পার্লারের আড়ালে... by রুদ্র মিজান
নায়িকা
হিসেবেই লোকজনের কাছে পরিচিত। বিভিন্ন টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন। প্রায়ই
শুটিংয়ের নাম করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছুটে যান। নিজের নামে আছে একটি
বিউটি পার্লার। এই পার্লার ও অভিনয়ের আড়ালে দীর্ঘদিন থেকেই অনৈতিক কাজ
করছিলেন এই নায়িকা। তার নাম তানিন শোভা ওরফে রওশন আক্তার তানিন। তার অনৈতিক
কর্মকাণ্ডের বিষয়ে এলাকাবাসী অনেকেই জানেন। কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস নেই
কারও। কারণ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আয়ত্তে রেখেছেন তানিন। তার
পার্লারের এক কর্মীর অভিযোগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তানিন। অভিযোগ ওই কর্মীকে
জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা। দায়েরকৃত মামলায় গত বৃহস্পতিবার আদালত
তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন। এর আগে বুধবার বিকালে রাজধানীর সবুজবাগ
থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতিতা তরুণীর মা।
বৃহস্পতিবার সরজমিন ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তানিনের চলাফেরা ছিল রহস্যজনক। বিত্তশালী যুবকদের সঙ্গে ছিল তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। সন্ধ্যার পরই তানিনকে পার্লার কিংবা বাসায় পাওয়া যেতো না। সন্ধ্যার পর একেক দিন একেক গাড়ি এসে থামতো বাসাবোর স্কাইভিউ মার্কেটের সামনে। এতে চড়েই চলে যেতেন তানিন। আশেপাশের সবার কাছে নিজেকে নায়িকা হিসেবেই পরিচয় দিতেন তিনি। যে কারণে নায়িকার এরকম রহস্যময় চলাফেরা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেনি। স্কাইভিউ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতি সন্ধ্যায় কোথায় যান জানতে চাইলে তানিন তাকে জানিয়েছিলেন শুটিংয়ে।
বাসাবোর কদমতলার ওয়াসা রোডের ৬৫/৩ স্কাইভিউ শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে তার মালিকানাধীন তানিন’স বিউটি পার্লার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার। অভিযোগ রয়েছে, ওই পার্লারে চাকরি দেয়া ও অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের বিপথগামী করেন তিনি। বিষয়টি এলাকার মানুষ অবগত থাকলেও মুখ খুলতেন না কেউ। কারণ হিসেবে জানা গেছে তানিনের সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধ ওই এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
তানিনের পার্লারে কাজ করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব হারাতে বসেছিলেন এক তরুণী। ওই তরুণীও তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পার্লারের কাজ ছাড়াও শুটিংয়ে নিয়ে যেতেন ওই তরুণীকে। সেখানে কয়েক জন প্রযোজক ও পরিচালকের লোলুপ দৃষ্টিতে পড়েন তিনি। তবে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করেন এই তরুণী। ওই তরুণী জানান, দীর্ঘ প্রায় এক বছরে অসংখ্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন তানিন।
ওই তরুণী জানান, তানিনসহ তার ঘনিষ্ঠ অনেকেই নাটকে অভিনয় ও আইটেম গানের নামে অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন। সুন্দরী তরুণীদের এরকম একটি গ্রুপের মূল হোতা তানিন। অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক মেয়েকে এই অন্ধকার পথে ঠেলে দিয়েছেন তিনি ।
পার্লারের চাকরির জন্য, পেটের দায়ে এসবই দেখে দেখে হজম করতে হয়েছে এই তরুণীকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঝড় আসে তার নিজের ওপর। টাকার বিনিময়ে নাট্য জগতের একজনের সঙ্গে তাকে রাতযাপনের প্রস্তাব দেন তানিন। ওই তরুণী বলেন, তখনই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হন তানিন। পরে পার্লারে যাওয়া বন্ধ করে দেন এ তরুণী। এ তরুণী তানিনের নানা অপকর্মের কথা তার বয়ফ্রেন্ডকে জানিয়ে দেন। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। ক্ষুব্ধ তানিন ছুটে যান ওই পার্লার সংলগ্ন তরুণীর বাসায়। সেখান থেকে তরুণীকে বাসায় নিয়ে যান টেনে হিঁচড়ে। বাসায় নিয়ে তাকে বেদম প্রহার করা হয়। খবর পেয়ে সবুজবাগ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই তরুণীর মা জানান, তার মেয়েকে দিয়ে জোর করে অনৈতিক কার্যকলাপ করাতে মারধর করেছে তানিন।
এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে রওশন আক্তার তানিন, তার মা তাসলিমা বেগম ও সহযোগী মাছুমকে আটক করা হয়। সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, তানিন মূলত একজন দেহব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে বাসাবো কদমতলি এলাকার একটি বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলো সে। প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান ওসি।
বৃহস্পতিবার সরজমিন ঘটনাস্থলে গেলে কথা হয় ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তানিনের চলাফেরা ছিল রহস্যজনক। বিত্তশালী যুবকদের সঙ্গে ছিল তার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক। সন্ধ্যার পরই তানিনকে পার্লার কিংবা বাসায় পাওয়া যেতো না। সন্ধ্যার পর একেক দিন একেক গাড়ি এসে থামতো বাসাবোর স্কাইভিউ মার্কেটের সামনে। এতে চড়েই চলে যেতেন তানিন। আশেপাশের সবার কাছে নিজেকে নায়িকা হিসেবেই পরিচয় দিতেন তিনি। যে কারণে নায়িকার এরকম রহস্যময় চলাফেরা নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেনি। স্কাইভিউ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতি সন্ধ্যায় কোথায় যান জানতে চাইলে তানিন তাকে জানিয়েছিলেন শুটিংয়ে।
বাসাবোর কদমতলার ওয়াসা রোডের ৬৫/৩ স্কাইভিউ শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে তার মালিকানাধীন তানিন’স বিউটি পার্লার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার। অভিযোগ রয়েছে, ওই পার্লারে চাকরি দেয়া ও অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের বিপথগামী করেন তিনি। বিষয়টি এলাকার মানুষ অবগত থাকলেও মুখ খুলতেন না কেউ। কারণ হিসেবে জানা গেছে তানিনের সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধ ওই এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
তানিনের পার্লারে কাজ করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব হারাতে বসেছিলেন এক তরুণী। ওই তরুণীও তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পার্লারের কাজ ছাড়াও শুটিংয়ে নিয়ে যেতেন ওই তরুণীকে। সেখানে কয়েক জন প্রযোজক ও পরিচালকের লোলুপ দৃষ্টিতে পড়েন তিনি। তবে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করেন এই তরুণী। ওই তরুণী জানান, দীর্ঘ প্রায় এক বছরে অসংখ্য যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক করেছেন তানিন।
ওই তরুণী জানান, তানিনসহ তার ঘনিষ্ঠ অনেকেই নাটকে অভিনয় ও আইটেম গানের নামে অনৈতিক কাজ করে বেড়াচ্ছেন। সুন্দরী তরুণীদের এরকম একটি গ্রুপের মূল হোতা তানিন। অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক মেয়েকে এই অন্ধকার পথে ঠেলে দিয়েছেন তিনি ।
পার্লারের চাকরির জন্য, পেটের দায়ে এসবই দেখে দেখে হজম করতে হয়েছে এই তরুণীকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঝড় আসে তার নিজের ওপর। টাকার বিনিময়ে নাট্য জগতের একজনের সঙ্গে তাকে রাতযাপনের প্রস্তাব দেন তানিন। ওই তরুণী বলেন, তখনই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকে। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হন তানিন। পরে পার্লারে যাওয়া বন্ধ করে দেন এ তরুণী। এ তরুণী তানিনের নানা অপকর্মের কথা তার বয়ফ্রেন্ডকে জানিয়ে দেন। এরপরেই ঘটে বিপত্তি। ক্ষুব্ধ তানিন ছুটে যান ওই পার্লার সংলগ্ন তরুণীর বাসায়। সেখান থেকে তরুণীকে বাসায় নিয়ে যান টেনে হিঁচড়ে। বাসায় নিয়ে তাকে বেদম প্রহার করা হয়। খবর পেয়ে সবুজবাগ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই তরুণীর মা জানান, তার মেয়েকে দিয়ে জোর করে অনৈতিক কার্যকলাপ করাতে মারধর করেছে তানিন।
এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে রওশন আক্তার তানিন, তার মা তাসলিমা বেগম ও সহযোগী মাছুমকে আটক করা হয়। সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, তানিন মূলত একজন দেহব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে বাসাবো কদমতলি এলাকার একটি বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলো সে। প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানান ওসি।
No comments