নির্বাচন কমিশনের সংলাপ-কার্যকর ও ফলপ্রসূ হোক
সুশীল সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমান কমিশনের এটাই প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠান। আরেকটি সাধারণ নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনের আগে এমন সংলাপ অনুষ্ঠান অত্যন্ত জরুরি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নাগরিক সংগঠনসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে তো বটেই, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের বৈঠক জরুরি। ধরে নেওয়া যায়, সেই ধারাবাহিকতার শুরু এই বৈঠক।
নির্বাচন কমিশনের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান ও আগামী সংসদ নির্বাচন। বিশেষ করে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার সংকট বিরাজমান, তখন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনের আগে কমিশনকে যেসব বড় সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে তার একটি হচ্ছে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের জটিলতা। অন্যদিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কাজও রয়েছে। সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি জটিল ও স্পর্শকাতর। জাতীয় সংসদের সীমানা পুননির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০০১ সাল পর্যন্ত একই ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হলেও ২০০৮ সালে জনসংখ্যার ভিত্তিতে করতে গিয়ে ঢাকা মহানগরীর আসন বেড়ে আট থেকে হয়েছে ১৫। সারা দেশের ১৩০টি সংসদীয় এলাকায় কমবেশি পরিবর্তন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারও যদি জনসংখ্যা বিবেচনা করে আসন বিন্যাস করা হয়, তাহলে ঢাকার আসন হবে ২৫টি। আসন বিন্যাস ও সীমানা পুনর্নির্ধারণের ব্যাপারে এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিপুলসংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন হয়েছে। গণমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি কম হয়নি। ২০০১ সালের সীমানায় ফিরে যাওয়া, ২০০৮ সালের সীমানা বহাল রাখা এবং ঢাকার আসন ১৫ থেকে কমিয়ে ১০টিতে আনার প্রস্তাবও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ তাদের হাতে সময় অনেক কম। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হবে।
ভোটারের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হওয়ার বিষয়টি সীমানা নির্ধারণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এই জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করতে হবে। নাগরিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যত বেশি সংলাপ অনুষ্ঠান হবে, ততই মঙ্গল। তাতে ধীরে ধীরে আস্থার সংকট কেটে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দূরত্ব কমে আসবে। আস্থাহীনতার জায়গায় তৈরি হবে আস্থাশীল পরিবেশ- যা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত।
একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীন ও শক্তিশালী, সেটা প্রমাণের সময় এখন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্য এটা একটা বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশনকে উত্তীর্ণ হতে হবে। আমরা মনে করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সব সংকটের অবসান ঘটিয়ে একটি নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে। এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এই পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে সংলাপ। নির্বাচন কমিশনে যে সংলাপ অনুষ্ঠান হয়েছে, আমরা আশা করব তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
ভোটারের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হওয়ার বিষয়টি সীমানা নির্ধারণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। এই জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করতে হবে। নাগরিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যত বেশি সংলাপ অনুষ্ঠান হবে, ততই মঙ্গল। তাতে ধীরে ধীরে আস্থার সংকট কেটে যাবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দূরত্ব কমে আসবে। আস্থাহীনতার জায়গায় তৈরি হবে আস্থাশীল পরিবেশ- যা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম পূর্বশর্ত।
একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীন ও শক্তিশালী, সেটা প্রমাণের সময় এখন। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্য এটা একটা বড় পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় নির্বাচন কমিশনকে উত্তীর্ণ হতে হবে। আমরা মনে করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সব সংকটের অবসান ঘটিয়ে একটি নির্বাচনমুখী পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে। এই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এই পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে সংলাপ। নির্বাচন কমিশনে যে সংলাপ অনুষ্ঠান হয়েছে, আমরা আশা করব তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
No comments