শতাধিক রেলস্টেশন বন্ধের আশংকা by শিপন হাবীব
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা হওয়ার পর রেলের যাত্রীসেবা যতটা বাড়ার ঠিক ততটা বাড়েনি। ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করে রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। সেই থেকে উদ্যোগ নেয়া হয় যথাক্রমে প্রায় ২৩ হাজার শূন্য পদ পূরণের। প্রতিশ্র“তি দেয়া হয় বন্ধ স্টেশন চালু, গার্ড ও ট্রেনচালক দ্রুত নিয়োগের। এমন প্রতিশ্রুতির অধিকাংশই ফাঁকা বুলিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ৪৫৬টি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ১৮৬টি পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আগামী ১ বছরের মধ্যে স্টেশন মাস্টার নিয়োগ না হলে আরও শতাধিক স্টেশন বন্ধ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে জোড়াতালি দিয়ে ২৬টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হয়। একে একে ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এসব প্রকল্পের অধিকাংশই চলমান রয়েছে। কিন্তু বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব হয়নি- নেয়া হয়নি এর যথাযথ উদ্যোগ। এতে সরকার যেমন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছে। যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না ট্রেন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ গার্ড ও ট্রেনচালক নিয়োগে।
চুক্তিভিক্তিক ১২০ জন চালক দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। অপরদিকে গার্ড, স্টেশন মাস্টারও চুক্তিভিক্তিক রয়েছে। ফলে ট্রেন দুর্ঘটনা কিংবা লাইনচ্যুতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চালক, গার্ড কিংবা স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে রুল অনুযায়ী কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। কারণ, চুক্তিভিক্তিক নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে রুল অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক যুগান্তরকে জানান, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রায় ৯ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন। ট্রেনচালক, গার্ড ও স্টেশন মাস্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে। স্টেশন মাস্টার, গার্ড ও চালক নিয়োগ সম্পন্ন হলে বন্ধ স্টেশনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যেই চালু করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, রেলওয়েতে যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে তা সম্পন্ন হলে রেলওয়েতে আমূল পরিবর্তন আসবে। রেলওয়ের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। বর্তমান সরকার রেলওয়ের সব সমস্যা সমাধান করছে এবং নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে জানান, প্রায় ২৮শ’ ৭৭ কিলোমিটার রেলপথে সর্বমোট ৪৫৬টি রেলওয়ে স্টেশন আছে, যার মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ২৭০টি। অবশিষ্ট স্টেশনগুলো বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ট্রেন চালানো স্বাভাবিক রাখতে ১২০ জন চালককে চুক্তিভিক্তি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্টেশন মাস্টার ও গার্ডদের চুক্তিভিক্তিত নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২৭০ জন স্টেশন মাস্টার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়োগ সম্পন্ন হলে বন্ধ থাকা স্টেশনগুলো সচল করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ট্রেনচালক নিয়োগ সম্পন্ন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপারেশন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সরকার নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও স্টেশনগুলো চালুর তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. মুকবুল হোসেন জানান, পূর্বাঞ্চল রেলপথের চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগে যেসব রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ রয়েছে তা সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। লোকবল স্বল্পতায় এসব স্টেশন বন্ধ রাখতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে টিকিট বিক্রিও হচ্ছে না। তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলপথের পুরোটাই ডাবল লাইন হয়ে যাচ্ছে, ফলে অনেক স্টেশন রি-মডেলিং করতে হবে। স্টেশনগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে।
নরসিংদী পলাশ উপজেলার যুগান্তর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর কবির জানান, ৩ মাস ধরে ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো সময় ট্রেন দাঁড়ালেও স্টেশনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী নেই। ৩-৪ মাস ধরে কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। কোনো টিকিট বিক্রি হয়নি। জানা যায়, স্টেশন মাস্টার ফজলুল হক ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। স্টেশন মাস্টারের সহযোগী গত ডিসেম্বরে অবসরে চলে যাওয়ায় বর্তমানে স্টেশনটির টিকিট কাউন্টার বন্ধ। এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার ফজলুল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি অসুস্থ বারডেমে আছি, আমার ডায়ালাইসিস চলছে। স্টেশন ওপেন করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আমলে জোড়াতালি দিয়ে ২৬টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হয়। একে একে ৪৬টি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এসব প্রকল্পের অধিকাংশই চলমান রয়েছে। কিন্তু বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করা সম্ভব হয়নি- নেয়া হয়নি এর যথাযথ উদ্যোগ। এতে সরকার যেমন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ছে। যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না ট্রেন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ গার্ড ও ট্রেনচালক নিয়োগে।
চুক্তিভিক্তিক ১২০ জন চালক দিয়ে ট্রেন চালানো হচ্ছে। অপরদিকে গার্ড, স্টেশন মাস্টারও চুক্তিভিক্তিক রয়েছে। ফলে ট্রেন দুর্ঘটনা কিংবা লাইনচ্যুতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চালক, গার্ড কিংবা স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে রুল অনুযায়ী কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। কারণ, চুক্তিভিক্তিক নিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে রুল অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক যুগান্তরকে জানান, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে প্রায় ৯ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করেছেন। ট্রেনচালক, গার্ড ও স্টেশন মাস্টার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও দেয়া হয়েছে। স্টেশন মাস্টার, গার্ড ও চালক নিয়োগ সম্পন্ন হলে বন্ধ স্টেশনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যেই চালু করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, রেলওয়েতে যে পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে তা সম্পন্ন হলে রেলওয়েতে আমূল পরিবর্তন আসবে। রেলওয়ের উন্নয়নে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। বর্তমান সরকার রেলওয়ের সব সমস্যা সমাধান করছে এবং নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রেলওয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান যুগান্তরকে জানান, প্রায় ২৮শ’ ৭৭ কিলোমিটার রেলপথে সর্বমোট ৪৫৬টি রেলওয়ে স্টেশন আছে, যার মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ২৭০টি। অবশিষ্ট স্টেশনগুলো বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, ট্রেন চালানো স্বাভাবিক রাখতে ১২০ জন চালককে চুক্তিভিক্তি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্টেশন মাস্টার ও গার্ডদের চুক্তিভিক্তিত নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২৭০ জন স্টেশন মাস্টার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়োগ সম্পন্ন হলে বন্ধ থাকা স্টেশনগুলো সচল করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ট্রেনচালক নিয়োগ সম্পন্ন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপারেশন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় প্রতি মাসে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সরকার নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করলেও স্টেশনগুলো চালুর তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. মুকবুল হোসেন জানান, পূর্বাঞ্চল রেলপথের চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগে যেসব রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ রয়েছে তা সচল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। লোকবল স্বল্পতায় এসব স্টেশন বন্ধ রাখতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্টেশনগুলো বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে টিকিট বিক্রিও হচ্ছে না। তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলপথের পুরোটাই ডাবল লাইন হয়ে যাচ্ছে, ফলে অনেক স্টেশন রি-মডেলিং করতে হবে। স্টেশনগুলোকে আধুনিকায়ন করা হবে।
নরসিংদী পলাশ উপজেলার যুগান্তর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর কবির জানান, ৩ মাস ধরে ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো সময় ট্রেন দাঁড়ালেও স্টেশনে দায়িত্বরত কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী নেই। ৩-৪ মাস ধরে কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। কোনো টিকিট বিক্রি হয়নি। জানা যায়, স্টেশন মাস্টার ফজলুল হক ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। স্টেশন মাস্টারের সহযোগী গত ডিসেম্বরে অবসরে চলে যাওয়ায় বর্তমানে স্টেশনটির টিকিট কাউন্টার বন্ধ। এ বিষয়ে স্টেশন মাস্টার ফজলুল হকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি অসুস্থ বারডেমে আছি, আমার ডায়ালাইসিস চলছে। স্টেশন ওপেন করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
No comments