সুরঞ্জিতের পরিণতি থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়েছেন তোফায়েল by রফিকুল ইসলাম রনি
সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পরিণতি থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়েই মন্ত্রিত্ব নেননি তোফায়েল আহমেদ। এই সিনিয়র নেতার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বললে তারা এমন মন্তব্যই করেছেন। তাছাড়া সরকারের শেষ সময়ে মন্ত্রিত্ব নিয়ে কিছুই করতে পারবেন না বলে বৃহস্পতিবারই তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
নিজের এপিএস বস্তাভর্তি টাকাসহ ধরা পড়ার পর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সে সময় আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী মহলের চাপের মুখে পড়েন তিনি। এই সময় তার পক্ষে দলের কোনো নেতা দাঁড়ায়নি। উল্টো তাকে নিয়ে দলের অনেকের টিপ্পনি কাটার কথা সবারই জানা। কারণ মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বক্তব্য রাখতেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তিনি অনেকটা অসহায় অবস্থায় পড়েন। পরে তাকে ‘উজিরে খামাখা’ রাখলেও সুরঞ্জিতের ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। রাজনীতির খোঁজখবর যারা রাখেন তারা ওই সময় মন্তব্য করেছেন, সুরঞ্জিতকে ‘সাইজ’ করা হলো। কারণ তিনি ওয়ান ইলেভেনের জোর সমর্থক ছিলেন।
কিন্ত অন্য এক মন্ত্রী এবং উপদেষ্টার বিষয়ে বিষয়টি অন্যরকম দেখা দেয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ কাঁধে নিয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরতে হয়। উপদেষ্টা মশিউর রহমানের বিরদ্ধেও অভিযোগ ওঠেছে। তাকেও সরাতে বলছে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু স্বয়ং তাদের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার গণভবনের এক অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কেউই মন্ত্রী আবুল হোসেন ও উপদেষ্টা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সুরঞ্জিত সম্পর্কে কখনো এ ধরনের অবস্থান নেননি।
মন্ত্রিত্বের প্রস্তাবের বিষয়টি দলের হাইকমান্ড বা দায়িত্বশীল কোনো নেতা টেলিফোন করে তোফায়েলকে জানাননি। জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বিষয়টিকে চরম অবমাননাকর হিসেবে নিয়েছেন তোফায়েল, জানিয়েছেন তার ঘনিষ্টজন।
২০০৭ সালের এক-এগারোর পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংস্কারপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত হন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এ সময় অনেক সিনিয়র নেতাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ নামও যুক্ত হয়। সরকার গঠনের সময়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে তরুণদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরপর দুই দফায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে দলের কঠোর সমালোচক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রী করা হয়।
২০০৯ সালের ২৪ জুলাই সর্বশেষ কাউন্সিলে দলের মূলধারা থেকে বাদ পড়েন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তোফায়েল আহমেদসহ বেশ ক’জন সিনিয়র নেতা । সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে বাদ পড়ার পর তাদের দলের উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এ অন্তর্ভুক্তিতে খুশি ছিলেন না কেউ।
মহাজোট সরকার এখন কঠিন সময় খারাপ সময় পার করছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল, ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনাও সরকারের বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এসব ঘটনায় সরকার ঘরে-বাইরে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে রয়েছে। এ নিয়ে সংসদে দাড়িয়ে তোফায়েল আহমেদও সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিত্ব না নেয়া ঘরে-বাইরে চরমভাবে সমালোচিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে তোফায়েরকে নিয়েও দলের মধ্যে চলছে নানা হিসাব- নিকাশ। সরকার ক্ষমতায় আসলেও যারা বঞ্চিত তারা বলছেন, তোফায়েল আহমেদ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের মতে, ডুবন্ত তরিতে উঠে শেষ বয়সে বদনাম নিয়ে লাভ কি? মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য চার বছরের নানা ব্যর্থতার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে, নানামুখি সংকট থেকে মুক্তি পেতেই এই প্রবীণ নেতাকে মন্ত্রী বানানোর চিন্তা করা হচ্ছিল।
তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিত্ব না নিয়ে বিরোধী দলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন বলে মনে করেন দলের অনেক নেতা। তবে কেউই সরাসরি মুখ খোলেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রভাবশালী বার্তা২৪ ডটনেটকে বললেন, “ ভাই বিষয়টি নিয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। আমাদের কাছে মতামত চেয়ে বিব্রত করবেন না।’’
বৃহস্পতিবার সাত মন্ত্রীর শপথ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘‘ আমি কাউকে ফোন করিনি। সাতজনকে মন্ত্রী করার কথা ছিল,সাতজনই মন্ত্রী হয়েছেন।’’
তোফায়েল -মেনন মন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করায় বিএনপি নেকাকর্মীরা বলেছেন, ‘‘তোফায়েল, মেনন মন্ত্রিত্ব না নিয়ে সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন।’’
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবারই বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেছেন, ‘‘ মন্ত্রী নয়, আওয়ামী লীগের তোফায়েল হয়ে থাকতে চাই।’’
আওয়ামী লীগের এক সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪ ডটনেট জানান, ‘‘তোফায়েল আহমেদের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করে তিনি বিরোধী দলের হাতে ইস্যু তুলে দিয়েছেন।’’
তবে তোফায়েলের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, দলে এবং সরকারের তোফায়েল আহমেদ উপেক্ষার শিকার। শেষ বেলায় মন্ত্রিত্ব নিয়ে তিনি সরকারের ব্যর্থতার দায় নিতে চান না। তাছাড়া সঠিক সময়ে মূল্যায়ন না করে সঙ্কট মুহূর্তে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবকে তোফায়েল ‘অপমানকর’ বলেই মনে করেছেন।
এ ছাড়া সংস্কারপন্থী বলে অভিযুক্ত দলের অনেকেই তোফায়েল আহমেদকে মন্ত্রিত্ব না নেয়ার পরামর্শ দেন বলেও জানা গেছে। পাশাপাশি সংস্কারপন্থী হয়েও মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ‘পরিণতি’ও মন্তীত্বের বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে, জানিয়েছেন তার এক ঘনিষ্টজন।
সূত্র জানায়, এই ঘটনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। দিনের পর দিন দলের সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়নে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও অসন্তুষ্টির খবর কারো অজানা নয় । অসম্মানের দুঃখ বুকে নিয়েই পরপারে চলে গেছেন দলটির বর্ষীয়ান রাজনীতিক আবদুর রাজ্জাক। গত চারটি বছর ধরেই আওয়ামী লীগের হয়ে ষাটের দশক থেকে এ পর্যন্ত রাজপথ কাঁপানো প্রবীণ রাজনীতিক আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল কোনো মূল্যায়ন পাননি। সংস্কারপন্থী ইস্যুতে ঝরে গেছেন বেশ কয়েকজন ডাকসাইটে সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় নেতা।
কিন্ত অন্য এক মন্ত্রী এবং উপদেষ্টার বিষয়ে বিষয়টি অন্যরকম দেখা দেয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ কাঁধে নিয়ে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরতে হয়। উপদেষ্টা মশিউর রহমানের বিরদ্ধেও অভিযোগ ওঠেছে। তাকেও সরাতে বলছে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু স্বয়ং তাদের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রী গত শনিবার গণভবনের এক অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কেউই মন্ত্রী আবুল হোসেন ও উপদেষ্টা মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সুরঞ্জিত সম্পর্কে কখনো এ ধরনের অবস্থান নেননি।
মন্ত্রিত্বের প্রস্তাবের বিষয়টি দলের হাইকমান্ড বা দায়িত্বশীল কোনো নেতা টেলিফোন করে তোফায়েলকে জানাননি। জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বিষয়টিকে চরম অবমাননাকর হিসেবে নিয়েছেন তোফায়েল, জানিয়েছেন তার ঘনিষ্টজন।
২০০৭ সালের এক-এগারোর পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সংস্কারপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত হন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। এ সময় অনেক সিনিয়র নেতাদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ নামও যুক্ত হয়। সরকার গঠনের সময়ে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে তরুণদের দিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরপর দুই দফায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে দলের কঠোর সমালোচক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্ত্রী করা হয়।
২০০৯ সালের ২৪ জুলাই সর্বশেষ কাউন্সিলে দলের মূলধারা থেকে বাদ পড়েন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তোফায়েল আহমেদসহ বেশ ক’জন সিনিয়র নেতা । সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে বাদ পড়ার পর তাদের দলের উপদেষ্টামণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এ অন্তর্ভুক্তিতে খুশি ছিলেন না কেউ।
মহাজোট সরকার এখন কঠিন সময় খারাপ সময় পার করছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল, ডেসটিনির আর্থিক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনাও সরকারের বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এসব ঘটনায় সরকার ঘরে-বাইরে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে রয়েছে। এ নিয়ে সংসদে দাড়িয়ে তোফায়েল আহমেদও সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিত্ব না নেয়া ঘরে-বাইরে চরমভাবে সমালোচিত হচ্ছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে তোফায়েরকে নিয়েও দলের মধ্যে চলছে নানা হিসাব- নিকাশ। সরকার ক্ষমতায় আসলেও যারা বঞ্চিত তারা বলছেন, তোফায়েল আহমেদ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের মতে, ডুবন্ত তরিতে উঠে শেষ বয়সে বদনাম নিয়ে লাভ কি? মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য চার বছরের নানা ব্যর্থতার বেড়াজালে জড়িয়ে পড়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে, নানামুখি সংকট থেকে মুক্তি পেতেই এই প্রবীণ নেতাকে মন্ত্রী বানানোর চিন্তা করা হচ্ছিল।
তোফায়েল আহমেদ মন্ত্রিত্ব না নিয়ে বিরোধী দলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন বলে মনে করেন দলের অনেক নেতা। তবে কেউই সরাসরি মুখ খোলেননি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রভাবশালী বার্তা২৪ ডটনেটকে বললেন, “ ভাই বিষয়টি নিয়ে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। আমাদের কাছে মতামত চেয়ে বিব্রত করবেন না।’’
বৃহস্পতিবার সাত মন্ত্রীর শপথ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,‘‘ আমি কাউকে ফোন করিনি। সাতজনকে মন্ত্রী করার কথা ছিল,সাতজনই মন্ত্রী হয়েছেন।’’
তোফায়েল -মেনন মন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করায় বিএনপি নেকাকর্মীরা বলেছেন, ‘‘তোফায়েল, মেনন মন্ত্রিত্ব না নিয়ে সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন।’’
এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবারই বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেছেন, ‘‘ মন্ত্রী নয়, আওয়ামী লীগের তোফায়েল হয়ে থাকতে চাই।’’
আওয়ামী লীগের এক সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪ ডটনেট জানান, ‘‘তোফায়েল আহমেদের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ না করে তিনি বিরোধী দলের হাতে ইস্যু তুলে দিয়েছেন।’’
তবে তোফায়েলের ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, দলে এবং সরকারের তোফায়েল আহমেদ উপেক্ষার শিকার। শেষ বেলায় মন্ত্রিত্ব নিয়ে তিনি সরকারের ব্যর্থতার দায় নিতে চান না। তাছাড়া সঠিক সময়ে মূল্যায়ন না করে সঙ্কট মুহূর্তে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবকে তোফায়েল ‘অপমানকর’ বলেই মনে করেছেন।
এ ছাড়া সংস্কারপন্থী বলে অভিযুক্ত দলের অনেকেই তোফায়েল আহমেদকে মন্ত্রিত্ব না নেয়ার পরামর্শ দেন বলেও জানা গেছে। পাশাপাশি সংস্কারপন্থী হয়েও মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ‘পরিণতি’ও মন্তীত্বের বিষয়ে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে, জানিয়েছেন তার এক ঘনিষ্টজন।
সূত্র জানায়, এই ঘটনা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। দিনের পর দিন দলের সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়নে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরেও অসন্তুষ্টির খবর কারো অজানা নয় । অসম্মানের দুঃখ বুকে নিয়েই পরপারে চলে গেছেন দলটির বর্ষীয়ান রাজনীতিক আবদুর রাজ্জাক। গত চারটি বছর ধরেই আওয়ামী লীগের হয়ে ষাটের দশক থেকে এ পর্যন্ত রাজপথ কাঁপানো প্রবীণ রাজনীতিক আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবদুল জলিল কোনো মূল্যায়ন পাননি। সংস্কারপন্থী ইস্যুতে ঝরে গেছেন বেশ কয়েকজন ডাকসাইটে সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দ্রীয় নেতা।
No comments