শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণ-শিক্ষা উন্নয়নে আরেক ধাপ অগ্রগতি
দেশের ২৬ হাজার ২০০ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক লাখ চার হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ হলো ১ জানুয়ারি থেকে। এর মাধ্যমে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো এবং শিক্ষা উন্নয়নের সরকারি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেও আরেক ধাপ এগিয়ে গেল দেশ। তবে এই সাফল্য অর্জনের জন্য লক্ষাধিক শিক্ষককে রাজপথে নামতে হয়েছে।
পুলিশের হাতে নাজেহাল হওয়া ছাড়াও আন্দোলনের শুরুতে নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে শিক্ষকদের একজন আন্দোলনরত অবস্থায় প্রাণও হারিয়েছেন। ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রতিটি সরকারই শিক্ষকদের মৌখিক আশ্বাস দিলেও তাঁদের দাবি মেনে নেয়নি। বর্তমান সরকারও ক্ষমতালাভের পর থেকেই শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু সরকারের সমন্বয়হীনতার কারণে শিক্ষকরা সেই প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থাশীল হতে পারেননি। এমনো দেখা গেছে, সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে আশ্বাসের বাণী শোনানো হলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী তার বিপরীত মন্তব্য করে আন্দোলনকামী শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছেন। এতে করে কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষালাভে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলগুলোতে তালা ঝোলানোর মতো কর্মসূচি পর্যন্ত গ্রহণ করতে হয়েছে শিক্ষকদের।
আশার কথা, সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বুধবার অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের জাতীয় সম্মেলনে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা প্রদান করেন। আশা করা যায়, এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে, তার প্রশমন ঘটবে।
শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণের মাধ্যমে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের একটি ধাপ মাত্র অর্জন হবে। বাকি অংশ পূরণ করতে হলে শিক্ষকদের আন্তরিক ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সরকারি তদারকিব্যবস্থাকে আরো দৃঢ় করতে হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের অধিকাংশেরই উন্নত প্রশিক্ষণ নেই। শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নও অপরিহার্য। গুণগত মানের উন্নয়ন করতে না পারলে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।
এদিকে নন-এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা এখন যে আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিষয়টিও সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন নয়, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। বৃহস্পতিবার তাঁদের কর্মসূচি পালনে পুলিশি বাধা নির্যাতনের রূপ লাভ করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক বিবেচনা করে সরকারের সামর্থ্যসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তাঁদের সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকেই। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই সমাধান হওয়া বাঞ্ছনীয়।
আশার কথা, সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বুধবার অনুষ্ঠিত শিক্ষকদের জাতীয় সম্মেলনে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা প্রদান করেন। আশা করা যায়, এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে, তার প্রশমন ঘটবে।
শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণের মাধ্যমে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের একটি ধাপ মাত্র অর্জন হবে। বাকি অংশ পূরণ করতে হলে শিক্ষকদের আন্তরিক ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি সরকারি তদারকিব্যবস্থাকে আরো দৃঢ় করতে হবে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের অধিকাংশেরই উন্নত প্রশিক্ষণ নেই। শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নও অপরিহার্য। গুণগত মানের উন্নয়ন করতে না পারলে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই উদ্যোগ ব্যর্থ হবে।
এদিকে নন-এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা এখন যে আন্দোলন করছেন, তাঁদের বিষয়টিও সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। শিক্ষকদের ওপর পুলিশি নির্যাতন নয়, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। বৃহস্পতিবার তাঁদের কর্মসূচি পালনে পুলিশি বাধা নির্যাতনের রূপ লাভ করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক বিবেচনা করে সরকারের সামর্থ্যসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তাঁদের সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রেও আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকেই। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই সমাধান হওয়া বাঞ্ছনীয়।
No comments