গুলিতে নিহতের ঘটনা-লক্ষ্মীপুরে ওসিসহ ৫২ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর শহরে চারদলীয় জোটের গণমিছিলে হামলা, গুলি করে দুজনকে হত্যা ও দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্থানীয় বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলাটি করেন লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।


মামলায় লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ছারোয়ার ও পরিদর্শক (তদন্ত) লিটন দেওয়ান, ছয়জন উপপরিদর্শক (এসআই), ছয়জন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও ৩২ জন কনস্টেবলসহ পুলিশের মোট ৫২ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আরজিতে বলা হয়, গত রোববার সকালে চারদলের নেতা-কর্মীরা উত্তর তেমুহনী ও দক্ষিণ তেমুহনীতে জড়ো হয়ে গণমিছিল নিয়ে শহরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বেপরোয়া লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় আতঙ্কগ্রস্ত নেতা-কর্মীরা যখন পালাতে থাকেন, তখন এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে যুবদলের কর্মী মো. রুবেল ও বিএনপির কর্মী আবুল কাসেম নিহত হন। এ ছাড়া আরও ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জুলফিকার আলী মামলাটি গ্রহণ করে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি গোলাম ছারোয়ার গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার জানামতে, ওই দিন পুলিশ কোনো ভুল করেনি।’
গুলি না হলে আরও লাশ পড়ত: লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের ঘটনা তদন্তে গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক বিশ্বাস আফজাল হোসেন বলেছেন, চাঁদপুরে ওই দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি না ছুড়লে হয়তো আরও লাশ পড়ত। গতকাল চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
আফজাল হোসেন বলেন, ওই দিন চারদলীয় জোটের গণমিছিলের নামে প্রস্তুত হয়ে বিএনপি-যুবদলের দুই পক্ষ শক্তি প্রদর্শন করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
বিশ্বাস আফজাল জানান, স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষক, অভিভাবক, দোকানদার, সিএনজির চালক ও চিসিৎসকসহ প্রায় ৫০ জনের সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত দল। এ ছাড়া ওই দিনের বিভিন্ন আলামত ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.