জাহাজগুলো ওই দ্বীপগুলোর কাছে নিয়মিত টহল দেবে, দ্বীপগুলোয় চীনের কর্তৃত্ব নিশ্চিত করবে -বিরোধপূর্ণ দ্বীপের কাছে চীনের ছয়টি জাহাজ
পূর্ব চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলোর কাছের জলসীমায় প্রবেশ করেছে চীনের ছয়টি টহল জাহাজ। জাপান এ কথা জানিয়েছে। জনবসতিহীন ওই দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা চীন ও জাপান উভয়েই দাবি করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।
জাপানের কোস্টগার্ডের ভাষ্যমতে, চীনের দুটি জাহাজ গতকাল শুক্রবার সকালে জাপানি জলসীমায় প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পরই আরও চারটি জাহাজ সেখানে পৌঁছায়। জাহাজগুলোকে সেখান থেকে সরে যেতে সতর্কসংকেত জারি করেছে জাপানের কোস্টগার্ড।
চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, জাহাজগুলো ওই দ্বীপগুলোর কাছে নিয়মিতভাবে টহল দেবে। দ্বীপগুলোর ওপর চীনের কর্তৃত্ব ঘোষণা এবং জেলেদের সুরক্ষা দেওয়াই এর উদ্দেশ্য।
পাথুরে ওই দ্বীপগুলো জাপানে ‘সেনকাকু’ এবং চীনে ‘দিয়াওউ’ নামে পরিচিত। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তিমালিকানাধীন এসব দ্বীপ সম্প্রতি জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় জাপান। চীনের শত শত বিক্ষোভকারী গত বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে জাপানি দূতাবাসের বাইরে জড়ো হয়ে জাপানের ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানায়। তারা দ্বীপগুলো থেকে জাপানকে সরে যেতে আহ্বান জানায়। চীনা কর্তৃপক্ষ ওই বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়। তবে বিক্ষোভকারীরা জাপানি দূতাবাসের কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োদো জানায়, চীনের সাংহাই এবং ফুজিয়ান প্রদেশেও জাপানবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
চীনে জাপানবিরোধী বিক্ষোভগুলোতে জাপানি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী জিয়াং জেংওয়ে বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দ্বীপ নিয়ে বিরোধ চীন ও জাপানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোয়িচিরো জেমবা সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, চীন হচ্ছে জাপানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার।
অন্যদিকে সিনহুয়ার ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, দিয়াওউ দ্বীপপুঞ্জ ‘কিনে নেওয়ার’ বিষয়ে জাপানের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে দেশটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাধারণ ভিত্তিকে লঙ্ঘন করেছে। এটা চীনের সার্বভৌমত্বের ওপরে একটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ, যা চীনা প্রজাতন্ত্রের মধ্যে বিরাট ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। সিনহুয়া।
চীনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, জাহাজগুলো ওই দ্বীপগুলোর কাছে নিয়মিতভাবে টহল দেবে। দ্বীপগুলোর ওপর চীনের কর্তৃত্ব ঘোষণা এবং জেলেদের সুরক্ষা দেওয়াই এর উদ্দেশ্য।
পাথুরে ওই দ্বীপগুলো জাপানে ‘সেনকাকু’ এবং চীনে ‘দিয়াওউ’ নামে পরিচিত। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এলাকায় অবস্থিত ব্যক্তিমালিকানাধীন এসব দ্বীপ সম্প্রতি জাতীয়করণের ঘোষণা দেয় জাপান। চীনের শত শত বিক্ষোভকারী গত বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে জাপানি দূতাবাসের বাইরে জড়ো হয়ে জাপানের ওই পদক্ষেপের নিন্দা জানায়। তারা দ্বীপগুলো থেকে জাপানকে সরে যেতে আহ্বান জানায়। চীনা কর্তৃপক্ষ ওই বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়। তবে বিক্ষোভকারীরা জাপানি দূতাবাসের কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োদো জানায়, চীনের সাংহাই এবং ফুজিয়ান প্রদেশেও জাপানবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
চীনে জাপানবিরোধী বিক্ষোভগুলোতে জাপানি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী জিয়াং জেংওয়ে বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেন, দ্বীপ নিয়ে বিরোধ চীন ও জাপানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোয়িচিরো জেমবা সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, চীন হচ্ছে জাপানের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার।
অন্যদিকে সিনহুয়ার ইংরেজি সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে, দিয়াওউ দ্বীপপুঞ্জ ‘কিনে নেওয়ার’ বিষয়ে জাপানের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে দেশটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাধারণ ভিত্তিকে লঙ্ঘন করেছে। এটা চীনের সার্বভৌমত্বের ওপরে একটি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ, যা চীনা প্রজাতন্ত্রের মধ্যে বিরাট ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। সিনহুয়া।
No comments