চট্টগ্রাম আবাহনীর ইতিহাস by সামন হোসেন
হারে শুরু। জয়ে শেষ। প্রতিপক্ষ একই দল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের জবাবে ৩-১-এ জয়। ইতিহাস গড়েই চ্যাম্পিয়ন হলো চট্টগ্রাম আবাহনী। মাঠে উপস্থিত কমপক্ষে ২৫ হাজার। আরও পাঁচ সাত হাজার দর্শক ছিল স্টেডিয়ামের আশপাশে, যারা স্টেডিয়ামে আসন সংকুলান না হওয়াতে প্রবেশ করতে পারেনি। একেতো স্টেডিয়াম ভরা দর্শক, তার ওপর প্রতিপক্ষ চারটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ওপার বাংলার ইস্ট বেঙ্গল। সবকিছু মিলিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালের শুরুটা ভালো হয়নি নার্ভাস চট্টগ্রাম আবাহনীর। তবে দশ মিনিটে একটি গোল হজম করলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা। মাত্র ১১ মিনিটের এক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় আই লীগ চ্যাম্পিয়ন ইস্ট বেঙ্গলের রক্ষণভাগ। ঝড়টা শুরু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে কিংসলের মাধ্যমে, ৫৪ মিনিটে এর যবনিকা ঘটান হেমন্ত। মাঝে কিংসলে আরও একটি গোল করলে ৩-১ গোলের জয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের শিরোপা জিতে নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম আবাহনী। খেলা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিজয়ী দলের প্রতি শুভেচ্ছা জানান। তার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বিজয়ী দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড়, ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় এবং মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার এই চারটি পুরস্কারই জয় করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফুটবলার এলিটা কিংসলে।
কলম্বোয় এশিয়ান ক্লাব কাপ (১৯৮৫), কাঠমান্ডুতে ওয়াই ওয়াই কাপ (১৯৯৩), জাকার্তায় আসিয়ান কাপ (২০০৩) এবং কাঠমান্ডুতে সান মিগুয়েল কাপের (২০০৪) গায়ে লেখা রয়েছে ইস্ট বেঙ্গলের নাম। সেখানে আন্তর্জাতিক আসরতো দূরের কথা ঘরোয়া কোন প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না চট্টগ্রাম আবাহনীর। আন্তর্জাতিক আসরের অভিজ্ঞতা না থাকা স্বাগতিকদের বিপক্ষে বল কন্ট্রোল, প্রেসিং, উইং আটকানোসহ খেলার প্রথম ৩০ মিনিটে সবই করেছে কলকাতার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব। তাদের কৌশলে শুরু থেকেই একটু চাপে থাকে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। গ্যালারি ভরা দর্শকের গগন বিদারী চিৎকারে আই লীগ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচের ৬ মিনিটেই খেই হারিয়ে ফেলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফরোয়ার্ড মিঠুন চৌধুরী। জাহিদের থ্রু এলিটার ক্রস থেকে মিঠুন ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল বাইরে পাঠান। ম্যাচের ১০ মিনিট অভিনব বেগের শট ডিফেন্ডার রেজার গায়ে লেগে জালে প্রবেশ করলে পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী (১-০)। প্রথমার্ধে অন্তত আরও দুটি গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। যার একটি রক্ষা করেন ডিফেন্ডার সোহেল রানা ও রেজাউল করীম রেজা। অবিনাশ রুহিদাসের কর্নার থেকে রফিকের হেডে জালে জড়ানোর ঠিক আগ মুহূর্তে রক্ষা করেন সোহেল। পরের মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় রেজা। এরপর খেলা ধরতে শুরু করে চট্টগ্রাম আবাহনী। মাঝমাঠ দখলের চেষ্টা বাদ দিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে শুরু করে মানিকের শিষ্যরা। এমনই এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে কর্নার লাভ করে চট্টগ্রাম আবাহনী। মিঠুনের নেয়া কর্নার, বক্সের বাইরে থেকে হেমন্তের শট একটু উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। এরপরই ঝড় বয়ে যায় ইস্ট বেঙ্গল শিবিরে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে জাহিদ-মিঠুনের সমন্বয়ে বল পেয়ে এলিটা কিংসলে গোল করে ম্যাচে সমতায় ফেরান স্বাগতিকদের। মাঝমাঠ থেকে জাহিদের লং বলে মিঠুন আউটসাইড ক্রসে বক্সের মধ্যে ফেলেন। অরক্ষিত কিংসলে হেডে বল জালে জড়ান (১-১)। ইনজুরি সময়ে এমিলির ক্রস গোলরক্ষক দিবেন্দুর হাত ফস্কে গেলেও বিপদ ঘটেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন আনেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। দিক পরিবর্তন করে হেমন্ত ডানদিকে আর জাহিদ খেলতে শুরু করেন বামদিক থেকে। এতেই আক্রমণের ধার বাড়ে স্বাগতিক ক্লাবটির। এরই ফসল চট্টগ্রাম আবাহনী ঘরে তুলে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে। জাহিদের নিচু ফ্রিকিক থেকে হেমন্ত, মিঠুন হেড করতে ব্যর্থ হলে জালে জড়াতে ভুল করেননি ম্যাচের নায়ক এলিটা কিংসলে। দুই মিনিট পরেই এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের লং বলে হেমন্ত ইস্ট বেঙ্গলের জালে তৃতীয় দফা বল প্রবেশ করান (৩-১)। মাত্র এগার মিনিটের এক ঝড়ে তিন গোল হজম করা ইস্ট বেঙ্গল বাকি সময় খেলায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মানিক জাহিদকে উঠিয়ে তার রক্ষণভাগ আরও শক্তিশালী করেন, পাশাপাশি ডিফেন্ডারদের দুর্দান্ত সাপোর্ট দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। এর যোগফলে গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাশি গ্রুপ পর্বে অপরাজিত ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক আসরের শিরোপা ঘরে তুলে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
কলম্বোয় এশিয়ান ক্লাব কাপ (১৯৮৫), কাঠমান্ডুতে ওয়াই ওয়াই কাপ (১৯৯৩), জাকার্তায় আসিয়ান কাপ (২০০৩) এবং কাঠমান্ডুতে সান মিগুয়েল কাপের (২০০৪) গায়ে লেখা রয়েছে ইস্ট বেঙ্গলের নাম। সেখানে আন্তর্জাতিক আসরতো দূরের কথা ঘরোয়া কোন প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না চট্টগ্রাম আবাহনীর। আন্তর্জাতিক আসরের অভিজ্ঞতা না থাকা স্বাগতিকদের বিপক্ষে বল কন্ট্রোল, প্রেসিং, উইং আটকানোসহ খেলার প্রথম ৩০ মিনিটে সবই করেছে কলকাতার ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব। তাদের কৌশলে শুরু থেকেই একটু চাপে থাকে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী। গ্যালারি ভরা দর্শকের গগন বিদারী চিৎকারে আই লীগ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচের ৬ মিনিটেই খেই হারিয়ে ফেলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ফরোয়ার্ড মিঠুন চৌধুরী। জাহিদের থ্রু এলিটার ক্রস থেকে মিঠুন ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল বাইরে পাঠান। ম্যাচের ১০ মিনিট অভিনব বেগের শট ডিফেন্ডার রেজার গায়ে লেগে জালে প্রবেশ করলে পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী (১-০)। প্রথমার্ধে অন্তত আরও দুটি গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। যার একটি রক্ষা করেন ডিফেন্ডার সোহেল রানা ও রেজাউল করীম রেজা। অবিনাশ রুহিদাসের কর্নার থেকে রফিকের হেডে জালে জড়ানোর ঠিক আগ মুহূর্তে রক্ষা করেন সোহেল। পরের মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর ত্রাণকর্তা হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় রেজা। এরপর খেলা ধরতে শুরু করে চট্টগ্রাম আবাহনী। মাঝমাঠ দখলের চেষ্টা বাদ দিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে খেলতে শুরু করে মানিকের শিষ্যরা। এমনই এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে কর্নার লাভ করে চট্টগ্রাম আবাহনী। মিঠুনের নেয়া কর্নার, বক্সের বাইরে থেকে হেমন্তের শট একটু উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। এরপরই ঝড় বয়ে যায় ইস্ট বেঙ্গল শিবিরে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে জাহিদ-মিঠুনের সমন্বয়ে বল পেয়ে এলিটা কিংসলে গোল করে ম্যাচে সমতায় ফেরান স্বাগতিকদের। মাঝমাঠ থেকে জাহিদের লং বলে মিঠুন আউটসাইড ক্রসে বক্সের মধ্যে ফেলেন। অরক্ষিত কিংসলে হেডে বল জালে জড়ান (১-১)। ইনজুরি সময়ে এমিলির ক্রস গোলরক্ষক দিবেন্দুর হাত ফস্কে গেলেও বিপদ ঘটেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কৌশলে পরিবর্তন আনেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। দিক পরিবর্তন করে হেমন্ত ডানদিকে আর জাহিদ খেলতে শুরু করেন বামদিক থেকে। এতেই আক্রমণের ধার বাড়ে স্বাগতিক ক্লাবটির। এরই ফসল চট্টগ্রাম আবাহনী ঘরে তুলে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে। জাহিদের নিচু ফ্রিকিক থেকে হেমন্ত, মিঠুন হেড করতে ব্যর্থ হলে জালে জড়াতে ভুল করেননি ম্যাচের নায়ক এলিটা কিংসলে। দুই মিনিট পরেই এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের লং বলে হেমন্ত ইস্ট বেঙ্গলের জালে তৃতীয় দফা বল প্রবেশ করান (৩-১)। মাত্র এগার মিনিটের এক ঝড়ে তিন গোল হজম করা ইস্ট বেঙ্গল বাকি সময় খেলায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। কিন্তু চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মানিক জাহিদকে উঠিয়ে তার রক্ষণভাগ আরও শক্তিশালী করেন, পাশাপাশি ডিফেন্ডারদের দুর্দান্ত সাপোর্ট দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। এর যোগফলে গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাশি গ্রুপ পর্বে অপরাজিত ইস্ট বেঙ্গলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক আসরের শিরোপা ঘরে তুলে নেয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
No comments