বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় বাংলায় রূপান্তর : by এনামুল হক
৫৩৩ ধারাটি নিম্নরূপ : "৫৩৩। ১৬৪ ও ৩৬৪ ধারার বিধানাবলী পালিত না হওয়া (১) ১৬৪ ধারা ও ৩৬৪ ধারায় কোন অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধ স্বীকারোক্তি বা অপর কোন বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে কিংবা রেকর্ডভুক্ত হয়েছে বলে অভিপ্রেত এমন কোন আদালতে সা্যপ্রমাণ লাভ করে বা প্রাপ্ত হয়ে যদি দেখতে পায় যে বক্তব্য রেকর্ডভুক্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট এই দুটি ধারার বিধানাবলীর কোন একটি পালন করেনি তাহলে আদালত এ মর্মে সা্য প্রমাণ নেবে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রেকর্ডভুক্ত বক্তব্যটি যথাযথভাবেই প্রদান করেছে এবং এভিডেন্স এ্যাক্ট ১৮৭২, ৯১ ধারায় যা-ই সনি্নবেশিত তাক না কেন, ঐ ভ্রান্তির কারণে যদি দোষগুণের ভিত্তিতে আসামির আত্মপ সমর্থনের ব্যাপারটি তিগ্রস্ত না হয় তাহলে এমন বক্তব্যকে গ্রহণ করা হবে।
(২) এই ধারার বিধানাবলী আপীল আদালত, রেফারেন্স আদালত ও রিভিশন আদালতের েেত্র প্রযোজ্য।"এই ধারায় ১৬৪ বা ৩৬৪ ধারার যে কোন বিধান পালন না করা থেকে উদ্ভূত কোন ভুল সংশোধনের একটা পদ্ধতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো এ জাতীয় বিধান পালন না করার কারণে ন্যায়বিচারের ব্যাঘাত রোধ করা। এই ধারার কোন বিধান যদি একজন ম্যাজিস্ট্রেট পালন না করে থাকেন তাহলে সেই পালন না করার কারণে আসামির আত্মপ সমর্থনের বিষয়টি তিগ্রস্ত না হয়ে থাকলে রেকর্ডকৃত আসামির বক্তব্য যথানিয়মে প্রদত্ত হয়েছিল_ এমন সা্যপ্রমাণ নিয়ে তার অপরাধ স্বীকারোক্তিকে এই ধারাবলে গ্রহণ করা যেতে পারে। ১৬৪ ও ৩৬৪ ধারার কোন বিধান মানতে ব্যর্থতার কারণে রেকর্ডকৃত অপরাধ স্বীকারোক্তি বা বক্তব্য যদি অগ্রহণযোগ্য হয় তাহলে এভিডেন্স এ্যাক্টের ৯১ ধারায় যাই থাকুক না কেন এ েেত্র অভিযুক্ত ব্যক্তি যথানিয়মে বক্তব্য প্রদান করেছে_ এটা প্রমাণ করার জন্য অপরিহার্য সা্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা যেতে পারে এবং এভাবে প্রমাণিত বক্তব্যটি গ্রহণ করা যেতে পারে এবং মামলার সা্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে_যদি সংশ্লিষ্ট বিধান পালন না করার কারণে আসামি তিগ্রস্ত না হয়। বিধান পালন না করার ত্রুটি তখনই দূর হবে যখন গুণাগুণের ভিত্তিতে আত্মপ সমর্থনের েেত্র আসামির কোন ধরনের তিসাধন হবে না।
মোহাম্মদ আলী ও অন্যান্য বনাম সম্রাট, ৩৫ ক্রি. এন. জে ৩৮৫ (এফবি) মামলায় এই অভিমত নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে : "ফৌজদারী কার্যবিধির ধারাগুলোর বিধানসমূহের, বিশেষ করে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৩৩ ধারার অন্তর্গত বিধানগুলোর পরিপ্রেেিত একথা বলা কঠিন যে প্রশ্নোত্তর রেকর্ডভুক্ত করার কাজটা বাদ পড়ে যাওয়া এক মারাত্মক ত্রুটি। প্রশ্নোত্তর রেকর্ডভুক্ত করেই কোন একটা স্বীকারোক্তির মাধ্যমে উপাত্ত জোগানো যায় যার ভিত্তিতে আদালত এ স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় দেয়া হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে পেঁঁৗছতে পারে। একথা বলাও সমভাবে কঠিন যে এসব তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ করার সময় বিচারিক আদালতের প েএমন স্বীকারোক্তি যে স্বেচ্ছায় দেয়া হয়েছে সেটা মূল্যায়ন করতে পারা সর্বদাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ত্রুটি বা ঘাটতিটা নিঃসন্দেহে এক মারাত্মক অনিয়ম এবং বিশেষ কতিপয় েেত্র এই কারণে গুণাগুণের ভিত্তিতে আত্মপ সমর্থন করতে গিয়ে আসামি তিগ্রস্ত হতে পারে। তবে এ ধরনের ত্রে বাদে এমন একটা ত্রুটি বা ঘাটতি সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা রয়েছে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৩৩ ধারার বিধানাবলীর মাধ্যমে। খোদ আসামির বক্তব্যের মধ্য থেকে অভ্যন্তরীণ সেসব সা্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তা থেকে কিংবা আসামির বক্তব্যটা স্বেচ্ছায় প্রদত্ত হয়েছে এই মর্মে অন্যান্য সা্যপ্রমাণ থেকে আদালত অবাধে একটা উপসংহারে পেঁঁৗছতে পারেন এবং প্রশ্নোত্তরের রেকর্ডভুক্তি বাদ পড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি আদালতের সেই উপসংহারে পেঁঁৗছানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। একথাও বলা যায় না যে এসব তথ্য ও উপাত্ত ছাড়া আদালতের প েএমন উপসংহারে পেঁঁৗছা "অসম্ভব" যে স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় দেয়া হয়েছে। অবশ্য যেখানে ত্রুটিটা শুধুমাত্র আসামির বক্তব্য যথাযথ আকারে ও আইনানুযায়ী রেকর্ডভুক্ত করা সংক্রান্তই নয় উপরন্তু সেই বক্তব্য মোটেই যথাযথভাবে দেয়া হয়নি সেেেত্র অবস্থাটা ভিন্ন রকম হয়ে দাঁড়াবে।"
অবশ্য কেহার সিংয়ের মামলায় (এআইআর ১৯৮৮ এসসি ১৯৮৩) কেহার সিংয়ের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠেছিল যেখানে নিম্নোক্ত মন্তব্য করা হয়েছিল :
"উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো বিচার বিবেচনা করে দেখা হলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ১৬৪(২) ধারার বিধানাবলী অনুযায়ী স্বীকারোক্তি রেকর্ডভুক্ত করার আগে ম্যাজিস্ট্রেট স্বীকারোক্তি প্রদানকারী ব্যক্তির কাছে ব্যাখ্যা করবেন যে তিনি অপরাধ স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য নন এবং তিনি স্বীকারোক্তি দিলে সেটি তার বিরুদ্ধে সা্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ম্যাজিস্ট্রেটের যদি একথা বিশ্বাস করার কারণ ঘটে যে স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় দেয়া হচ্ছে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট সেই স্বীকারোক্তি রেকর্ড করবেন। (ক্রমশ )
মোহাম্মদ আলী ও অন্যান্য বনাম সম্রাট, ৩৫ ক্রি. এন. জে ৩৮৫ (এফবি) মামলায় এই অভিমত নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা হয়েছে : "ফৌজদারী কার্যবিধির ধারাগুলোর বিধানসমূহের, বিশেষ করে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৩৩ ধারার অন্তর্গত বিধানগুলোর পরিপ্রেেিত একথা বলা কঠিন যে প্রশ্নোত্তর রেকর্ডভুক্ত করার কাজটা বাদ পড়ে যাওয়া এক মারাত্মক ত্রুটি। প্রশ্নোত্তর রেকর্ডভুক্ত করেই কোন একটা স্বীকারোক্তির মাধ্যমে উপাত্ত জোগানো যায় যার ভিত্তিতে আদালত এ স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় দেয়া হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে পেঁঁৗছতে পারে। একথা বলাও সমভাবে কঠিন যে এসব তথ্য ও উপাত্ত সরবরাহ করার সময় বিচারিক আদালতের প েএমন স্বীকারোক্তি যে স্বেচ্ছায় দেয়া হয়েছে সেটা মূল্যায়ন করতে পারা সর্বদাই অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ত্রুটি বা ঘাটতিটা নিঃসন্দেহে এক মারাত্মক অনিয়ম এবং বিশেষ কতিপয় েেত্র এই কারণে গুণাগুণের ভিত্তিতে আত্মপ সমর্থন করতে গিয়ে আসামি তিগ্রস্ত হতে পারে। তবে এ ধরনের ত্রে বাদে এমন একটা ত্রুটি বা ঘাটতি সম্পূর্ণরূপে সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা রয়েছে ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৩৩ ধারার বিধানাবলীর মাধ্যমে। খোদ আসামির বক্তব্যের মধ্য থেকে অভ্যন্তরীণ সেসব সা্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে তা থেকে কিংবা আসামির বক্তব্যটা স্বেচ্ছায় প্রদত্ত হয়েছে এই মর্মে অন্যান্য সা্যপ্রমাণ থেকে আদালত অবাধে একটা উপসংহারে পেঁঁৗছতে পারেন এবং প্রশ্নোত্তরের রেকর্ডভুক্তি বাদ পড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি আদালতের সেই উপসংহারে পেঁঁৗছানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। একথাও বলা যায় না যে এসব তথ্য ও উপাত্ত ছাড়া আদালতের প েএমন উপসংহারে পেঁঁৗছা "অসম্ভব" যে স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় দেয়া হয়েছে। অবশ্য যেখানে ত্রুটিটা শুধুমাত্র আসামির বক্তব্য যথাযথ আকারে ও আইনানুযায়ী রেকর্ডভুক্ত করা সংক্রান্তই নয় উপরন্তু সেই বক্তব্য মোটেই যথাযথভাবে দেয়া হয়নি সেেেত্র অবস্থাটা ভিন্ন রকম হয়ে দাঁড়াবে।"
অবশ্য কেহার সিংয়ের মামলায় (এআইআর ১৯৮৮ এসসি ১৯৮৩) কেহার সিংয়ের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠেছিল যেখানে নিম্নোক্ত মন্তব্য করা হয়েছিল :
"উপরোক্ত সিদ্ধান্তগুলো বিচার বিবেচনা করে দেখা হলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ১৬৪(২) ধারার বিধানাবলী অনুযায়ী স্বীকারোক্তি রেকর্ডভুক্ত করার আগে ম্যাজিস্ট্রেট স্বীকারোক্তি প্রদানকারী ব্যক্তির কাছে ব্যাখ্যা করবেন যে তিনি অপরাধ স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য নন এবং তিনি স্বীকারোক্তি দিলে সেটি তার বিরুদ্ধে সা্যপ্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ম্যাজিস্ট্রেটের যদি একথা বিশ্বাস করার কারণ ঘটে যে স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় দেয়া হচ্ছে তাহলে ম্যাজিস্ট্রেট সেই স্বীকারোক্তি রেকর্ড করবেন। (ক্রমশ )
No comments