নীড়হারা পাখি ইমরান খানের দ্বিতীয় ঘরও ভাঙল
সেই যে পুরনো দিনের গান আছে না- দু’দিনের জোছনা, আবার অন্ধকার রাত। ঠিক তাই হল ইমরান খানের বেলায়। বিয়ের মাত্র ১০ মাস পর রেহাম খানের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে খান সাহেবের। আপসে দু’জন আলাদা হয়ে গেছেন। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান বিরহের যন্ত্রণা নিয়ে বেশ কয়েকটি টুইটবার্তায় নিজের দ্বিতীয় বিয়েও ভেঙে যাওয়াটাকে বেদনাদায়ক বলে উল্লেখ করেছেন। তার নিজের জন্য যেমন, তেমনি রেহাম এবং দুই পরিবারের জন্য এই ‘ছাড়াছাড়ি’ মোটেও সুখকর নয়। তাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি সবাইকে সম্মান জানানোর জন্যও অনুরোধ করেন তিনি। পাকিস্তানের বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানের এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। ৬২ বছর বয়সী এই সাবেক ফাস্ট বোলার এ বছর জানুয়ারিতে তিন সন্তানের জননী ৪২ বছর বয়সী রেহাম খানকে বিয়ে করেছিলেন। রেহাম বিবিসি’র আবহাওয়াবিষয়ক অনুষ্ঠানের সাবেক সঞ্চালক।
শুক্রবার এক টুইটবার্তায় রেহাম খান বলেন, ‘আমরা আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিভোর্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি।’ নিয়তির কী নিষ্ঠুর পরিহাস! বিবাহবিচ্ছিন্ন রেহাম সাবেক প্লেবয় ক্রিকেটার ইমরান খানের মাঝে নির্ভরতা খোঁজার প্রয়াসী হয়েছিলেন। ভাগ্য আবার তাকে বিচ্ছেদের চৌরাস্তায় এনে দাঁড় করিয়ে দিল। আর খান সাহেব। রূপসী রেহামের মতো তিনিও দ্বিতীয়বার ডিভোর্সের রোদমাখা পথে হাঁটলেন। ২০০৪ সালে প্রথম স্ত্রী জেমিমা খানের সঙ্গে সম্পর্ক চুকেবুকে যাওয়ার পর রাজনীতির চোরাগলিতে ঘুরপাক খাওয়াটাকে নিজের নিয়তি মেনে নিয়েছিলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। হঠাৎ তার জীবনে রেহামের প্রবেশ। প্রস্থানটাও হল হঠাৎ। পদ্মপাতায় শিশির বিন্দুর মতো সম্পর্কটা ভেঙে চুরমার। ‘দুটি মন আর নেই দু’জনার’- এই গানটির মতোই এখন ইমরান-রেহাম। মাসছয়েক ধরে গুঞ্জনের মেঘ ভাসছিল। বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে, এমন গুজব ছিল। খান সাহেব এতদিন অস্বীকার করে এসেছেন। কিন্তু আগুন লাগলে তার আঁচ থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারে আশপাশে থাকা মানুষ। তাই ‘চলো আবারও আগন্তুক হয়ে যাই আমরা দু’জনে’- গানটির মতো দু’জনের পথ বেঁকে গেল দু’দিকে। দু’জনের মধ্যে ‘টিউনিং’ ঠিক হচ্ছিল না।
শুক্রবার এক টুইটবার্তায় রেহাম খান বলেন, ‘আমরা আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিভোর্সের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছি।’ নিয়তির কী নিষ্ঠুর পরিহাস! বিবাহবিচ্ছিন্ন রেহাম সাবেক প্লেবয় ক্রিকেটার ইমরান খানের মাঝে নির্ভরতা খোঁজার প্রয়াসী হয়েছিলেন। ভাগ্য আবার তাকে বিচ্ছেদের চৌরাস্তায় এনে দাঁড় করিয়ে দিল। আর খান সাহেব। রূপসী রেহামের মতো তিনিও দ্বিতীয়বার ডিভোর্সের রোদমাখা পথে হাঁটলেন। ২০০৪ সালে প্রথম স্ত্রী জেমিমা খানের সঙ্গে সম্পর্ক চুকেবুকে যাওয়ার পর রাজনীতির চোরাগলিতে ঘুরপাক খাওয়াটাকে নিজের নিয়তি মেনে নিয়েছিলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। হঠাৎ তার জীবনে রেহামের প্রবেশ। প্রস্থানটাও হল হঠাৎ। পদ্মপাতায় শিশির বিন্দুর মতো সম্পর্কটা ভেঙে চুরমার। ‘দুটি মন আর নেই দু’জনার’- এই গানটির মতোই এখন ইমরান-রেহাম। মাসছয়েক ধরে গুঞ্জনের মেঘ ভাসছিল। বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে, এমন গুজব ছিল। খান সাহেব এতদিন অস্বীকার করে এসেছেন। কিন্তু আগুন লাগলে তার আঁচ থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারে আশপাশে থাকা মানুষ। তাই ‘চলো আবারও আগন্তুক হয়ে যাই আমরা দু’জনে’- গানটির মতো দু’জনের পথ বেঁকে গেল দু’দিকে। দু’জনের মধ্যে ‘টিউনিং’ ঠিক হচ্ছিল না।
পাকিস্তানি মিডিয়ার খবর, রেহামকে তালাক দেয়ার জন্য পরিবারের চাপ ছিল ইমরান খানের ওপর। ইমরানের বোন আলিমা খান শুরু থেকেই এ বিয়ের ঘোর বিরোধী ছিলেন। শেষমেশ ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হল না। ‘সম্পর্ক বোঝা হয়ে দাঁড়ালে তা ভেঙে ফেলাই ভালো’- গানের এই অন্তরা মেনেই একসময়ের রমণীমোহন ইমরান খান রেহামকে নিজের জীবন থেকে আলাদা করে দিলেন। রেহাম লন্ডনে চলে গেছেন। সেখানেই হয়তো এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সব বলবেন তিনি। জেমিমা খানও ডিভোর্সের পর পাকিস্তান ত্যাগ করেছিলেন। ফরাসি-ব্রিটিশ ধনকুবের জেমস গোল্ডস্মিথের আহ্লাদি কন্যা জেমিমার সঙ্গে ১৯৯৫তে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ইমরান। সেই বিয়ে টিকেছিল ৯ বছর। দ্বিতীয় বিয়ে টিকল মাত্র ১০ মাস। আগের ঘরে দুই ছেলে রয়েছে ইমরানের। অক্সফোর্ডপড়ুয়া সুদেহী-সুদর্শন বিশ্বের অন্যতম সেরা সাবেক অলরাউন্ডার ইমরান খানের জীবনে নারীরা এসেছেন বহতা নদীর মতো। সেই জিনাত আমান থেকে শুরু করে রেহাম খান- বহু রমণী নিজেদের জড়িয়েছেন খান সাহেবের সঙ্গে। ৩৯ বছর বয়সে একটি অনভিজ্ঞ দল নিয়ে যিনি পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন, প্রণয় ও পরিণয়ের পৃথিবীতে তিনি কী করে এমন ‘অনভিজ্ঞ’ রয়ে গেলেন?
No comments