রাজনৈতিক সংকট থেকেই সমস্যার শুরু by সিরাজুস সালেকিন
রাজনৈতিক
সংকট থেকে দেশে একের পর এক সমস্যা হচ্ছে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক
অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ । সময়ে সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার
পেছনেও মূলত একই কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মানবজমিনের সঙ্গে
আলাপকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ প্রফেসর
বলেন, কোন ঘটনা ঘটলে একবার সরকারই বলে আইএস জড়িত। আবার সরকারই বলে আইএস
নাই। যদি এ ধরনের স্ববিরোধী কথাবার্তা থাকে তাহলে বাইরে থেকে তো লোকেরা
চিন্তিত হবেই।
তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে একবার বলা হচ্ছে অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। আরেকবার বলছে সবকিছু কন্ট্রোলে। কথা হচ্ছে তাদের দিক থেকে মনে করছে তারা নিরাপদবোধ করছেন না। রাস্তায় বের হলে কেউ হয়তো আক্রমণ করতে পারে। যেহেতু একটা রাজনৈতিক সংকট রয়ে গেছে। সেহেতু অনেকেই সুবিধা নিচ্ছে এই রাজনৈতিক সংকটের কারণে। সেই জিনিসটাই তারা ভয় পাচ্ছে। আইএসের ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার কাছে প্রমাণ নেই বাংলাদেশে আইএস আছে কিনা। তবে আমি মনে করি না সেটা আমাদের দেশের বড় সমস্যা। আমাদের বড় সমস্যা এখনও দুই বড় দলের রাজনৈতিক সংকট। এটা যদি মনে করি তবে আমি মনে করি বড় দুই দলের সংকট কেটে যাবে।
বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্কবার্তা অব্যাহত রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা মনে করছে এটা যৌক্তিক। কারণ দুজন বিদেশী যদি মারা যায়, স্বাভাবিকভাবে তারা চিন্তিত। একজন একেবারে হাই সিকিউরিটি জোনে মারা গেছে। তাদের দিক থেকে তারা মনে করে এটা চিন্তার ব্যাপার। সেই হিসাবে তারা সতর্কতা দিচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট এখনও কাটেনি। তারা মনে করছে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
তারা যদি মনে করে বাংলাদেশে একটা সংকট চলছে এবং সেখানে তারা নিরাপদ মনে করছে না। আমাদের তো কিছু করার নেই। সতর্কবার্তা দেয়ার পরপরই দুজন বিদেশী হত্যার প্রসঙ্গে ড. ইমতিয়াজ বলেন, আগে থেকে তারা হয়তো খোঁজ-খবর নিচ্ছিল। বুঝতে পারছিল সংকট বাড়ছে। আসলেই তো সংকট বাড়ছে। অনেকেই তো মাঝে মাঝে নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক মামলা হয়েছে। তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। পশ্চিমা বিশ্বের একের পর এক সতর্কতা জারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোন প্রকার প্রভাব ফেলছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবনতি তো আছেই। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে তো তারা সে ব্যাপারে খুশি না। তারা মনে করে নির্বাচনটা সঠিক হয়নি। সব দলের অংশগ্রহণে যেহেতু নির্বাচন হয়নি। অর্ধেকের বেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কোন ভোট ছাড়া। সেটা বিদেশীরা মনে করেন যে গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এটা তাদের দৃষ্টিতে। সেই দৃষ্টিকোণ যদি তারা বজায় রাখে সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের করণীয় সম্পর্কে ড. ইমতিয়াজ বলেন, আপাতত সংকট সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশে সংকট হয়েছে। এখনও একটা নতুন সংকট চলছে। বিশেষ করে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বড় একটি দল পার্লামেন্টের বাইরে। আবার যে একটা বিরোধী দল সেটার আবার অর্ধেক সরকারে। বোঝাই যাচ্ছে সমস্যাটা একদিন না একদিন কাটতেই হবে। যতদিন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হয় ততদিন সংকট থাকবে। এই সংকট যতদিন থাকবে ততদিন স্বাভাবিকভাবে উন্নয়ন হবে না। স্থিতিশীলতা থাকবে না। যতটুকু থাকা দরকার ততটুকু থাকবে না। এ বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখা দরকার।
তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে একবার বলা হচ্ছে অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। আরেকবার বলছে সবকিছু কন্ট্রোলে। কথা হচ্ছে তাদের দিক থেকে মনে করছে তারা নিরাপদবোধ করছেন না। রাস্তায় বের হলে কেউ হয়তো আক্রমণ করতে পারে। যেহেতু একটা রাজনৈতিক সংকট রয়ে গেছে। সেহেতু অনেকেই সুবিধা নিচ্ছে এই রাজনৈতিক সংকটের কারণে। সেই জিনিসটাই তারা ভয় পাচ্ছে। আইএসের ঝুঁকি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার কাছে প্রমাণ নেই বাংলাদেশে আইএস আছে কিনা। তবে আমি মনে করি না সেটা আমাদের দেশের বড় সমস্যা। আমাদের বড় সমস্যা এখনও দুই বড় দলের রাজনৈতিক সংকট। এটা যদি মনে করি তবে আমি মনে করি বড় দুই দলের সংকট কেটে যাবে।
বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিকদের চলাফেরায় সতর্কবার্তা অব্যাহত রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা মনে করছে এটা যৌক্তিক। কারণ দুজন বিদেশী যদি মারা যায়, স্বাভাবিকভাবে তারা চিন্তিত। একজন একেবারে হাই সিকিউরিটি জোনে মারা গেছে। তাদের দিক থেকে তারা মনে করে এটা চিন্তার ব্যাপার। সেই হিসাবে তারা সতর্কতা দিচ্ছে। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতির সংকট এখনও কাটেনি। তারা মনে করছে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
তারা যদি মনে করে বাংলাদেশে একটা সংকট চলছে এবং সেখানে তারা নিরাপদ মনে করছে না। আমাদের তো কিছু করার নেই। সতর্কবার্তা দেয়ার পরপরই দুজন বিদেশী হত্যার প্রসঙ্গে ড. ইমতিয়াজ বলেন, আগে থেকে তারা হয়তো খোঁজ-খবর নিচ্ছিল। বুঝতে পারছিল সংকট বাড়ছে। আসলেই তো সংকট বাড়ছে। অনেকেই তো মাঝে মাঝে নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক মামলা হয়েছে। তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। পশ্চিমা বিশ্বের একের পর এক সতর্কতা জারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোন প্রকার প্রভাব ফেলছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবনতি তো আছেই। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে তো তারা সে ব্যাপারে খুশি না। তারা মনে করে নির্বাচনটা সঠিক হয়নি। সব দলের অংশগ্রহণে যেহেতু নির্বাচন হয়নি। অর্ধেকের বেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন কোন ভোট ছাড়া। সেটা বিদেশীরা মনে করেন যে গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। এটা তাদের দৃষ্টিতে। সেই দৃষ্টিকোণ যদি তারা বজায় রাখে সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিতেও কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের করণীয় সম্পর্কে ড. ইমতিয়াজ বলেন, আপাতত সংকট সমাধান করতে হবে। বাংলাদেশে সংকট হয়েছে। এখনও একটা নতুন সংকট চলছে। বিশেষ করে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বড় একটি দল পার্লামেন্টের বাইরে। আবার যে একটা বিরোধী দল সেটার আবার অর্ধেক সরকারে। বোঝাই যাচ্ছে সমস্যাটা একদিন না একদিন কাটতেই হবে। যতদিন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন না হয় ততদিন সংকট থাকবে। এই সংকট যতদিন থাকবে ততদিন স্বাভাবিকভাবে উন্নয়ন হবে না। স্থিতিশীলতা থাকবে না। যতটুকু থাকা দরকার ততটুকু থাকবে না। এ বিষয়টি আমাদের খেয়াল রাখা দরকার।
No comments