ব্যর্থ হলে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন -শরণার্থী সংকট নিয়ে মগেরিনি
জার্মানি-অস্ট্রিয়া সীমান্তে অপেক্ষার পর জার্মানিতে ঢুকছে শরণার্থীরা। -রয়টার্স |
ইউরোপে
চলমান শরণার্থীর স্রোত সামলাতে না পারলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভেঙে
যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ কথা বলেছেন খোদ ইইউর পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক
প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনি।
এদিকে গ্রিসের উপকূলে শরণার্থী বহনকারী নৌকাডুবির দুটি পৃথক ঘটনায় গত বুধবার ১০ জন শিশুসহ ১৫ জন মারা গেছে। এ ঘটনায় ৩৮ জন নিখোঁজ হয়েছে। খবর এএফপির।
ইতালির একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন ফেদেরিকা মগেরিনি।
মগেরিনি বলেন, পুরো ইউরোপের এই সংকট সামলাতে ইইউ কেবল এ সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর তৎপরতার দিকে যদি চেয়ে থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। জনমনে অসন্তোষ বাড়বে। সরকারগুলোর মধ্যেও ভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া হবে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সংকট মোকাবিলায় ইইউকে আরও সংহত হতে হবে বলে মনে করেন মগেরিনি। এর ব্যত্যয় হলে মগেরিনির ভাষায়, ইইউর ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।
গত বুধবার অস্ট্রিয়া শরণার্থীদের অব্যাহত স্রোত ‘নিয়ন্ত্রণে’ স্লোভেনিয়া-সংলগ্ন সীমান্তে বেড়া দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পরই মগেরিনি গতকাল কথাগুলো বললেন।
এদিকে বিপৎসংকুল সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে গ্রিসের লেসবস ও সামোস দ্বীপের কাছে নৌকা ডুবে নিহত হয়েছে ১৫ জন। এদের মধ্যে ১০ জনই শিশু। গ্রিসের সমুদ্র উপকূলরক্ষী বাহিনী গতকাল জানায়, লেসবস দ্বীপের উত্তরে নৌকা ডুবে সাতজন মারা যায়। ওই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে ৩৮ জন। দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা থেকে ২৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার নৌকাডুবির পর সারা রাত ধরে উদ্ধার অভিযান চলে। গতকালও তিনটি হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
বুধবার আরেক দুর্ঘটনায় সামোস দ্বীপ থেকে ১২৩ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেন উপকূলরক্ষীরা।
তুরস্ক উপকূল থেকে গ্রিসের লেসবসের দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। ইউরোপমুখী শরণার্থীদের বেশির ভাগই এখন এ পথ দিয়েই ইউরোপে ঢুকছে।
এদিকে শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য ইইউর বেঁধে দেওয়া কোটা চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে হাঙ্গেরি। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিকটর অরবানের দপ্তরের মন্ত্রী জানোস ল্যাজার বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে গ্রহণ করবে না হাঙ্গেরি। আমাদের মত হলো, যারা আসছে তাদের গ্রিসে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।’ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ল্যাজার। ইইউর পরিকল্পনা অনুযায়ী হাঙ্গেরিকে ৪০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গ্রিসের উপকূলে শরণার্থী বহনকারী নৌকাডুবির দুটি পৃথক ঘটনায় গত বুধবার ১০ জন শিশুসহ ১৫ জন মারা গেছে। এ ঘটনায় ৩৮ জন নিখোঁজ হয়েছে। খবর এএফপির।
ইতালির একটি দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন ফেদেরিকা মগেরিনি।
মগেরিনি বলেন, পুরো ইউরোপের এই সংকট সামলাতে ইইউ কেবল এ সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর তৎপরতার দিকে যদি চেয়ে থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। জনমনে অসন্তোষ বাড়বে। সরকারগুলোর মধ্যেও ভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া হবে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সংকট মোকাবিলায় ইইউকে আরও সংহত হতে হবে বলে মনে করেন মগেরিনি। এর ব্যত্যয় হলে মগেরিনির ভাষায়, ইইউর ভাঙনের ঝুঁকি রয়েছে।
গত বুধবার অস্ট্রিয়া শরণার্থীদের অব্যাহত স্রোত ‘নিয়ন্ত্রণে’ স্লোভেনিয়া-সংলগ্ন সীমান্তে বেড়া দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পরই মগেরিনি গতকাল কথাগুলো বললেন।
এদিকে বিপৎসংকুল সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে গ্রিসের লেসবস ও সামোস দ্বীপের কাছে নৌকা ডুবে নিহত হয়েছে ১৫ জন। এদের মধ্যে ১০ জনই শিশু। গ্রিসের সমুদ্র উপকূলরক্ষী বাহিনী গতকাল জানায়, লেসবস দ্বীপের উত্তরে নৌকা ডুবে সাতজন মারা যায়। ওই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে ৩৮ জন। দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা থেকে ২৪২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার নৌকাডুবির পর সারা রাত ধরে উদ্ধার অভিযান চলে। গতকালও তিনটি হেলিকপ্টার উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
বুধবার আরেক দুর্ঘটনায় সামোস দ্বীপ থেকে ১২৩ জন শরণার্থীকে উদ্ধার করেন উপকূলরক্ষীরা।
তুরস্ক উপকূল থেকে গ্রিসের লেসবসের দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। ইউরোপমুখী শরণার্থীদের বেশির ভাগই এখন এ পথ দিয়েই ইউরোপে ঢুকছে।
এদিকে শরণার্থীদের গ্রহণ করার জন্য ইইউর বেঁধে দেওয়া কোটা চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছে হাঙ্গেরি। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিকটর অরবানের দপ্তরের মন্ত্রী জানোস ল্যাজার বলেন, ‘কোনো শরণার্থীকে গ্রহণ করবে না হাঙ্গেরি। আমাদের মত হলো, যারা আসছে তাদের গ্রিসে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।’ গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ল্যাজার। ইইউর পরিকল্পনা অনুযায়ী হাঙ্গেরিকে ৪০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে হবে বলে জানান তিনি।
No comments