সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নে রাজি আব্বাস-মেশাল
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও গাজার নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাসের প্রধান খালেদ মেশাল স্থবির হয়ে থাকা সমঝোতা চুক্তি এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। ২০১১ সালের মে মাসে আব্বাসের নেতৃত্বাধীন দল ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়।
গত বুধবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে প্রায় এক বছরের মধ্যে প্রথম বৈঠকে তাঁরা ওই চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে ঐকমত্যে পেঁৗছেন।
২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেওয়ার পর থেকেই ফাতাহর সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের পার্লামেন্টে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও হামাসের কাছে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হয়নি ফাতাহ। এ কারণে হামাস সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয়। ২০১১ সালের এপ্রিলে মিসরের মধ্যস্থতায় বৈরী অবস্থার ইতি টানতে রাজি হন ফাতাহ ও হামাস নেতারা। ঐকমত্যের সরকার গঠনসহ অন্যান্য ব্যাপারে পরের মাসেই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে তারা। এরপর দুই দলের মধ্যে নতুন সংঘাত দেখা না গেলেও চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রায় স্থবির হয়েছিল।
কায়রোতে গত বুধবার আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও হামাসের নির্বাসিত নেতা খালেদ মেশাল। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা শেষবার বৈঠক করেছিলেন। মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মুখপাত্র ইয়াসির আলী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানান, 'ফাতাহ ও হামাস সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে একমত হয়েছে।' হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক বৈঠক সম্পর্কে বলেন, 'সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে ফিলিস্তিনের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাতে রাজি হয়েছে দুই দল। খুবই ভালো ও আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।' ফাতাহ ও হামাস নেতারা শিগগিরই আবারও আলোচনায় বসার অঙ্গীকার করেছেন। তবে এর দিন-তারিখ ঠিক করা হয়নি। চুক্তি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে বলে জানান হামাসের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার মুখপাত্র ইউসুফ রিজাক।
কায়রোতে প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন আব্বাস ও মেশাল। আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে মুরসি ফিলিস্তিনের সব পক্ষের মধ্যে মীমাংসা, গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ও পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের আর্থিক সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। ফাতাহর প্রধান আলোচক আজ্জাম আল-আহমেদ বলেন, 'মুরসি গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনিদের আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে আরব দাতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।' গত জুনে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মুরসি গাজার প্রতি মিসরের সমর্থন বাড়িয়েছেন। সূত্র : এএফপি।
২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেওয়ার পর থেকেই ফাতাহর সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের পার্লামেন্টে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও হামাসের কাছে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হয়নি ফাতাহ। এ কারণে হামাস সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয়। ২০১১ সালের এপ্রিলে মিসরের মধ্যস্থতায় বৈরী অবস্থার ইতি টানতে রাজি হন ফাতাহ ও হামাস নেতারা। ঐকমত্যের সরকার গঠনসহ অন্যান্য ব্যাপারে পরের মাসেই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে তারা। এরপর দুই দলের মধ্যে নতুন সংঘাত দেখা না গেলেও চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রায় স্থবির হয়েছিল।
কায়রোতে গত বুধবার আলোচনায় বসেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও হামাসের নির্বাসিত নেতা খালেদ মেশাল। গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা শেষবার বৈঠক করেছিলেন। মিসরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মুখপাত্র ইয়াসির আলী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানান, 'ফাতাহ ও হামাস সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে একমত হয়েছে।' হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক বৈঠক সম্পর্কে বলেন, 'সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নের ব্যাপারে ফিলিস্তিনের সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাতে রাজি হয়েছে দুই দল। খুবই ভালো ও আন্তরিক পরিবেশে আলোচনা হয়েছে।' ফাতাহ ও হামাস নেতারা শিগগিরই আবারও আলোচনায় বসার অঙ্গীকার করেছেন। তবে এর দিন-তারিখ ঠিক করা হয়নি। চুক্তি ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে বলে জানান হামাসের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ার মুখপাত্র ইউসুফ রিজাক।
কায়রোতে প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন আব্বাস ও মেশাল। আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকে মুরসি ফিলিস্তিনের সব পক্ষের মধ্যে মীমাংসা, গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ও পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের আর্থিক সংকট নিয়ে আলোচনা করেন। ফাতাহর প্রধান আলোচক আজ্জাম আল-আহমেদ বলেন, 'মুরসি গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার ও ফিলিস্তিনিদের আর্থিক সহায়তার ব্যাপারে আরব দাতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।' গত জুনে মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মুরসি গাজার প্রতি মিসরের সমর্থন বাড়িয়েছেন। সূত্র : এএফপি।
No comments