কেট মিডলটনের অর্ধ-নগ্ন ছবি প্রকাশে ক্ষোভ

বৃটিশ রাজসিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট মিডলটন ফরাসি এক সাময়িকীতে কেটের উর্ধ্বাঙ্গের নগ্ন ছবি প্রকাশ করার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলে বর্ণনা করেছেন এই রাজদম্পতি।

ক্ষুব্ধ বৃটিশ রাজপরিবারের কর্মকর্তারা বলেছেন এটাকে ‘ব্যক্তিগত গোপনীয়তার চরম লংঘন এবং অনধিকার হস্তক্ষেপ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
উইলিয়াম ও কেট দম্পতি ফ্রান্সে তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পরামর্শ করছেন।

ফ্রান্সে একটি ব্যক্তিগত ‘শ্যাতো’ বা অট্টালিকায় তারা যখন ছুটি কাটাচ্ছিলেন তখন এই ছবি তোলা হয় এবং ছবিটি ছাপায় ফরাসি সাময়িকী ‘ক্লোসার’।

বিবিসির রাজপরিবার বিষয়ক সংবাদদাতা নিকোলাস উইচেল বলছেন, রাজদম্পতি সাময়িকী, অথবা আলোকচিত্রী কিংবা দুজনের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

ছবিগুলো কিছুটা ঝাপসা এবং সেগুলো তোলা হয়েছে ক্যামেরায় লম্বা লেন্স ব্যবহার করে।


বিবিসির প্যারিস সংবাদদাতা বলছেন, সাময়িকীর চার পৃষ্ঠা জুড়ে দম্পতির ছবি ছাপা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো ছবিতে কেটকে উর্ধ্বাঙ্গে কিছু না পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে।

পত্রিকার ওয়েবাসইটে বলা হয়েছে “এই দম্পতিকে এভাবে আগে কখনও দেখা যায়নি। কেটের সদা হাস্যমুখ এবং সংযত, নম্র বেশবাস বিদায় নিয়েছে। ছুটি কাটানোর সময় কেট এসব ভুলে যেতে চান।”

ডিউক ও ডাচেস অফ কেম্ব্রিজ গিয়েছিলেন ফ্রান্সে রাণীর ভাগ্নে লর্ড লিনলির শ্যাতেতে ছুটি কাটাতে।

তবে ক্লোসার নামে ফরাসি যে ম্যাগাজিনে ওই ছবি প্রকাশিত হয়েছে তার সম্পাদিকা লর‍্যাঁ পিউ দাবি করেছেন, ছবি ছাপানোর সিদ্ধান্তে অন্যায় কিছু নেই।

“এই ছবিগুলো নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে এটা একটা সদ্যবিবাহিত দম্পতির ছবি, যারা পরস্পরকে ভালোবাসেন, দেখতেও খুব সুন্দর। আর কেট তো একুশ শতকের একজন রাজকুমারী। তারা দক্ষিণ ফ্রান্সে যেখানে ছিলেন, তার সামনেই গাড়ি চলাচলের রাস্তা ছিল - তাদের তো রাস্তা থেকেই দেখা যাচ্ছিল।”

সংবাদদাতারা বলছেন, এই ঘটনা মনে পড়িয়ে দিচ্ছে সংবাদমাধ্যম ও প্যাপারাৎজির দৌরাত্মে কীভাবে নাজেহাল হয়েছিলেন উইলিয়ামের মা ডায়ানা- প্রিন্সেস অফ ওয়েলস।

প্যারিস থেকে বিবিসির সংবাদদাতা ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেজার জানাচ্ছেন ফ্রান্সে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়ক আইন খুবই কঠোর।

ফ্রান্সে এই আইনের লংঘন একটা ফৌজদারি অপরাধ এবং ব্যক্তিবিশেষের অনুমতি না নিয়ে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু ছাপানো এই আইনের লংঘন।

ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম সাধারণত নিজেরাই এই আইন মেনে খবরাখবর ছাপায়, তবে সেলিবৃটি সাময়িকীগুলোকে এখন প্রায়শই দেখা যায় এই সীমা লংঘন করছে। সূত্র: বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.