যা নিয়ে আছি- হয় লিখি, নয় পড়ি

সেলিনা হোসেন, বিশিষ্ট লেখক। বাংলা একাডেমীর পরিচালক ছিলেন। বছর কয়েক হলো অবসর নিয়েছেন। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, শিশুতোষসহ বিবিধ বিষয়ে লেখালেখি করেন। সৃজনশীল, মননশীল ও সম্পাদনা মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা আশির ওপরে।


উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: গায়ত্রী সন্ধ্যা, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি, মগ্নচৈতন্যে শিস, নীল ময়ূরের যৌবন, যাপিত জীবন, হাঙর নদী গ্রেনেড, পোকামাকড়ের ঘরবসতি, যমুনা নদীর মুশায়রা প্রভৃতি।

দ্য কাইট রানার
আমি হয় লিখি, না হয় পড়ি। শত কাজ, নানা ঝামেলার পরও যেকোনোভাবেই হোক লেখার সময়টা বের করি। একটা সময় যখন বাচ্চারা ছোট ছিল, তখন তাদের এক ঘণ্টার জন্য ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে হলেও কয়েক পৃষ্ঠা লেখার চেষ্টা করেছি। দারুণ আগ্রহ নিয়ে পড়ছি আফগানিস্তানের লেখক খালেদ হুসেইনির দ্য কাইট রানার। অসম্ভব ভালো লাগছে। পড়ছি সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ছয়টি উপন্যাস নিয়ে এক খণ্ডের একটি বই। প্রিয় লেখক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, শামসুর রাহমান, হাসান আজিজুল হক, শহীদ কাদরীসহ আরও অনেকে।

আমার সকল দুঃখের প্রদীপ
গান আমার অসম্ভব প্রিয়। বিনোদনের প্রধান সঙ্গী। লেখার সময়সহ সব সময়ই গান শুনি। অবশ্য সেটা মন ও মেজাজের ওপর নির্ভর করে। প্রিয় গানের কলি ‘আমার সকল দুঃখের প্রদীপ’। এই গানটার মধ্য দিয়ে আমি আমার মেয়ে ফারিয়া লারাকে স্মরণ করি। যতবারই গানটার লাইনটা শুনি, মনে হয় লারা আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রিয় শিল্পী অনেকেই। এ মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে—সুচিত্রা মিত্র, দেবব্রত বিশ্বাস, ফিরোজা বেগম, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, ভূপেন হাজারিকা, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন প্রমুখ।

লাইফ ইজ বিউটিফুল
একসময় প্রচুর চলচ্চিত্র দেখেছি। আগে তো রোববার এলেই বলাকায় সিনেমা দেখা একটা সাপ্তাহিক কাজে পরিণত হয়েছিল। কিছুদিন আগে দেখেছি, রবের্তো বেনিগনির লাইফ ইজ বিউটিফুল ছবিটি। বেশ ভালো লেগেছে। সর্বশেষ দেখা চলচ্চিত্র নাসিরউদ্দীন ইউসুফের গেরিলা। আমার প্রিয় চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় আর মৃণাল সেন।

ডৌয়াতলা
ভ্রমণ আমার খুবই প্রিয়। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা আমি বেড়িয়েছি। ২৭টি দেশ ঘুরেছি। বিদেশে ইন্দোনেশিয়ার বালি আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা। স্থানটির একটা নিজস্বতা রয়েছে, যা অন্যদের চেয়ে একেবারে আলাদা। দেশে বরগুনা জেলার ডৌয়াতলায় বারবার যেতে ইচ্ছে করে। ওখানে সবার সহযোগিতায় একটি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছি। এ কারণেও ডৌয়াতলার প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে।

রাঢ়াং ও বিনোদিনী
চিত্র প্রদর্শনীতে যাওয়ার খুব একটা সময় পাই না। মাঝেমধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগে বালি থেকে আমার পছন্দের একটা ছবি কিনেছি। একসময় নিয়মিত মঞ্চনাটক দেখতাম। এখন সময় ও সুযোগের ওপর নির্ভর করে। আরণ্যকের রাঢ়াং ও ঢাকা থিয়েটারের বিনোদিনী দেখে ভালো লেগেছে।
 সাক্ষাৎকার: এ আহমেদ

No comments

Powered by Blogger.