আরও ১৭ বছর ছাড় পাচ্ছে এলডিসির ওষুধশিল্প by রাহীদ এজাজ
দীর্ঘ
কয়েক মাসের দর-কষাকষির পর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) মেধাস্বত্ব
আইনের বাধ্যবাধকতা থেকে আরও ১৭ বছরের ছাড় পাচ্ছে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর
(এলডিসি) ওষুধশিল্প। এর ফলে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জেনেরিক
ওষুধ উৎপাদনের জন্য মেধাস্বত্ব আইন প্রযোজ্য হবে না। আগামী সপ্তাহে
জেনেভায় মেধাস্বত্ব অধিকারের বাণিজ্য-বিষয়ক চুক্তি বা ট্রিপস কাউন্সিলের
সভায় এই ছাড়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান শনিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এলডিসির সমন্বয়ক বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ আলোচনা শেষে এলডিসিকে এ বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার বলা হয়েছে, মেধাস্বত্ব অধিকারের বাণিজ্য-বিষয়ক চুক্তির (ট্রিপস) আওতায় পেটেন্ট আইনের বাধ্যবাধকতা থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অব্যাহতি দেওয়ার মেয়াদ ২০১৬ সাল থেকে আরও ১৭ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর কোনো চুক্তির আওতায় এই প্রথম এত দীর্ঘ মেয়াদে কোনো ছাড় দেওয়া হলো।
ঢাকা ও জেনেভার কূটনৈতিক সূত্রে যোগাযোগ করে জানা গেছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে অক্টোবরের শুরুতে ট্রিপস কাউন্সিলের বৈঠকটি কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। ওই বৈঠকের পর থেকেই এলডিসি গ্রুপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা অব্যাহত থাকে। আলোচনার একপর্যায়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য আরও ১০ বছর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এলডিসি। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওষুধশিল্পকে মেধাস্বত্ব আইনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিরোধিতা করে এসেছে।
মেধাস্বত্ব-বিষয়ক নিরপেক্ষ গণমাধ্যম আইপি ওয়াচের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিষয়টি সুরাহার জন্য জেনেভায় বাংলাদেশসহ নেপাল ও উগান্ডার শীর্ষ কূটনীতিকেরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে তাঁরা ২৯ অক্টোবর আবার আলোচনায় বসেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে এ ছাড় পেতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে এসেছে। শেষ পর্যন্ত এলডিসির দেশগুলোকে এ সুবিধা দিতে রাজি হলেও বাংলাদেশের এ সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্তরে পৌঁছেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ওষুধশিল্প যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অনড় অবস্থানের কারণে বাংলাদেশসহ এলডিসি গ্রুপের সব দেশের ওষুধশিল্পের জন্য ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গেছে, মেধাস্বত্ব আইন থেকে ওষুধশিল্পের অব্যাহতি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এবং সংস্থার বাইরের বিভিন্ন পক্ষ, দেশ ও নাগরিক সমাজের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো। গত মাসের মাঝামাঝি ছয়টি সুপরিচিত মার্কিন সাহায্য সংস্থা অক্সফাম আমেরিকা, হেলথ গ্যাপ, নলেজ ইকোলজি ইন্টারন্যাশনাল (কেইআই), পাবলিক সিটিজেন, ইউনিয়ন ফর এভরডেবল ক্যানসার ট্রিটমেন্ট (ইউএসিটি) এবং ইয়াং প্রফেশনাল ক্রনিক ডিজিজ নেটওয়ার্ক স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওষুধশিল্পের জন্য মেধাস্বত্ব ছাড়ের পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠি দেয়।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান শনিবার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এলডিসির সমন্বয়ক বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ আলোচনা শেষে এলডিসিকে এ বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার বলা হয়েছে, মেধাস্বত্ব অধিকারের বাণিজ্য-বিষয়ক চুক্তির (ট্রিপস) আওতায় পেটেন্ট আইনের বাধ্যবাধকতা থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অব্যাহতি দেওয়ার মেয়াদ ২০১৬ সাল থেকে আরও ১৭ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার পর কোনো চুক্তির আওতায় এই প্রথম এত দীর্ঘ মেয়াদে কোনো ছাড় দেওয়া হলো।
ঢাকা ও জেনেভার কূটনৈতিক সূত্রে যোগাযোগ করে জানা গেছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে অক্টোবরের শুরুতে ট্রিপস কাউন্সিলের বৈঠকটি কোনো রকম সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। ওই বৈঠকের পর থেকেই এলডিসি গ্রুপের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা অব্যাহত থাকে। আলোচনার একপর্যায়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য আরও ১০ বছর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ওই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় এলডিসি। যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওষুধশিল্পকে মেধাস্বত্ব আইনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিরোধিতা করে এসেছে।
মেধাস্বত্ব-বিষয়ক নিরপেক্ষ গণমাধ্যম আইপি ওয়াচের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিষয়টি সুরাহার জন্য জেনেভায় বাংলাদেশসহ নেপাল ও উগান্ডার শীর্ষ কূটনীতিকেরা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে তাঁরা ২৯ অক্টোবর আবার আলোচনায় বসেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়ক হিসেবে বাংলাদেশ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে এ ছাড় পেতে যুক্তরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে এসেছে। শেষ পর্যন্ত এলডিসির দেশগুলোকে এ সুবিধা দিতে রাজি হলেও বাংলাদেশের এ সুবিধা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের স্তরে পৌঁছেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ওষুধশিল্প যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অনড় অবস্থানের কারণে বাংলাদেশসহ এলডিসি গ্রুপের সব দেশের ওষুধশিল্পের জন্য ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গেছে, মেধাস্বত্ব আইন থেকে ওষুধশিল্পের অব্যাহতি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় এবং সংস্থার বাইরের বিভিন্ন পক্ষ, দেশ ও নাগরিক সমাজের যথেষ্ট সহযোগিতা পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশগুলো। গত মাসের মাঝামাঝি ছয়টি সুপরিচিত মার্কিন সাহায্য সংস্থা অক্সফাম আমেরিকা, হেলথ গ্যাপ, নলেজ ইকোলজি ইন্টারন্যাশনাল (কেইআই), পাবলিক সিটিজেন, ইউনিয়ন ফর এভরডেবল ক্যানসার ট্রিটমেন্ট (ইউএসিটি) এবং ইয়াং প্রফেশনাল ক্রনিক ডিজিজ নেটওয়ার্ক স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওষুধশিল্পের জন্য মেধাস্বত্ব ছাড়ের পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে চিঠি দেয়।
No comments