বিশ্বে উৎপাদিত খাদ্যের অর্ধেকই অপচয় হয়
রতিবছর সারা বিশ্বে উৎপাদিত মোট খাদ্যের প্রায় অর্ধেক বা ২০০ কোটি টন খাদ্য অপচয় হচ্ছে। অপচয়ের এ হার পশ্চিমা বিশ্বেই বেশি। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটেনভিত্তিক ইনস্টিটিউশন অব ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইএমই) এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
'গ্লোবাল ফুড : ওয়েস্ট নট, ওয়ান্ট নট' শীর্ষক প্রতিবেদনে খাদ্য অপচয়ের কারণ হিসেবে খাদ্যশস্যের দুর্বল সংরক্ষণ ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রির বাধ্যবাধকতা, একসঙ্গে বেশি বিক্রির কৌশল (একটা কিনলে একটা ফ্রি) এবং পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাদের খুঁতখুঁতে মানসিকতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবছর উৎপাদিত ৪০০ কোটি টন খাদ্যের ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ (১০০ থেকে ২০০ কোটি টন) খাদ্য অপচয় হচ্ছে। সবজির আকার বা এর গড়ন দেখতে ভালো না হওয়ায় ব্রিটেনে প্রায় ৩০ শতাংশ সবজি ক্ষেত থেকে তোলাই হয় না। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মোট খাদ্যের অর্ধেকই অপচয় করে ভোক্তারা। আর ফসল উৎপাদন করতে গিয়ে বিশ্বব্যাপী ৫৫ হাজার কোটি ঘনমিটার পানি অপচয় হচ্ছে। জ্বালানি, পরিবেশ, শিক্ষা, উৎপাদন ও পরিবহন ব্যবস্থার এবং প্রকৌশল বিদ্যা দিয়ে বিশ্বোন্নয়নের চেষ্টা_আইএমইয়ের কৌশলগত এই নীতির ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
অপচয়ের এ হারকে 'উদ্বেগজনক' বলে উল্লেখ করেছেন আইএমইয়ের জ্বালানি শক্তি ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান ড. টিম ফক্স, 'বিশ্বব্যাপী খাদ্য অপচয়ের হার বিস্ময়কর। অপচয় হওয়া এ পরিমাণ খাদ্য দিয়ে বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব।' টিম ফক্সের ভাষ্যমতে, চাষাবাদে কৌশলগত দুর্বলতা, অপ্রতুল পরিবহনব্যবস্থা এবং সংরক্ষণের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকার জন্যই মূলত খাদ্য অপচয় হচ্ছে। খাদ্য অপচয়ের ফলে জমি, পানি ও জ্বালানিরও অপচয় হচ্ছে। কারণ অপচয় হলেও ওই খাদ্যপণ্য উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণ জমি, পানি ও জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া বিপণিবিতানগুলো 'নিখুঁত' খাদ্যপণ্যে তাদের তাকগুলো ভরিয়ে রাখে এবং বছরজুড়ে নানা রকম ছাড় দেয়। এতে আকৃষ্ট হয়ে ভোক্তারা বেশি বেশি খাদ্যপণ্য কেনে। তবে শেষ পর্যন্ত সবটা তারা ব্যবহার করে না। ফলে অনেক পণ্যই অপচয় হয়।
জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৭৫ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা হবে সাড়ে ৯০০ কোটি। তখন বাড়তি মানুষের খাদ্যের জোগান দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এ কারণে খাদ্য অপচয় রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএমই। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
অপচয়ের এ হারকে 'উদ্বেগজনক' বলে উল্লেখ করেছেন আইএমইয়ের জ্বালানি শক্তি ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান ড. টিম ফক্স, 'বিশ্বব্যাপী খাদ্য অপচয়ের হার বিস্ময়কর। অপচয় হওয়া এ পরিমাণ খাদ্য দিয়ে বিশ্বের কোটি কোটি ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা সম্ভব।' টিম ফক্সের ভাষ্যমতে, চাষাবাদে কৌশলগত দুর্বলতা, অপ্রতুল পরিবহনব্যবস্থা এবং সংরক্ষণের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকার জন্যই মূলত খাদ্য অপচয় হচ্ছে। খাদ্য অপচয়ের ফলে জমি, পানি ও জ্বালানিরও অপচয় হচ্ছে। কারণ অপচয় হলেও ওই খাদ্যপণ্য উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণ জমি, পানি ও জ্বালানি ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া বিপণিবিতানগুলো 'নিখুঁত' খাদ্যপণ্যে তাদের তাকগুলো ভরিয়ে রাখে এবং বছরজুড়ে নানা রকম ছাড় দেয়। এতে আকৃষ্ট হয়ে ভোক্তারা বেশি বেশি খাদ্যপণ্য কেনে। তবে শেষ পর্যন্ত সবটা তারা ব্যবহার করে না। ফলে অনেক পণ্যই অপচয় হয়।
জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৭৫ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা হবে সাড়ে ৯০০ কোটি। তখন বাড়তি মানুষের খাদ্যের জোগান দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এ কারণে খাদ্য অপচয় রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইএমই। সূত্র : বিবিসি, গার্ডিয়ান।
No comments