হন্তারক যন্ত্রদানব-নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কোথাও নেই!
শিশুর কাছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় তার মা। সেই মায়ের হাত, নিরাপদ হাতও রক্ষা করতে পারছে না শিশুকে। হন্তারক যন্ত্রদানবের আগ্রাসন সেখানেও। এবার চাপা দিয়েছে স্কুলগামী ছাত্রী মুনতাহাকে। হামিম, তানজিমের পর এবার ঘাতক বাসের শিকার শিশু মুনতাহা। শৈশবেই সে পরিচয় দিয়েছে মেধার। ক্লাসে প্রথম হয়েছে।
তাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল মা-বাবার। সেই স্বপ্নের অকালমৃত্যু ঘটল। স্কুল থেকে প্রথম স্থান অধিকার করার পুরস্কার এনে বাড়ির সবাইকে দেখানোর কথা ছিল তার। বাবা ছিলেন ঘরে, তার ফিরে আসার অপেক্ষায়, আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। ঘাতক বাস সেই আনন্দ কেড়ে নিল। যেখানে আনন্দে ভেসে যাওয়ার কথা ছিল সবার, সেখানে বেদনার সাগরে ভাসছে একটি পরিবার। বাসচালকের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিল একটি সম্ভাবনা। নিভিয়ে দিল জীবনপ্রদীপ। কেড়ে নিল একটি পরিবারের সব আনন্দ। গত বৃহস্পতিবার মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছিল শিশু মুনতাহা। তার ওপর উঠে যায় ঘাতক বাস।
রাস্তায় বের হয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা এখন যেন আর কারো নেই। যে মানুষটি সুস্থ দেহে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে, সে যে নিরাপদে বাড়িতে আবার ফিরে আসবে, এমন নিশ্চয়তা কেউ এখন দিতে পারে না। এই অনিশ্চয়তার চূড়ান্ত পরিণতি কার সন্তানকে কখন বরণ করতে হবে, সেটাও কারো জানা নেই। কারণ পথের ধারেই ওত পেতে আছে মৃত্যু_হোক সে দেশের যেকোনো এলাকার সড়ক কিংবা মহাসড়ক কিংবা খোদ এই রাজধানী ঢাকার কোনো রাজপথ। যথাযথ প্রশিক্ষণবিহীন চালক চালিত কিংবা ফিটনেসবিহীন যন্ত্রদানবের চাকা কখন কার ওপর উঠে যাবে, কারো জানা নেই। বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ঝুঁকির ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘটিত দুই হাজার ৬৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৪৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। পুলিশের রেকর্ড বলছে, এসব দুর্ঘটনায় ২০১১ সালে বিভিন্ন মামলায় দুই হাজার ৫৮৬ জনকে আসামি করা হলেও মাত্র ৪২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১২৫ জনই বাসচালক। আরেক তথ্যে জানা যায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় ৩৩৭ জন আসামিই বাসচালক। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির একটি উদাহরণও কি আছে? একটি উদাহরণ অন্তত সৃষ্টি করা গেলে হয়তো চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা অনেকটাই রোধ করা যেত। অন্যদিকে ২০১১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে রাজধানী ঢাকায়। রাজধানীর ২০০ ইন্টারসেকশনের মধ্যে ৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে নগরীতে রাস্তা পারাপারের প্রয়োজনীয় ওভারব্রিজ ও মহাসড়কে শোল্ডার নেই। ঢাকায় ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে। দেশের রাস্তায় চলাচল করছে ফিটনেসবিহীন লাখখানেক গাড়ি। এ ছাড়া পাঁচ লাখ গাড়ি চলছে অবৈধ লাইসেন্সে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের ৫৮ শতাংশই পথচারী। গবেষকদের হিসাবে, দেশে দিনে গড়ে কমপক্ষে ৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এই প্রাণহানির বড় কারণ বৈধ লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া চালক। বেশির ভাগ চালকই প্রশিক্ষণ নেন না। আবার এই অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সুপারিশ করছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের একটি অংশ। দায়িত্বশীল অনেককে এ ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ হতেও দেখেছি আমরা।
কিন্তু এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারকে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে যায়। মুনতাহার অকালমৃত্যু তার পরিবারের যে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, সে ক্ষতি কেউ পূরণ করতে পারবে না। এভাবে প্রতিদিন প্রতিকারহীনভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশের অসংখ্য পরিবার। তাদের দেখার কেউ নেই।
এভাবেই কি অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে প্রতিদিন পথে বের হতে হবে আমাদের? এভাবেই কি জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে পথ চলতে হবে? একটু নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কি কোনো দিন কোথাও পাওয়া যাবে না?
রাস্তায় বের হয়ে নিরাপদে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার নিশ্চয়তা এখন যেন আর কারো নেই। যে মানুষটি সুস্থ দেহে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে, সে যে নিরাপদে বাড়িতে আবার ফিরে আসবে, এমন নিশ্চয়তা কেউ এখন দিতে পারে না। এই অনিশ্চয়তার চূড়ান্ত পরিণতি কার সন্তানকে কখন বরণ করতে হবে, সেটাও কারো জানা নেই। কারণ পথের ধারেই ওত পেতে আছে মৃত্যু_হোক সে দেশের যেকোনো এলাকার সড়ক কিংবা মহাসড়ক কিংবা খোদ এই রাজধানী ঢাকার কোনো রাজপথ। যথাযথ প্রশিক্ষণবিহীন চালক চালিত কিংবা ফিটনেসবিহীন যন্ত্রদানবের চাকা কখন কার ওপর উঠে যাবে, কারো জানা নেই। বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ঝুঁকির ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে সংঘটিত দুই হাজার ৬৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় দুই হাজার ৪৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। পুলিশের রেকর্ড বলছে, এসব দুর্ঘটনায় ২০১১ সালে বিভিন্ন মামলায় দুই হাজার ৫৮৬ জনকে আসামি করা হলেও মাত্র ৪২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১২৫ জনই বাসচালক। আরেক তথ্যে জানা যায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় ৩৩৭ জন আসামিই বাসচালক। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির একটি উদাহরণও কি আছে? একটি উদাহরণ অন্তত সৃষ্টি করা গেলে হয়তো চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা অনেকটাই রোধ করা যেত। অন্যদিকে ২০১১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বেশি প্রাণহানি ঘটেছে রাজধানী ঢাকায়। রাজধানীর ২০০ ইন্টারসেকশনের মধ্যে ৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে নগরীতে রাস্তা পারাপারের প্রয়োজনীয় ওভারব্রিজ ও মহাসড়কে শোল্ডার নেই। ঢাকায় ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে। দেশের রাস্তায় চলাচল করছে ফিটনেসবিহীন লাখখানেক গাড়ি। এ ছাড়া পাঁচ লাখ গাড়ি চলছে অবৈধ লাইসেন্সে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের ৫৮ শতাংশই পথচারী। গবেষকদের হিসাবে, দেশে দিনে গড়ে কমপক্ষে ৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। এই প্রাণহানির বড় কারণ বৈধ লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া চালক। বেশির ভাগ চালকই প্রশিক্ষণ নেন না। আবার এই অদক্ষ চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সুপারিশ করছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের একটি অংশ। দায়িত্বশীল অনেককে এ ব্যাপারে উচ্চকণ্ঠ হতেও দেখেছি আমরা।
কিন্তু এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারকে একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে যায়। মুনতাহার অকালমৃত্যু তার পরিবারের যে অপূরণীয় ক্ষতি করেছে, সে ক্ষতি কেউ পূরণ করতে পারবে না। এভাবে প্রতিদিন প্রতিকারহীনভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে দেশের অসংখ্য পরিবার। তাদের দেখার কেউ নেই।
এভাবেই কি অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে প্রতিদিন পথে বের হতে হবে আমাদের? এভাবেই কি জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে পথ চলতে হবে? একটু নিরাপত্তার নিশ্চয়তা কি কোনো দিন কোথাও পাওয়া যাবে না?
No comments