চাকরি দেয়ার নামে ধর্ষণ টাকা আত্মসাৎ by বকুল আহমেদ
আমি বিএ পাস করেছি। বাবা অনেক কষ্ট করে পড়ার টাকা জুগিয়েছেন। তার একার পক্ষে সংসার চালানো খুব কষ্টসাধ্য। এমএ পড়া হবে না- এ শংকা আর অভাবের সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করতে চাকরির সিদ্ধান্ত নিই। সে উদ্দেশে ঢাকায় এসে আমার সর্বনাশ হতে বসেছিল। তবে কৌশলে নিজেকে রক্ষা করি। কথাগুলো বলছিলেন নেত্রকোনার এক তরুণী। তিনি প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ১৩ অক্টোবর মামলা করেছেন।
তবে তার মতো অনেকেই প্রতারক চক্রের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। যেমন একই চক্রের হাতে ধর্ষিত হয়ে একই দিনে থানায় মামলা করেছেন ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। মামলা প্রত্যাহার করে নিতে দুজনকেই হুমকিও দিচ্ছে প্রতারক চক্র।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এমনি আরও অর্ধশতাধিক তরুণী চাকরির ফাঁদে পড়ে শিকার হয়েছেন যৌন নিপীড়নের। খুইয়েছেন টাকা। অনেককে ধর্ষণের পর দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা চলছে। আর চাকরি দেয়ার নামে ১৫-২০ হাজার করে টাকা নেয়ার পর অযোগ্য আখ্যা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বহু যুবককে।
রাজধানীর মগবাজারে এমন এক প্রতারক প্রতিষ্ঠান নিরাপদ ফোর্সগার্ড সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড। তাদের প্রতারণার শিকার কয়েকজন তরুণী ও যুবকের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতারক চক্রের প্রধান জহিরুল ইসলাম মঞ্জুসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর তদন্তেও এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
নিরাপদ ফোর্সগার্ডের অফিস মগবাজার রেলক্রসিং সংলগ্ন ১৫ নম্বর ভবনের ৪র্থ তলায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মঞ্জু। এক সময় ছিলেন চা দোকানদার। কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গড়ে তোলেন শক্তিশালী প্রতারক বাহিনী। তার প্রধান সহযোগী সুমন। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চটকদার বিজ্ঞাপন দিতেন। চাকরি দেয়ার নামে তরুণীদের ধর্ষণ করত মঞ্জু ও সুমন। চাকরির জন্য মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার নামে পাঠানো হতো বিভিন্ন স্থানে। সেখানেও তরুণীদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হতো।
২৫ অক্টোবর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কথা হয় নেত্রকোনার ওই তরুণীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ১৫ জুলাই বাড়িতে বসে ডিশ চ্যানেলে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখেন। তাতে বলা হয়, থাকা-খাওয়া ফ্রি। পড়াশোনার সুব্যবস্থা আছে। দুই ঈদে বোনাস। আকর্ষণীয় বেতন। রিসিপসনিস্টসহ বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ। যোগাযোগের ঠিকানার সঙ্গে দেয়া হয় মোবাইল নম্বরও (০১৭৫৩১৩২৯০৯)। তরুণী বলেন, ওই নম্বরে যোগাযোগ করি। আমাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেয় এবং ২ সেট ইউনিফর্ম তৈরির জন্য ৩ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। অফিস থেকে দেয়া ০১৯৬৭৭৯১২৮০ নম্বরে বিকাশ করি। ২ অক্টোবর মগবাজারের অফিসে চাকরিতে যোগ দিতে বলে। ওইদিন বিকালে সেখানে আসি। ৪র্থ তলায় এক ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। ম্যাডাম এমডি জহিরুল ইসলাম মঞ্জুর রুমে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে পরদিন অফিসে আসতে বলে। পরদিন এলে এক নারীর নির্দেশে মঞ্জুর রুমে ঢোকেন তিনি। তরুণী বলেন, রুমে ঢুকে সুমন নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মঞ্জু বলে, ইনি তোমার স্যার। স্যারকে খুশি কর। তাহলে চাকরি করতে সমস্যা হবে না। এরপরই সুমন আমার হাত ধরে। বলে, ঢাকায় চাকরি করতে হলে বসদের খুশি করতে হবে। আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে মঞ্জু আমাকে জাপটে ধরে। আমি কৌশলে পালিয়ে আসি।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী জানান, বিজ্ঞাপন দেখে ২৫ জুলাই সে চাকরির জন্য যায়। মঞ্জু তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। বাইরে বেরিয়ে মানসম্মানের ভয়ে মুখ খোলেনি সে। চাকরি হয়ে গেছে প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ২৬ আগস্ট অফিসে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে মঞ্জু। পরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী যুগান্তরকে জানান, বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি নেয়ার উদ্দেশে ২৫ মে মঞ্জুর অফিসে যাই। ভালো কোম্পানিতে রিসিপসনিস্ট পদে তাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জামানত হিসেবে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা নেয় মঞ্জু ও সুমন। সপ্তাহ পার হলেও তাকে চাকরি দেয়া হয় না। দেব দিচ্ছি করে ঘোরাতে থাকে। একদিন দুপুরে মঞ্জু অফিসে ডাকে। আমি তার কক্ষে গেলে মঞ্জু আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সুমন আমার হাত ধরে। আমাকে বলে, চাকরি করতে হলে এসব কাজে রাজি হতে হয়। আমি চিৎকার করে অফিস থেকে বেরিয়ে আসি। ২০ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেয়নি। আমার এক বান্ধবীও ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। তাকেও শ্লীলতাহানি করেছে মঞ্জু ও সুমন। টাকাও ফেরত দেয়নি।
কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের বাগলপুর গ্রামের শামীম জানান, নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে চাকরি দেয়ার নামে জুন মাসে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। অথচ আমাকে চাকরি দেয়নি। কয়েকবার টাকা ফেরত নেয়ার জন্য গেলে আমাকে দরখাস্ত করতে বলে। দরখাস্ত করেও তারা টাকা দেয়নি। মাত্র ৫ হাজার টাকা তাই মামলা করিনি। শামীম জানান, তিনি যেদিন টাকা দিয়েছিলেন, সেদিন আরও ১৫ জনের কাছ থেকে মঞ্জুকে টাকা নিতে দেখেন তিনি। রাজবাড়ীর মাহাবুবুল হক, মাগুরার ঝুমপুরের জুয়েল ও চাঁদপুরের শাহীন মৃধাও একই অভিযোগ করেন।
মঞ্জুর প্রতিষ্ঠানে চার মাস কর্মরত ছিলেন এমন দুজন জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন আসত চাকরির জন্য। এর মধ্যে নারী ৪-৫ জন। তাদের কাছ থেকে চাকরি অনুযায়ী জামানত ও ইউনিফর্ম তৈরি বাবদ অগ্রিম ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করা হত। প্রতিদিন অন্তত ২০ জন এ ফাঁদে পা দিয়ে টাকা দিত। প্রায় ২ বছর ধরে তারা এভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মগবজারের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। ওই ভবনের অপর এক অফিসের এক কর্মচারী বলেন, মঞ্জু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অফিস বন্ধ আছে।
১৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের কথিত এমডি জহিরুল ইসলাম মঞ্জু, তার সহযোগী শারকিম আনোয়ার রেজা ও শফিককে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের স্বীকারোক্তিতে পরে খলিল নামে আরেক সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী যুগান্তরকে বলেন, মঞ্জু প্রতারক চক্রের প্রধান। চাকরি দেয়ার নামে তরুণীদের শ্লীলতাহানি, যৌন নিপীড়ন করত। কয়েক হাজার বেকার তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
তবে তার মতো অনেকেই প্রতারক চক্রের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেননি। যেমন একই চক্রের হাতে ধর্ষিত হয়ে একই দিনে থানায় মামলা করেছেন ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী। মামলা প্রত্যাহার করে নিতে দুজনকেই হুমকিও দিচ্ছে প্রতারক চক্র।
যুগান্তরের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এমনি আরও অর্ধশতাধিক তরুণী চাকরির ফাঁদে পড়ে শিকার হয়েছেন যৌন নিপীড়নের। খুইয়েছেন টাকা। অনেককে ধর্ষণের পর দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা চলছে। আর চাকরি দেয়ার নামে ১৫-২০ হাজার করে টাকা নেয়ার পর অযোগ্য আখ্যা দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বহু যুবককে।
রাজধানীর মগবাজারে এমন এক প্রতারক প্রতিষ্ঠান নিরাপদ ফোর্সগার্ড সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড। তাদের প্রতারণার শিকার কয়েকজন তরুণী ও যুবকের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতারক চক্রের প্রধান জহিরুল ইসলাম মঞ্জুসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর তদন্তেও এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।
নিরাপদ ফোর্সগার্ডের অফিস মগবাজার রেলক্রসিং সংলগ্ন ১৫ নম্বর ভবনের ৪র্থ তলায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মঞ্জু। এক সময় ছিলেন চা দোকানদার। কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গড়ে তোলেন শক্তিশালী প্রতারক বাহিনী। তার প্রধান সহযোগী সুমন। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চটকদার বিজ্ঞাপন দিতেন। চাকরি দেয়ার নামে তরুণীদের ধর্ষণ করত মঞ্জু ও সুমন। চাকরির জন্য মৌখিক পরীক্ষা দেয়ার নামে পাঠানো হতো বিভিন্ন স্থানে। সেখানেও তরুণীদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হতো।
২৫ অক্টোবর ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে কথা হয় নেত্রকোনার ওই তরুণীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ১৫ জুলাই বাড়িতে বসে ডিশ চ্যানেলে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখেন। তাতে বলা হয়, থাকা-খাওয়া ফ্রি। পড়াশোনার সুব্যবস্থা আছে। দুই ঈদে বোনাস। আকর্ষণীয় বেতন। রিসিপসনিস্টসহ বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ। যোগাযোগের ঠিকানার সঙ্গে দেয়া হয় মোবাইল নম্বরও (০১৭৫৩১৩২৯০৯)। তরুণী বলেন, ওই নম্বরে যোগাযোগ করি। আমাকে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেয় এবং ২ সেট ইউনিফর্ম তৈরির জন্য ৩ হাজার টাকা বিকাশ করতে বলে। অফিস থেকে দেয়া ০১৯৬৭৭৯১২৮০ নম্বরে বিকাশ করি। ২ অক্টোবর মগবাজারের অফিসে চাকরিতে যোগ দিতে বলে। ওইদিন বিকালে সেখানে আসি। ৪র্থ তলায় এক ম্যাডামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। ম্যাডাম এমডি জহিরুল ইসলাম মঞ্জুর রুমে নিয়ে যায় আমাকে। সেখানে ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং সার্ভিস চার্জ বাবদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা নিয়ে পরদিন অফিসে আসতে বলে। পরদিন এলে এক নারীর নির্দেশে মঞ্জুর রুমে ঢোকেন তিনি। তরুণী বলেন, রুমে ঢুকে সুমন নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মঞ্জু বলে, ইনি তোমার স্যার। স্যারকে খুশি কর। তাহলে চাকরি করতে সমস্যা হবে না। এরপরই সুমন আমার হাত ধরে। বলে, ঢাকায় চাকরি করতে হলে বসদের খুশি করতে হবে। আমি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে মঞ্জু আমাকে জাপটে ধরে। আমি কৌশলে পালিয়ে আসি।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী জানান, বিজ্ঞাপন দেখে ২৫ জুলাই সে চাকরির জন্য যায়। মঞ্জু তাকে রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। বাইরে বেরিয়ে মানসম্মানের ভয়ে মুখ খোলেনি সে। চাকরি হয়ে গেছে প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ২৬ আগস্ট অফিসে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে মঞ্জু। পরে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী যুগান্তরকে জানান, বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি নেয়ার উদ্দেশে ২৫ মে মঞ্জুর অফিসে যাই। ভালো কোম্পানিতে রিসিপসনিস্ট পদে তাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জামানত হিসেবে অগ্রিম ২০ হাজার টাকা নেয় মঞ্জু ও সুমন। সপ্তাহ পার হলেও তাকে চাকরি দেয়া হয় না। দেব দিচ্ছি করে ঘোরাতে থাকে। একদিন দুপুরে মঞ্জু অফিসে ডাকে। আমি তার কক্ষে গেলে মঞ্জু আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সুমন আমার হাত ধরে। আমাকে বলে, চাকরি করতে হলে এসব কাজে রাজি হতে হয়। আমি চিৎকার করে অফিস থেকে বেরিয়ে আসি। ২০ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেয়নি। আমার এক বান্ধবীও ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। তাকেও শ্লীলতাহানি করেছে মঞ্জু ও সুমন। টাকাও ফেরত দেয়নি।
কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের বাগলপুর গ্রামের শামীম জানান, নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে চাকরি দেয়ার নামে জুন মাসে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে। অথচ আমাকে চাকরি দেয়নি। কয়েকবার টাকা ফেরত নেয়ার জন্য গেলে আমাকে দরখাস্ত করতে বলে। দরখাস্ত করেও তারা টাকা দেয়নি। মাত্র ৫ হাজার টাকা তাই মামলা করিনি। শামীম জানান, তিনি যেদিন টাকা দিয়েছিলেন, সেদিন আরও ১৫ জনের কাছ থেকে মঞ্জুকে টাকা নিতে দেখেন তিনি। রাজবাড়ীর মাহাবুবুল হক, মাগুরার ঝুমপুরের জুয়েল ও চাঁদপুরের শাহীন মৃধাও একই অভিযোগ করেন।
মঞ্জুর প্রতিষ্ঠানে চার মাস কর্মরত ছিলেন এমন দুজন জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন আসত চাকরির জন্য। এর মধ্যে নারী ৪-৫ জন। তাদের কাছ থেকে চাকরি অনুযায়ী জামানত ও ইউনিফর্ম তৈরি বাবদ অগ্রিম ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করা হত। প্রতিদিন অন্তত ২০ জন এ ফাঁদে পা দিয়ে টাকা দিত। প্রায় ২ বছর ধরে তারা এভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মগবজারের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। ওই ভবনের অপর এক অফিসের এক কর্মচারী বলেন, মঞ্জু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে অফিস বন্ধ আছে।
১৩ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের কথিত এমডি জহিরুল ইসলাম মঞ্জু, তার সহযোগী শারকিম আনোয়ার রেজা ও শফিককে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের স্বীকারোক্তিতে পরে খলিল নামে আরেক সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী যুগান্তরকে বলেন, মঞ্জু প্রতারক চক্রের প্রধান। চাকরি দেয়ার নামে তরুণীদের শ্লীলতাহানি, যৌন নিপীড়ন করত। কয়েক হাজার বেকার তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
No comments