পুলিশের চাঁদাবাজি
দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে নিরাপত্তাহীন সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? ডাকাত-সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজের হাতে তারা অনেক দিন ধরেই জিম্মি। এবার কি তাদের পুলিশের হাতেও জিম্মি হতে হবে? মানুষের নিরাপত্তাবিধানের জন্য যে পুলিশ বাহিনীর জন্ম, সেই পুলিশেরই কোনো দল যদি নাগরিককে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে,
ডাকাতি করে, তাহলে নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিরাপত্তা সংরক্ষণ করবে কে? এমন প্রশ্নই আসে রাজশাহীতে এক চিকিৎসক দম্পতির অবস্থা দেখে। এটা অভাবনীয় হলেও সত্য যে রাজশাহীতে এক চিকিৎসক দম্পতিকে জিম্মি করে এক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবারের পত্রিকায় বড় করে এ খবর ছাপা হয়েছে। চিকিৎসক চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার সময় যে টাকা পেয়েছিলেন, সেই টাকা দিয়ে রসুন কিনেছিলেন কিছু বাড়তি অর্থ রোজগারের আশায়। আর সেটাই কাল হয়েছে তাঁদের জন্য। সোর্সের মাধ্যমে সেই খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। তাদের সেই কাজটিকে 'অবৈধ' আখ্যায়িত করে এবং গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে এক লাখ টাকা আদায় করে নেয় পুলিশ।
রাজশাহীর এ ঘটনাই একমাত্র ঘটনা নয়। পুলিশের এ ধরনের বেআইনি ও অনৈতিক কাজকর্মের খবর প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। ফলে তাদের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। আর নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত পুলিশের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা যদি কমে যায়, তাহলে তাদের সহিষ্ণুতাও কমে যায়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাও কমে যায়। একপর্যায়ে সাধারণ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়। সারা দেশে গণপিটুনির ঘটনাগুলো তা-ই প্রমাণ করে। এটা ঠিক, রাজশাহী বা আরো কিছু জায়গার ঘটনা গোটা বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর কাজ বলে গণ্য করা যায় না। কিন্তু এক মণ দুধের মধ্যে যেমন এক ফোঁটা গোচনাই দুধের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করে দিতে পারে, তেমনি এ রকম কিছু সদস্যের কারণেও গোটা পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট হতে পারে। পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্নকারী পুলিশের যথাযথ শাস্তি বিধান করা অপরিহার্য। পুলিশ বাহিনীর সুনাম রক্ষায় পুলিশকেই কঠোর হতে হবে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় রাজশাহীতে একজন সহকারী কমিশনারসহ বাহিনীর সাত সদস্যের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরো তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ জনগণের নিরাপত্তাবিধান তাদের প্রধান দায়িত্ব, পবিত্র আমানত। কাজেই তাদের এই অপরাধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই দেখতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে সাধারণ মানুষের আস্থায় রাখতেই হবে; তা না হলে গোটা দেশই অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।
রাজশাহীর এ ঘটনাই একমাত্র ঘটনা নয়। পুলিশের এ ধরনের বেআইনি ও অনৈতিক কাজকর্মের খবর প্রায়ই প্রকাশিত হচ্ছে। ফলে তাদের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। আর নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত পুলিশের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা যদি কমে যায়, তাহলে তাদের সহিষ্ণুতাও কমে যায়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাও কমে যায়। একপর্যায়ে সাধারণ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয়। সারা দেশে গণপিটুনির ঘটনাগুলো তা-ই প্রমাণ করে। এটা ঠিক, রাজশাহী বা আরো কিছু জায়গার ঘটনা গোটা বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর কাজ বলে গণ্য করা যায় না। কিন্তু এক মণ দুধের মধ্যে যেমন এক ফোঁটা গোচনাই দুধের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করে দিতে পারে, তেমনি এ রকম কিছু সদস্যের কারণেও গোটা পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট হতে পারে। পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্নকারী পুলিশের যথাযথ শাস্তি বিধান করা অপরিহার্য। পুলিশ বাহিনীর সুনাম রক্ষায় পুলিশকেই কঠোর হতে হবে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় রাজশাহীতে একজন সহকারী কমিশনারসহ বাহিনীর সাত সদস্যের বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরো তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ জনগণের নিরাপত্তাবিধান তাদের প্রধান দায়িত্ব, পবিত্র আমানত। কাজেই তাদের এই অপরাধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই দেখতে হবে। পুলিশ বাহিনীকে সাধারণ মানুষের আস্থায় রাখতেই হবে; তা না হলে গোটা দেশই অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে।
No comments