স্বপ্নের এক সড়ক ও জলাধার ভরাট by এমএম ইসলাম
ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট সনি্নহিত মাটিকাটা, মানিকদী এবং বৃহত্তর মিরপুরের কালাপানি, কালশী এলাকা বরাবরই শুধু অপ্রতুল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দুর্গম ও অনুন্নত। অথৈ জলরাশি পেরিয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো ক্ষুদ্র পাড়াগুলো এক সময় ছিল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য।
এই এলাকার মানুষের কাছে যা ছিল অতীতে অকল্পনীয়, তা আজ সত্য হওয়ার পথে। বিমানবন্দর সড়ককে মিরপুর ১২ নম্বরের সঙ্গে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে নির্মিত হচ্ছে জিয়া কলোনি থেকে ডিওএইচএস মিরপুর পর্যন্ত সংযোগ সড়ক। অন্যদিকে সেনানিবাসের ওপর দিয়ে বিমানবন্দর সড়ক থেকে মিরপুরকে সংযোগকারী ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এ পথে দিবা-রাত্রি নির্বিঘ্ন সড়ক চলাচল নিশ্চিত হবে। উত্তরা তৃতীয় পর্ব, মিরপুর সেনানিবাস, ডিওএইচএস মিরপুর, মিরপুর-পল্লবী ও ঢাকা সেনানিবাসের ভেতর দিয়ে এয়ারপোর্ট রোডকে সংযোগকারী এই সড়কটি এতটাই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ যে, মাটি ভরাট কাজ চলার সময় থেকেই বিভিন্ন ধরনের যানবাহন এই সড়ক ব্যবহার করা শুরু করেছে। এক সময় আশুলিয়া সড়কে নির্মল পরিবেশ উপভোগ করার জন্য মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও দ্রুতগামী বেপরোয়া যানবাহন, যানজট, বাজে পরিবেশ ইত্যাদি কারণে বর্তমানে আর সে অবস্থা নেই। পক্ষান্তরে প্রতিদিন বিকেল আর সন্ধ্যায় অনেককে সপরিবারে এই নির্মীয়মাণ সড়কের পাশে নির্মল পরিবেশ উপভোগ করতে দেখা যায়। ঢাকা বিমানবন্দরের অতিসনি্নকটে অবস্থিত হওয়ায় এই সড়ক থেকে বিমান ওঠানামার দৃশ্য খুব ভালোভাবে দেখা যায়।
এই সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কর্তৃক এবং ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে শুরু হয়েছে সাইনবোর্ড স্থাপন করে জলাধার ভরাটের প্রতিযোগিতা, চলছে মাটি ভরাট কাজ। ভরাট কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ইতিমধ্যেই নির্মিত সড়কের কিছু অংশ দেবে গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই সড়কের উভয় পাশে এত বেশি ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে উঠবে যে, অদূর ভবিষ্যতে যানজট হবে তার নিত্যসঙ্গী। অথচ ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী এই সড়কে দ্রুতগামী যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে তা যানজটমুক্ত ও নির্বিঘ্ন রাখা প্রয়োজন। ঢাকা শহরবাসীর জন্য একটু সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে এগিয়ে চলেছে হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ। অথচ স্বল্প খরচ ও কম প্রতিকূলতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হাতিরঝিল প্রকল্পের মতো আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়। আর তা করার জন্য অনতিবিলম্বে বিমানবন্দর সড়ক (জিয়া কলোনি)-মিরপুর ১২ সংযোগ সড়কের উভয় পাশে অবস্থিত জলাধারগুলোকে অধিগ্রহণপূর্বক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করতে হবে, বন্ধ করতে হবে সব ধরনের ভরাট ও নির্মাণ কাজ। জলাধার পুনর্খননের পাশাপাশি মিরপুর এলাকায় অবস্থিত গার্মেন্টের ওয়াশ ও ডায়িং প্লান্টগুলোর জন্য ইটিপি বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই এই জলাধারে দূষিত কেমিক্যাল বর্জ্য পতিত হতে না পারে। বৃহত্তর মিরপুর, উত্তরা তৃতীয় পর্ব ও সেনানিবাস এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের স্বার্থেও এই জলাধার সংরক্ষণ করা জরুরি।
ঢাকা শহরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক অবকাঠামো হওয়ায় এর ভবিষ্যৎ রক্ষণাবেক্ষণ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের ওপরই ন্যস্ত হওয়া উচিত। দুই সেনানিবাসের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী এই সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজটি মিলিটারি পুলিশের হাতে দেওয়া হলে অনুমোদনহীন যত্রতত্র পার্কিং ও বাসস্ট্যান্ড, বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালনা, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার মতো বিষয়গুলো দূর করা সম্ভব হবে। যার সুফল ভোগ করবে সংশ্লিষ্ট সকলেই।
সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সড়কের উভয় পাশে সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ আকর্ষণীয় বিনোদন ও অবকাশযাপন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায়। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতিসত্বর সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
islam3150@yahoo.com
এই সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানি কর্তৃক এবং ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে শুরু হয়েছে সাইনবোর্ড স্থাপন করে জলাধার ভরাটের প্রতিযোগিতা, চলছে মাটি ভরাট কাজ। ভরাট কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে ইতিমধ্যেই নির্মিত সড়কের কিছু অংশ দেবে গেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই সড়কের উভয় পাশে এত বেশি ভবন ও অন্যান্য অবকাঠামো গড়ে উঠবে যে, অদূর ভবিষ্যতে যানজট হবে তার নিত্যসঙ্গী। অথচ ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী এই সড়কে দ্রুতগামী যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে তা যানজটমুক্ত ও নির্বিঘ্ন রাখা প্রয়োজন। ঢাকা শহরবাসীর জন্য একটু সুস্থ ও নির্মল পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে এগিয়ে চলেছে হাতিরঝিল প্রকল্পের কাজ। অথচ স্বল্প খরচ ও কম প্রতিকূলতায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হাতিরঝিল প্রকল্পের মতো আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়। আর তা করার জন্য অনতিবিলম্বে বিমানবন্দর সড়ক (জিয়া কলোনি)-মিরপুর ১২ সংযোগ সড়কের উভয় পাশে অবস্থিত জলাধারগুলোকে অধিগ্রহণপূর্বক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করতে হবে, বন্ধ করতে হবে সব ধরনের ভরাট ও নির্মাণ কাজ। জলাধার পুনর্খননের পাশাপাশি মিরপুর এলাকায় অবস্থিত গার্মেন্টের ওয়াশ ও ডায়িং প্লান্টগুলোর জন্য ইটিপি বাধ্যতামূলক করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই এই জলাধারে দূষিত কেমিক্যাল বর্জ্য পতিত হতে না পারে। বৃহত্তর মিরপুর, উত্তরা তৃতীয় পর্ব ও সেনানিবাস এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের স্বার্থেও এই জলাধার সংরক্ষণ করা জরুরি।
ঢাকা শহরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক অবকাঠামো হওয়ায় এর ভবিষ্যৎ রক্ষণাবেক্ষণ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের ওপরই ন্যস্ত হওয়া উচিত। দুই সেনানিবাসের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী এই সড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজটি মিলিটারি পুলিশের হাতে দেওয়া হলে অনুমোদনহীন যত্রতত্র পার্কিং ও বাসস্ট্যান্ড, বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ি চালনা, ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার মতো বিষয়গুলো দূর করা সম্ভব হবে। যার সুফল ভোগ করবে সংশ্লিষ্ট সকলেই।
সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এই সড়কের উভয় পাশে সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ আকর্ষণীয় বিনোদন ও অবকাশযাপন কেন্দ্র গড়ে তোলা যায়। এ জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অতিসত্বর সক্রিয় ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
islam3150@yahoo.com
No comments