বিএনপির মূল্যায়ন-সরকারের প্রতি এটা তোফায়েল-মেননের অনাস্থাই
আমন্ত্রণ পাওয়ার পরও মন্ত্রিসভায় তোফায়েল-মেননের যোগ না দেওয়ার বিষয়টিকে সরকারের জন্য 'রাজনৈতিক পরাজয়' বলেই মনে করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেননের মতো প্রবীণ রাজনীতিকরা বুঝতে পেরেছেন, সরকারের সময়
শেষ হয়ে গেছে; বর্তমান সরকারের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা-ভরসা নেই। তাই তাঁরা মনে করেছেন, ডুবন্ত নৌকায় এখন ওঠাটা ঠিক হবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডির ঢাকা আর্ট সেন্টারে শিল্পী এফ এম আনিসের 'বিউটিফুল বাংলাদেশ' শীর্ষক দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, তোফায়েল-মেননের সিদ্ধান্ত সরকারের প্রতি অনাস্থারই শামিল।
ফখরুল সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বলেন, 'সাড়ে তিন বছরে এই সরকার দেশের জনগণকে দেওয়া কোনো ওয়াদা পূরণ করতে পারেনি। এ রকম অবস্থায় বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন সরকারে যোগ না দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে রক্ষা করতে পেরেছে বলে আমরা মনে করি। এজন্য আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।'
পদ্মা সেতু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভীর 'দেশের মধ্যেই দেশের শত্রু রয়েছে'- এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তাঁর এ মন্তব্যের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কারণ যাঁরা এ দেশের নাগরিক না এবং দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের সম্মান করতে পারেন না, তাঁরা কিভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন?'
অনুষ্ঠানে এ সময় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মুনির খানসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল শিল্পীর আঁকা ৩২টি চিত্রকর্ম ঘুরে ঘুরে দেখেন। রঙ আর তুলির আঁচড়ে নবীন এই শিল্পী দেশের গ্রাম-বাংলার জীবন-প্রকৃতিকে তুলে এনেছেন। প্রদর্শনী চলবে ১৪ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
'তোফায়েল-মেননের অনাস্থা' : এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া মনে করেন, তোফায়েল-মেননের এ সিদ্ধান্ত এক অর্থে সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'হলমার্কসহ সব কেলেঙ্কারির হোতা আত্মস্বীকৃত ঘৃণিত ব্যক্তি অর্থমন্ত্রী ও অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ ও বিচার দাবিতে' স্বদেশ মঞ্চ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় যোগ না দিয়ে তোফায়েল আহমেদ এবং রাশেদ খান মেনন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে তাই একে রক্ষা করা যাবে না ভেবেই তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ সব দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু হলমার্কের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লুট নয়, বরং আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংক থেকে হাজার কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, খালেদা ইয়াসমীন, এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধানমণ্ডির ঢাকা আর্ট সেন্টারে শিল্পী এফ এম আনিসের 'বিউটিফুল বাংলাদেশ' শীর্ষক দ্বিতীয় একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, তোফায়েল-মেননের সিদ্ধান্ত সরকারের প্রতি অনাস্থারই শামিল।
ফখরুল সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে বলেন, 'সাড়ে তিন বছরে এই সরকার দেশের জনগণকে দেওয়া কোনো ওয়াদা পূরণ করতে পারেনি। এ রকম অবস্থায় বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে তোফায়েল আহমেদ ও রাশেদ খান মেনন সরকারে যোগ না দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে রক্ষা করতে পেরেছে বলে আমরা মনে করি। এজন্য আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাই।'
পদ্মা সেতু বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভীর 'দেশের মধ্যেই দেশের শত্রু রয়েছে'- এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, 'তাঁর এ মন্তব্যের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কারণ যাঁরা এ দেশের নাগরিক না এবং দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের সম্মান করতে পারেন না, তাঁরা কিভাবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন?'
অনুষ্ঠানে এ সময় জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মুনির খানসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল শিল্পীর আঁকা ৩২টি চিত্রকর্ম ঘুরে ঘুরে দেখেন। রঙ আর তুলির আঁচড়ে নবীন এই শিল্পী দেশের গ্রাম-বাংলার জীবন-প্রকৃতিকে তুলে এনেছেন। প্রদর্শনী চলবে ১৪ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
'তোফায়েল-মেননের অনাস্থা' : এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া মনে করেন, তোফায়েল-মেননের এ সিদ্ধান্ত এক অর্থে সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'হলমার্কসহ সব কেলেঙ্কারির হোতা আত্মস্বীকৃত ঘৃণিত ব্যক্তি অর্থমন্ত্রী ও অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ ও বিচার দাবিতে' স্বদেশ মঞ্চ আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় যোগ না দিয়ে তোফায়েল আহমেদ এবং রাশেদ খান মেনন সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। সরকারের সময় শেষ হয়ে গেছে তাই একে রক্ষা করা যাবে না ভেবেই তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ সব দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, শুধু হলমার্কের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লুট নয়, বরং আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কয়েকটি ব্যাংক থেকে হাজার কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, খালেদা ইয়াসমীন, এলডিপি নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
No comments