার্চ তিনি বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের পেট্রাপোলে যান। একাত্তরের ৯ মাস কলাকাতায় অবস্থান করে মোশারফ হোসেন মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেছেন। আট নম্বর সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। একাত্তরের ১১ মার্চ প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সমাবেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। ১৯৭২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তিনি সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। মোশারফ হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী ছিলেন।
দীর্ঘ ৩৮ বছরেও খ্যাতিমান এই রাজনীতিক হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। ৩ ফেব্রুয়ারি মোশারফ হোসেনের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে তাঁর ছবির সামনে মাথা নত করে দাঁড়িয়ে থাকেন আর কাঁদেন। প্রিয় মানুষটির প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে তাঁদের নায়ককে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
ফখরে আলম
No comments