শেষ কথার দুঃখগাথা
‘তুমি কখন ফিরবে? আজও কি অনেক রাত হবে? নাজা (মেয়ে) কাঁদছে’—স্ত্রী বাবলির এমন অনুযোগে স্বামী লোকমান হোসেনের জবাব ছিল, ‘না, আজ আর গভীর রাত করব না। এক ঘণ্টার মধ্যে বান্দা হাজির হবে।’ রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধি স্বামীর আশ্বাসে আস্থা আছে স্ত্রী বাবলি আক্তারের। তাই শিশুসন্তানকে বলেছেন, ‘আর কান্না করতে হবে না, তোমার বাবা কিছুক্ষণের মধ্যে আসবে।’
কিন্তু রাত পেরিয়ে, পরদিন দুপুর গড়িয়ে লোকমান বাড়ি ফিরেছেন। শুধু পরিবারকে কাঁদিয়ে নয়, নরসিংদীবাসীকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে মেয়র লোকমান হোসেন এসেছেন লাশ হয়ে। স্বামীর মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে বাবলি আক্তার সংজ্ঞাহীন। কিছুটা সংবিৎ ফিরে পেলে আর্তনাদ হয়ে বেরিয়ে আসছিল স্বামীর সঙ্গে শেষ এই কথোপকথন। পরিবারের সদস্যরা জানান, মুঠোফোনের সেই আলাপের ১৫ মিনিট পরই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢুকে এক সন্ত্রাসী গুলি করে হত্যা করে জনপ্রিয় রাজনীতিক আর আদর্শ এই মেয়রকে। স্ত্রী-সন্তানকে বেশি রাত না করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষটি যেন হারিয়ে যান রাতের আঁধারে।
গতকাল বিক্ষুব্ধ কর্মীরা যখন মহাসড়ক অবরোধ করছে, জ্ঞানশূন্য ক্ষোভের আগুনে পোড়াচ্ছে ট্রেন, তখন শোকাহত পৌরবাসীর ঢল নামে মেয়র লোকমানের বাড়িতে। পরিবারের সদস্য আর প্রতিবেশী নারীরা সান্ত্বনা দেওয়ার নিষ্ফল চেষ্টা করছেন বাবলিকে। বিড়বিড় করে বলছিলেন, ‘রাজনীতি করার কারণে সন্তানেরা বাবাকে খুব বেশি কাছে পেত না। মেয়র হওয়ার পর তার দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। রাত একটার আগে বাড়ি ফিরতে পারত না। বাড়িতে এলেও উপায় নেই। ড্রয়িংরুমে লোকজন অপেক্ষা করছে। বড় সন্তান নাজা রাগ করত। লোকমানও বুঝত। আদর দিয়ে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত।’
বাবলি বলেন, ‘দুর্ঘটনার মাত্র ১৫ মিনিট আগে লোকমানের সাথে আমার কথা হয়। অভিযোগ করার পর কাল সে এমনভাবে বলল—তার কথায় বিশ্বাস রেখেছিলাম।’ চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস রাখলে কী হবে, সন্ত্রাসীরা তো বিশ্বাস রাখতে দিল না। আমার সন্তানদের এতিম করে দিল।’
লোকমান হোসেনের একমাত্র মেয়ে নাজার বয়স এখন পাঁচ বছর। সে স্থানীয় শিউলীবাগ কিন্ডারগার্টেনে প্লে গ্রুপে পড়ছে। ছেলে সালফির বয়স দেড় বছর।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ব্যস্ততা মেয়র লোকমানকে পরিবার থেকে কিছুটা আলাদা করে ফেললেও নাজাকে প্রায়ই স্কুলে পৌঁছে দিতেন তিনি। বাবার কাছে এবার নাজার আবদার ছিল, ঈদে লাল গরু কিনে দিতে হবে। মেয়ের আবদার রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বাবা।
গতকাল বিক্ষুব্ধ কর্মীরা যখন মহাসড়ক অবরোধ করছে, জ্ঞানশূন্য ক্ষোভের আগুনে পোড়াচ্ছে ট্রেন, তখন শোকাহত পৌরবাসীর ঢল নামে মেয়র লোকমানের বাড়িতে। পরিবারের সদস্য আর প্রতিবেশী নারীরা সান্ত্বনা দেওয়ার নিষ্ফল চেষ্টা করছেন বাবলিকে। বিড়বিড় করে বলছিলেন, ‘রাজনীতি করার কারণে সন্তানেরা বাবাকে খুব বেশি কাছে পেত না। মেয়র হওয়ার পর তার দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। রাত একটার আগে বাড়ি ফিরতে পারত না। বাড়িতে এলেও উপায় নেই। ড্রয়িংরুমে লোকজন অপেক্ষা করছে। বড় সন্তান নাজা রাগ করত। লোকমানও বুঝত। আদর দিয়ে পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করত।’
বাবলি বলেন, ‘দুর্ঘটনার মাত্র ১৫ মিনিট আগে লোকমানের সাথে আমার কথা হয়। অভিযোগ করার পর কাল সে এমনভাবে বলল—তার কথায় বিশ্বাস রেখেছিলাম।’ চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস রাখলে কী হবে, সন্ত্রাসীরা তো বিশ্বাস রাখতে দিল না। আমার সন্তানদের এতিম করে দিল।’
লোকমান হোসেনের একমাত্র মেয়ে নাজার বয়স এখন পাঁচ বছর। সে স্থানীয় শিউলীবাগ কিন্ডারগার্টেনে প্লে গ্রুপে পড়ছে। ছেলে সালফির বয়স দেড় বছর।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ব্যস্ততা মেয়র লোকমানকে পরিবার থেকে কিছুটা আলাদা করে ফেললেও নাজাকে প্রায়ই স্কুলে পৌঁছে দিতেন তিনি। বাবার কাছে এবার নাজার আবদার ছিল, ঈদে লাল গরু কিনে দিতে হবে। মেয়ের আবদার রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বাবা।
No comments