মশা থেকে বাঁচতে ৬টি খাবারের ব্যাপারে সাবধান থাকুন
মশা
কি আপনাকে কামড়াতে পছন্দ করে? আপনি কি জানেন, মানুষের রক্তের ধরণ, শরীরের
তাপমাত্রা, কাপড়ের রঙের ওপর নির্ভর করে যে মশা কাকে কামড়াবে বা কাকে
কামড়াবে না?
কারণ, অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, কাউকে মশা বেশি কামড়ায়, কাউকে কম কামড়ায়। আবার কেউ কেউ আছেন যাদের মশা একেবারেই কামড়ায় না। এখানে আরেকটি কথা বলে রাখি, মশা শুধু আমাদের শরীরের রক্তই শুষে নেয় না, নানান ধরনের অসুখ-বিসুখও ছড়ায়। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর প্রভৃতি রোগ ছড়ায়। আরেকটি তথ্য অনেকেই হয়তো জানেন না যে, অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশাই কেবল স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত শুষে নেয়।
মশার কামড় থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মশার কামড় থেকে বাঁচতে ৬টি খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যাদেরকে মশা বেশি কামড়ায়, তাদেরকে বিয়ারসহ অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হ্যাঁ, যারা নিয়মিত বিয়ার বা মদ্যপান করেন, তাদের রক্ত মশাদের বেশি প্রিয়। কারণ, অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় পান করার পর শরীরে রক্তের ঘনত্ব এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এটি মশাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। সেক্ষেত্রে মশা আপনাকে কামড়াবে এই আশঙ্কা বেশি দেখা দেয়।
হ্যাঁ, কলার অনেক গুণ রয়েছে। তবে, কলা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ, কলা খেলে আমাদের শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। আর ল্যাকটিক অ্যাসিড সহজেই মশাকে আকর্ষণ করতে পারে। সেজন্য কলা ও আলু খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান। যদি খেতেই হয়, তবে খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বা মশার সংস্পর্শে না-যাওয়াই কল্যাণকর।
লবণজাতীয় খাবারে প্রচুর ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। তাই যারা বেশি বেশি লবণজাতীয় বা লবণমিশ্রিত খাবার খান, তাদের মশার কামড় খাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন।
আপনাদের অনেকে নিশ্চিয়ই আইসক্রিম ও কেকজাতীয় মিষ্টি খাবার পছন্দ করেন? আমিও খুব পছন্দ করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এসব খাবার খেলে মশা আকৃষ্ট হয়। তাই আজ থেকে এসব খাবার খাওয়ার সাথে সাথে বাইরে যাওয়া বা মশা সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া কিছুটা সময় পর বাইরে যেতে পারেন।
যাদের রক্তে কলেস্টরেলের মাত্রা বেশি, তাদের রক্ত মশা খুব পছন্দ করে। অতএব রক্তের কলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে রাখুন, মশার কামড় থেকে বাঁচুন। তা ছাড়া, রক্তে কলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ রাখা বেঁচে থাকার জন্যও জরুরি। আর মাংসজাতীয় খাবার খেলেই যাদের রক্তের কলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে যায়, তারা মাংসজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন বা এ জাতীয় খাবার কম কম খান। আপনারা বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে পারেন। মশা শাক-সবজি পছন্দ করে না।
দুধ, দই ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর ল্যাকটিক এসিড থাকে। , ল্যাকটিক এসিডের প্রতি মশাদের দুর্বলতা আছে। দুধ বা দই তো খেতেই হবে। কিন্তু মশার কামড় থেকে বাঁচতে এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর মশাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য আমরা তো ৬টি খাবারের ব্যাপারে শ্রোতাদের সাবধানে থাকতে বললাম। সমস্যা হচ্ছে, এসব খাবারের অধিকাংশই আমাদের প্রিয়। তার পরও সাবধান থাকেই হবে, তাই না? তো, এখন আমরা এমন আরো ৬টি পরামর্শ শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরবো যা বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন। এসব পরামর্শ মেনে চললে আশা করা যায় যে মশার কামড় থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
প্রথম পরামর্শ হচ্ছে, কালো রঙের কাপড় এড়িয়ে চলুন। কারণ, মশারা কালো রঙের কাপড়-পরা মানুষের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে। অতএব পারতপক্ষে কালো রঙের কাপড় পরবেন না।
দ্বিতীয় পরামর্শটি হচ্ছে : নিয়মিত পায়ে মোজা পড়ুন। গরমকালে অনেকেই মোজা পায়ে দিতে চান না। আরে সেই সুযোগ গ্রহণ করে মশারা। আসলে গরমকালেও মোজা ছাড়া জুতো পরা উচিত নয়। প্রথম প্রথশ গরম অনুভূত হলেও, পরে কিন্তু ঠিকই অভ্যাস হয়ে যাবে।
ঘরে মেন্থল রাখুন। মেন্থলের গন্ধ মশারা পছন্দ করে না।
নিয়মিত গোসল করুন। শরীর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন এবং সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন এমনিতেই গোসল করা উচিত। এতে বোনাস হিসেবে পাওয়া যাবে মশার হাত থেকে রেহাই। নিদেনপক্ষে, মশার হামলা এতে কমবে—কোনো সন্দেহ নাই। যারা নানান কারণে, নিয়মিত গোসল করেন না, তারা আশা করি এ অভ্যাস বদলাবেন।
সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না, বা করলেও কম করবেন। মিষ্টি গন্ধ মশাদের প্রিয়। সুগন্ধি মানেই তো মিষ্টি গন্ধ, তাই না। বাইরে গেলেই যাদের ওপর মশা ঝাপিয়ে পরে, তারা পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে দেখুন, উপকার পাবেন।
যারা ভাবছেন, সুগন্ধি ব্যবহার না-করলে নিজের শরীরের দুর্গন্ধ কীভাবে দূর করবেন, তাদের জন্যও একটা উপায় আছে। আজকের ৬ নম্বর পরামর্শ হচ্ছে : মশা পছন্দ করে না এমন গন্ধযুক্ত পারফিউম ব্যবহার করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু গন্ধ আছে যার প্রভাবে মশা দূর হয়। যেমন, লেবুর গন্ধ।
কারণ, অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, কাউকে মশা বেশি কামড়ায়, কাউকে কম কামড়ায়। আবার কেউ কেউ আছেন যাদের মশা একেবারেই কামড়ায় না। এখানে আরেকটি কথা বলে রাখি, মশা শুধু আমাদের শরীরের রক্তই শুষে নেয় না, নানান ধরনের অসুখ-বিসুখও ছড়ায়। মশার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়া, পীত জ্বর প্রভৃতি রোগ ছড়ায়। আরেকটি তথ্য অনেকেই হয়তো জানেন না যে, অধিকাংশ প্রজাতির স্ত্রী মশাই কেবল স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত শুষে নেয়।
মশার কামড় থেকে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মশার কামড় থেকে বাঁচতে ৬টি খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যাদেরকে মশা বেশি কামড়ায়, তাদেরকে বিয়ারসহ অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হ্যাঁ, যারা নিয়মিত বিয়ার বা মদ্যপান করেন, তাদের রক্ত মশাদের বেশি প্রিয়। কারণ, অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় পান করার পর শরীরে রক্তের ঘনত্ব এবং শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এটি মশাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। সেক্ষেত্রে মশা আপনাকে কামড়াবে এই আশঙ্কা বেশি দেখা দেয়।
হ্যাঁ, কলার অনেক গুণ রয়েছে। তবে, কলা খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ, কলা খেলে আমাদের শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। আর ল্যাকটিক অ্যাসিড সহজেই মশাকে আকর্ষণ করতে পারে। সেজন্য কলা ও আলু খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান। যদি খেতেই হয়, তবে খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বা মশার সংস্পর্শে না-যাওয়াই কল্যাণকর।
লবণজাতীয় খাবারে প্রচুর ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। তাই যারা বেশি বেশি লবণজাতীয় বা লবণমিশ্রিত খাবার খান, তাদের মশার কামড় খাওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাই এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন।
আপনাদের অনেকে নিশ্চিয়ই আইসক্রিম ও কেকজাতীয় মিষ্টি খাবার পছন্দ করেন? আমিও খুব পছন্দ করি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এসব খাবার খেলে মশা আকৃষ্ট হয়। তাই আজ থেকে এসব খাবার খাওয়ার সাথে সাথে বাইরে যাওয়া বা মশা সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া কিছুটা সময় পর বাইরে যেতে পারেন।
যাদের রক্তে কলেস্টরেলের মাত্রা বেশি, তাদের রক্ত মশা খুব পছন্দ করে। অতএব রক্তের কলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে রাখুন, মশার কামড় থেকে বাঁচুন। তা ছাড়া, রক্তে কলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণ রাখা বেঁচে থাকার জন্যও জরুরি। আর মাংসজাতীয় খাবার খেলেই যাদের রক্তের কলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে যায়, তারা মাংসজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন বা এ জাতীয় খাবার কম কম খান। আপনারা বেশি বেশি শাক-সবজি খেতে পারেন। মশা শাক-সবজি পছন্দ করে না।
দুধ, দই ইত্যাদি খাদ্যে প্রচুর ল্যাকটিক এসিড থাকে। , ল্যাকটিক এসিডের প্রতি মশাদের দুর্বলতা আছে। দুধ বা দই তো খেতেই হবে। কিন্তু মশার কামড় থেকে বাঁচতে এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর মশাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য আমরা তো ৬টি খাবারের ব্যাপারে শ্রোতাদের সাবধানে থাকতে বললাম। সমস্যা হচ্ছে, এসব খাবারের অধিকাংশই আমাদের প্রিয়। তার পরও সাবধান থাকেই হবে, তাই না? তো, এখন আমরা এমন আরো ৬টি পরামর্শ শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরবো যা বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন। এসব পরামর্শ মেনে চললে আশা করা যায় যে মশার কামড় থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
প্রথম পরামর্শ হচ্ছে, কালো রঙের কাপড় এড়িয়ে চলুন। কারণ, মশারা কালো রঙের কাপড়-পরা মানুষের প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করে। অতএব পারতপক্ষে কালো রঙের কাপড় পরবেন না।
দ্বিতীয় পরামর্শটি হচ্ছে : নিয়মিত পায়ে মোজা পড়ুন। গরমকালে অনেকেই মোজা পায়ে দিতে চান না। আরে সেই সুযোগ গ্রহণ করে মশারা। আসলে গরমকালেও মোজা ছাড়া জুতো পরা উচিত নয়। প্রথম প্রথশ গরম অনুভূত হলেও, পরে কিন্তু ঠিকই অভ্যাস হয়ে যাবে।
ঘরে মেন্থল রাখুন। মেন্থলের গন্ধ মশারা পছন্দ করে না।
নিয়মিত গোসল করুন। শরীর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন এবং সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন এমনিতেই গোসল করা উচিত। এতে বোনাস হিসেবে পাওয়া যাবে মশার হাত থেকে রেহাই। নিদেনপক্ষে, মশার হামলা এতে কমবে—কোনো সন্দেহ নাই। যারা নানান কারণে, নিয়মিত গোসল করেন না, তারা আশা করি এ অভ্যাস বদলাবেন।
সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না, বা করলেও কম করবেন। মিষ্টি গন্ধ মশাদের প্রিয়। সুগন্ধি মানেই তো মিষ্টি গন্ধ, তাই না। বাইরে গেলেই যাদের ওপর মশা ঝাপিয়ে পরে, তারা পারফিউম বা সুগন্ধি ব্যবহার কমিয়ে দিয়ে দেখুন, উপকার পাবেন।
যারা ভাবছেন, সুগন্ধি ব্যবহার না-করলে নিজের শরীরের দুর্গন্ধ কীভাবে দূর করবেন, তাদের জন্যও একটা উপায় আছে। আজকের ৬ নম্বর পরামর্শ হচ্ছে : মশা পছন্দ করে না এমন গন্ধযুক্ত পারফিউম ব্যবহার করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু গন্ধ আছে যার প্রভাবে মশা দূর হয়। যেমন, লেবুর গন্ধ।
No comments