কওমি মাদ্রাসা নিয়ে রাজনীতি by শাহীন হাসনাত
কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতির রূপরেখা প্রণয়নে বর্তমান সরকার কওমি আলেমদের দিয়ে 'বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন' গঠন করে দিলেও কওমি নেতাদের মাঝে সৃষ্ট জট খুলছে না। কওমি মাদ্রাসার ঢাকাকেন্দ্রিক সংগঠন বেফাক সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও বর্তমানে স্বীকৃতির বিপক্ষে
অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক কারণে। বেফাকের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতার কমিশনে সদস্য হতে না পারাই হলো পিছুটানের মূল কারণ। বেফাক স্বীকৃতি নেবে না মর্মে সিদ্ধান্ত নিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কওমি নেতাদের এমন খামখেয়ালি আর সংকীর্ণ চিন্তার বলি কেন হবে তরুণ আলেম সমাজ?
কওমি আলেমদের অতীত পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, বর্তমানের আলেমরা সমাজ থেকে যতটা দূরে ও বিচ্যুত, এর তুলনায় আগের আলেমরা ততটাই সম্পৃক্ত ছিলেন। ওলামায়ে কেরামদের গৌরবান্বিত অতীত তার সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ বিষয়ের প্রতি আলেমদের দৃষ্টি দেওয়া আবশ্যক। অনেক মাদ্রাসার পরিচালক মনে করেন, তার নিয়ন্ত্রণাধীন মাদ্রাসা তার স্বাধীন সাম্রাজ্য। এখানে অন্য কারও নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই। এভাবে স্বাধীনতা ভোগ করার ফলে তারা গোঁড়া হয়ে যাচ্ছে; সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সমাজ বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে সেখানকার শিক্ষার্থীরাও একই মনোভাবে বেড়ে উঠছে। এর অবধারিত প্রভাব পড়ছে মাদ্রাসা, মসজিদ ও ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোতে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান আর দল গড়ে উঠছে। অথচ সমাজ উন্নয়নে তারা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
বর্তমান সময়ের তরুণ আলেমরা এ অবস্থার অবসান চায়। তারা দাবি তুলছে। দাবি আদায় হবে হবে মুহূর্তে বেফাক নেতাদের এমন মনোভাব আত্মহত্যার শামিল। আমরা জানি, বাংলাদেশে বর্তমান কওমি মাদ্রাসার উন্নয়নের একমাত্র ব্যবস্থা হলো চলমান শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও সনদের স্বীকৃতি। দরকার কোরআন-হাদিসের সঙ্গে মিল রেখে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়। তবেই সমাজের সঙ্গে সৃষ্ট কওমি মাদ্রাসার অচলাবস্থার অবসান হবে।
কওমি মাদ্রাসা এবং এর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনায় এই শিক্ষাব্যবস্থাকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। বিগত সরকারগুলো কওমি শিক্ষা নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায়নি। এমতাবস্থায় সনদের স্বীকৃতির দাবি করা হলে এই দাবি নিয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের বদলে রাজনৈতিক স্বার্থপ্রসূত কূটকৌশলই হয়েছে বেশি। বেফাক ও অন্য বোর্ডের নেতাদের দ্বন্দ্বের পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা মেরুকরণও এ জন্য দায়ী। এর মধ্যে কয়েকটি দলের নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে জোট হিসেবে আছে আরও কয়েকটি দল। সরকারের বিরোধী নেতারা স্পষ্ট করেই বলছেন, বর্তমান সরকারের হাত থেকে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি আসুক_ এটা তারা চান না। যে কারণে বেফাকের এই পিছুটান।
গত এপ্রিলে কমিশন গঠনের পর কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এরপর আবার রাজনৈতিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের সমর্থক আলেমরা এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা কমিশনকে সহযোগিতা বাদ দিয়ে আলেমদের আন্দোলনে নামার পরামর্শ দেন। কিন্তু দেশের আপামর আলেম সমাজ মুক্তি চায় এই হীন রাজনৈতিক দরকষাকষি থেকে। দয়া করে আমাদের মুক্তি দেবেন কি?
য় টঙ্গী
কওমি আলেমদের অতীত পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় যে, বর্তমানের আলেমরা সমাজ থেকে যতটা দূরে ও বিচ্যুত, এর তুলনায় আগের আলেমরা ততটাই সম্পৃক্ত ছিলেন। ওলামায়ে কেরামদের গৌরবান্বিত অতীত তার সমুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ বিষয়ের প্রতি আলেমদের দৃষ্টি দেওয়া আবশ্যক। অনেক মাদ্রাসার পরিচালক মনে করেন, তার নিয়ন্ত্রণাধীন মাদ্রাসা তার স্বাধীন সাম্রাজ্য। এখানে অন্য কারও নাক গলানোর কোনো অধিকার নেই। এভাবে স্বাধীনতা ভোগ করার ফলে তারা গোঁড়া হয়ে যাচ্ছে; সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সমাজ বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে সেখানকার শিক্ষার্থীরাও একই মনোভাবে বেড়ে উঠছে। এর অবধারিত প্রভাব পড়ছে মাদ্রাসা, মসজিদ ও ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোতে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান আর দল গড়ে উঠছে। অথচ সমাজ উন্নয়নে তারা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
বর্তমান সময়ের তরুণ আলেমরা এ অবস্থার অবসান চায়। তারা দাবি তুলছে। দাবি আদায় হবে হবে মুহূর্তে বেফাক নেতাদের এমন মনোভাব আত্মহত্যার শামিল। আমরা জানি, বাংলাদেশে বর্তমান কওমি মাদ্রাসার উন্নয়নের একমাত্র ব্যবস্থা হলো চলমান শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও সনদের স্বীকৃতি। দরকার কোরআন-হাদিসের সঙ্গে মিল রেখে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়। তবেই সমাজের সঙ্গে সৃষ্ট কওমি মাদ্রাসার অচলাবস্থার অবসান হবে।
কওমি মাদ্রাসা এবং এর শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বিবেচনায় এই শিক্ষাব্যবস্থাকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। বিগত সরকারগুলো কওমি শিক্ষা নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায়নি। এমতাবস্থায় সনদের স্বীকৃতির দাবি করা হলে এই দাবি নিয়ে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের বদলে রাজনৈতিক স্বার্থপ্রসূত কূটকৌশলই হয়েছে বেশি। বেফাক ও অন্য বোর্ডের নেতাদের দ্বন্দ্বের পাশাপাশি কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নানা মেরুকরণও এ জন্য দায়ী। এর মধ্যে কয়েকটি দলের নেতা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে জোট হিসেবে আছে আরও কয়েকটি দল। সরকারের বিরোধী নেতারা স্পষ্ট করেই বলছেন, বর্তমান সরকারের হাত থেকে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি আসুক_ এটা তারা চান না। যে কারণে বেফাকের এই পিছুটান।
গত এপ্রিলে কমিশন গঠনের পর কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এরপর আবার রাজনৈতিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়। আওয়ামী লীগের সমর্থক আলেমরা এ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা কমিশনকে সহযোগিতা বাদ দিয়ে আলেমদের আন্দোলনে নামার পরামর্শ দেন। কিন্তু দেশের আপামর আলেম সমাজ মুক্তি চায় এই হীন রাজনৈতিক দরকষাকষি থেকে। দয়া করে আমাদের মুক্তি দেবেন কি?
য় টঙ্গী
No comments