আট বছরেও ব্যবহূত হয়নি স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি
নির্মাণের পর আট বছর ধরে ব্যবহার না করায় বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে আছে। প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন ওই কেন্দ্রের স্বাস্থ্যসেবার কাজ চলছে টিনশেডের ভবনে।
এলাকাবাসী জানায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দুর্গাপুর বাজারে ছিল। বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ জিয়াউল হক মোল্লা ২০০৩ সালে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন ওই বাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তাঁর নিজ গ্রাম দেওগ্রামে নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ কারণে তাঁরা নতুন ভবনটিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কার্যক্রম স্থানান্তর করতে দেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আগে দুর্গাপুর বাজারে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা সেবার কাজ চলছিল। ২০০৩ সালে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বিতল ভবন নির্মাণকাজের বরাদ্দ আসে। ভবন নির্মাণের জন্য ৩৩ শতক জায়গার প্রয়োজন হয়। কিন্তু পুরাতন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১৯ শতক জায়গার ওপর হওয়ায় ভবনটি নির্মাণ করা যায়নি। সে সময়ের সাংসদ তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ির কাছে তাঁর সম্পত্তির ওপর নতুন ভবনের নির্মাণকাজ করেন। ২০০৫ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়। পরে দুর্গাপুর বাজার থেকে পুরাতন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মালামাল ওই নতুন ভবনে স্থানান্তর করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। এরপর থেকে পুরাতন ভবনেই কোনো রকমে স্বাস্থ্য সেবার কাজ চালু রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপুর বাজার থেকে চার কিলোমিটার দূরে দেওগ্রামে অবস্থিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বিতল ভবন। নির্মাণের পর থেকে ব্যবহার না করায় ভবনের দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে। দেড়-দুই মাস আগে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি এবং আসবাব নিয়ে গেছে। ভবনের ছাদে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে আছে। ভবনের পেছনের দেওয়ালও ভেঙে গেছে।
সাবেক সাংসদ জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, ‘২০০৩ সালে দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আসে। দুর্গাপুর বাজারে যতটুকু জমির ওপর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টিন শেডের ভবন ছিল তাতে নতুন ভবন নির্মাণ করা যেত না। তখন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে এবং প্রশাসনের সম্মতি নিয়ে ওই বাজার থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে দেওগ্রামে আমার নিজস্ব জায়গায় ভবনটি নির্মাণ করা হয়। সরকার পরিবর্তনের পর একশ্রেণীর লোকজন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ষড়যন্ত্র করে ওই ভবনটি ব্যবহার করতে দেয়নি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণের জন্য দুর্গাপুর বাজারে যথেষ্ট জায়গা ছিল না। সাবেক এমপি সাহেব তাঁর গ্রামের বাড়িতে জায়গা দেওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হয়েছে। তবে ওই ভবন ব্যবহারের জন্য আমরা কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি গঠন করে ওই ভবনের মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
সিভিল সার্জন খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে প্রথম জানলাম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, আগে দুর্গাপুর বাজারে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসা সেবার কাজ চলছিল। ২০০৩ সালে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বিতল ভবন নির্মাণকাজের বরাদ্দ আসে। ভবন নির্মাণের জন্য ৩৩ শতক জায়গার প্রয়োজন হয়। কিন্তু পুরাতন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১৯ শতক জায়গার ওপর হওয়ায় ভবনটি নির্মাণ করা যায়নি। সে সময়ের সাংসদ তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ির কাছে তাঁর সম্পত্তির ওপর নতুন ভবনের নির্মাণকাজ করেন। ২০০৫ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়। পরে দুর্গাপুর বাজার থেকে পুরাতন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মালামাল ওই নতুন ভবনে স্থানান্তর করতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। এরপর থেকে পুরাতন ভবনেই কোনো রকমে স্বাস্থ্য সেবার কাজ চালু রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুর্গাপুর বাজার থেকে চার কিলোমিটার দূরে দেওগ্রামে অবস্থিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দ্বিতল ভবন। নির্মাণের পর থেকে ব্যবহার না করায় ভবনের দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে। দেড়-দুই মাস আগে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি এবং আসবাব নিয়ে গেছে। ভবনের ছাদে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পড়ে আছে। ভবনের পেছনের দেওয়ালও ভেঙে গেছে।
সাবেক সাংসদ জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, ‘২০০৩ সালে দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ আসে। দুর্গাপুর বাজারে যতটুকু জমির ওপর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের টিন শেডের ভবন ছিল তাতে নতুন ভবন নির্মাণ করা যেত না। তখন স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে এবং প্রশাসনের সম্মতি নিয়ে ওই বাজার থেকে চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে দেওগ্রামে আমার নিজস্ব জায়গায় ভবনটি নির্মাণ করা হয়। সরকার পরিবর্তনের পর একশ্রেণীর লোকজন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ষড়যন্ত্র করে ওই ভবনটি ব্যবহার করতে দেয়নি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণের জন্য দুর্গাপুর বাজারে যথেষ্ট জায়গা ছিল না। সাবেক এমপি সাহেব তাঁর গ্রামের বাড়িতে জায়গা দেওয়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হয়েছে। তবে ওই ভবন ব্যবহারের জন্য আমরা কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি। উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটি গঠন করে ওই ভবনের মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
সিভিল সার্জন খলিলুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে প্রথম জানলাম। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments