সা ক্ষা ৎ কা র: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান- এখনো অনেক পথ বাকি
ম্যাগসাইসাই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়া থেকে ম্যানিলায় গিয়ে পুরস্কার গ্রহণ। এর মধ্যে কোন দিকটি আপনাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে? ম্যাগসাইসাই পাওয়ার পরই আমার মনে হয়েছে, আসলে অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা আমাকে অন্তর থেকে ভালোবাসেন। কারা আমাকে পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন, আমি জানি না।
কিন্তু আমার প্রতি তাঁদের যে সমর্থন আর ভালোবাসা, সেটা তাঁরা প্রমাণ করেছেন। হয়তো সামনাসামনি সেটা প্রকাশ করেননি। কিন্তু কাজ দিয়ে বুঝিয়েছেন, মন থেকে তাঁরা আমার কাজকে সমর্থন করেন। ম্যাগসাইসাই পুরস্কার না পেলে এই সত্যটা জানা হতো না।
এর আগে আপনি পরিবেশের নোবেল হিসেবে পরিচিত গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ম্যাগসাইসাই কী কারণে আলাদা?
গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল অ্যাওয়ার্ড ছিল শুধু পরিবেশবিষয়ক কাজের জন্য। কিন্তু ম্যাগসাইসাইয়ের রাজনৈতিক বা সামাজিক গুরুত্বটা অনেক বেশি। এর আগে যাঁরা এই পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁরা সবাই অনেক বড় মাপের মানুষ। ম্যাগসাইসাই পাওয়ার পর মনে হচ্ছে, আমার কাঁধে এখন অনেক বড় দায়িত্ব। আমাকে আরও অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে হবে। এখনো অনেক পথ বাকি।
আপনার কাজের সবচেয়ে কঠিন দিক কোনটি মনে হয়?
শক্তিশালী স্বার্থগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। আমরা যে পরিবর্তন চাই, সেটা আইনের শাসনের পক্ষে। গণমানুষের পক্ষে—এটা মানুষকে বোঝানো।
সামনে পরিকল্পনা কী?
আমার কাজ আমি সবে শুরু করেছি। সাধারণ মানুষের কাছে এর সুফল এখনো পুরোপুরি পৌঁছায়নি। একটা দিন আসবে, যেদিন নিশ্চয়ই বুড়িগঙ্গার পাড় দখলমুক্ত হবে। আইনের শাসনের প্রথম ধাপ আমরা অতিক্রম করেছি। এখন আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পরিবর্তনটা সবে শুরু হয়েছে। এর শেষটুকু আমাদের করে দেখাতে হবে।
অনেক বেশি মানুষকে আমাদের আন্দোলনে যুক্ত করতে হবে। আমরা সবাইকে এখনো সাহায্য করতে পারছি না। হয়তো দশজনের একজনকে আমরা সহায়তা দিতে পারছি। সামনে মানুষকে অনেক বেশি সংগঠিত করতে হবে। আরও অনেক পরিবেশ আইনবিদ আমাদের প্রয়োজন।
যাঁরা আপনার মতো পরিবেশ আইনবিদ হতে চান, তাঁদের জন্য কিছু বলবেন?
তাঁদের বলব, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা মানে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে কাজ করা। এখানে কাজ করতে গেলে অনেক ধরনের প্রলোভন আসবে, সেগুলো দূরে সরিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, সব মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করছি।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
এর আগে আপনি পরিবেশের নোবেল হিসেবে পরিচিত গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ম্যাগসাইসাই কী কারণে আলাদা?
গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল অ্যাওয়ার্ড ছিল শুধু পরিবেশবিষয়ক কাজের জন্য। কিন্তু ম্যাগসাইসাইয়ের রাজনৈতিক বা সামাজিক গুরুত্বটা অনেক বেশি। এর আগে যাঁরা এই পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁরা সবাই অনেক বড় মাপের মানুষ। ম্যাগসাইসাই পাওয়ার পর মনে হচ্ছে, আমার কাঁধে এখন অনেক বড় দায়িত্ব। আমাকে আরও অনেক দূর পথ পাড়ি দিতে হবে। এখনো অনেক পথ বাকি।
আপনার কাজের সবচেয়ে কঠিন দিক কোনটি মনে হয়?
শক্তিশালী স্বার্থগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। আমরা যে পরিবর্তন চাই, সেটা আইনের শাসনের পক্ষে। গণমানুষের পক্ষে—এটা মানুষকে বোঝানো।
সামনে পরিকল্পনা কী?
আমার কাজ আমি সবে শুরু করেছি। সাধারণ মানুষের কাছে এর সুফল এখনো পুরোপুরি পৌঁছায়নি। একটা দিন আসবে, যেদিন নিশ্চয়ই বুড়িগঙ্গার পাড় দখলমুক্ত হবে। আইনের শাসনের প্রথম ধাপ আমরা অতিক্রম করেছি। এখন আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পরিবর্তনটা সবে শুরু হয়েছে। এর শেষটুকু আমাদের করে দেখাতে হবে।
অনেক বেশি মানুষকে আমাদের আন্দোলনে যুক্ত করতে হবে। আমরা সবাইকে এখনো সাহায্য করতে পারছি না। হয়তো দশজনের একজনকে আমরা সহায়তা দিতে পারছি। সামনে মানুষকে অনেক বেশি সংগঠিত করতে হবে। আরও অনেক পরিবেশ আইনবিদ আমাদের প্রয়োজন।
যাঁরা আপনার মতো পরিবেশ আইনবিদ হতে চান, তাঁদের জন্য কিছু বলবেন?
তাঁদের বলব, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা মানে দেশের ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে কাজ করা। এখানে কাজ করতে গেলে অনেক ধরনের প্রলোভন আসবে, সেগুলো দূরে সরিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা কোনো বিশেষ প্রতিষ্ঠানের জন্য নয়, সব মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করছি।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
No comments