ফিরে দেখা- অভ্যাস বদলায় না by শরীফুল ইসলাম
৮ জানুয়ারি রাত ১০টা। গাজীপুরগামী একটি বলাকা বাস বনানী রেললাইনের ওপর নির্মিত ওভারপাস দিয়ে না গিয়ে নিচ দিয়ে এগিয়ে রেললাইনের সিগন্যালে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাসের যাত্রীরা চালকের ওপর ক্ষিপ্ত হয় ।
চালক নির্বাক। এক যাত্রী তেড়ে এসে চালককে বলে, ‘কেন তুমি নিচ দিয়ে এলে।’ এ সময় বয়স্ক এক যাত্রী বলে, ‘ওভারপাস নতুন হয়েছে, তাই অভ্যাস বদলায় না।’ পরে অবশ্য আরও ক’জন যাত্রী চালকের সামনে এসে বাসটি রংসাইড দিয়ে চালিয়ে আবার পেছনে গিয়ে ওভারপাস দিয়ে যেতে বাধ্য করল।যেখানে দেখিবে ছাই ... হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ ৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা; বাসা থেকে বেরোতেই মন চাচ্ছিল না। নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় কনকনে ঠাণ্ডা। তারপরও যেতে হবে মহাখালী আইসিডিডিআরবি বিল্ডিংয়ে। অফিসের একটি এ্যাসাইনমেন্ট আছে সকাল ৯টায়। শেওরাপাড়া থেকে বাস পাওয়া যাবে কিনা সেই দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বাস পেয়ে গেলাম। সাড়ে ৯টার দিকে পৌঁছলাম অনুষ্ঠানস্থলে। কষ্টের তুলনায় সংবাদের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে মনটা খারাপ হয়ে গেলে। শুধু যে আমার তা নয়, আরও অনেক সাংবাদিকই বলতে লাগলেন একটি প্রেস রিলিজ দিলেই চলত। তখন আমি, ডেইলি স্টারের ফজলু ও চ্যানেল আইয়ের রিজভী ভাই মিলে ভাবছি কি করা যায়। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরকে অনুরোধ জানানো হবে, তিনি ইচ্ছে করলে কথা বলবেন, না হলে কোন জোর করা হবে না। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম তিনি কোন কথা বলবেন না। অনেকক্ষণ প্রতীক্ষার পর তাকে পেয়ে অনুরোধ জানানো হলো। তিনি আমাদের অবাক করে দিয়ে খুশি মনেই রাজি হলেন। শোনালেন পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে আশার কথা। তৈরি হলো একটি সংবাদ। এক বড় ভাইকে বিষয়টি বলায় তিনি বলে উঠলেন, ‘যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন।’
আড্ডায় মশগুল কেন্দ্রীয় নেতারা!
রাজন ভট্টাচার্য ॥ জাতীয় পার্টির ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিজয়নগরে দলটির সমাবেশ। রাজধানীর আশপাশের জেলা থেকেও বাসে করে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আনা হয়েছে। সবার মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। বুঝতে সন্দেহ নেই সবাই দলের নিবেদিতপ্রাণ। ইতোমধ্যে মঞ্চে ওঠেছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এবার কেন্দ্রীয় নেতাদের চেয়ার দখলের প্রতিযোগিতা। যারা চেয়ার পাননি তারা মঞ্চে উঠে এরশাদকে চেহারা দেখাতে ব্যস্ত। অনেকেই এই মিশনে সফল হয়েছেন। কিন্তু সমাবেশ শেষে র্যালি। প্রস্তুত সবাই। এরশাদের নেতৃত্বে বিজয়নগর থেকে মতিঝিলির দিকে যাচ্ছে বর্ণাঢ্য র্যালিটি। তখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেখা গেল বিপরীত চিত্র। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে তখন অফিসে বসে আড্ডায় মশগুল। আড্ডায় যারা ছিলেন তাদের অনেকে একটু আগেই মঞ্চে দলীয় চেয়ারম্যানকে চেহারা দেখাতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমে ছিলেন!
No comments