গিলানির ছেলেকে গ্রেপ্তার পরে জামিনে মুক্তি

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলে আলী মুসা গিলানিকে গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরই পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। রাসায়নিক এফিড্রিন আমদানির কোটা বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে মাদকদ্রব্য-বিরোধী বাহিনী (এএনএফ) আলী মুসাকে গ্রেপ্তার করে।


প্রভাব খাটিয়ে এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে এফিড্রিনের কোটা বরাদ্দ দেওয়া-সংক্রান্ত মামলায় আগাম জামিন নেওয়ার উদ্দেশ্যে আলী মুসা গতকাল সুপ্রিম কোর্টে আসেন। আদালত চত্বরে প্রবেশের আগেই এএনএফ তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাওয়ালপিন্ডিতে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারপতি নাসিরুল মুলকের নেতৃত্বধীন তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ শুনানির পর পাঁচ লাখ রুপি জামানতের বিপরীতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আলী মুসার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
ঠাণ্ডা লাগা, ফ্লু বা অ্যাজমার মতো অসুখের চিকিৎসায় এফিড্রিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মাদক হিসেবে সেবনের কারণে এই রাসায়নিকটি 'গরিবের কোকেন' নামে বেশি পরিচিত। আলী মুসার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর বাবা ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে এফিড্রিন আমদানির কোটা বরাদ্দের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চাপ দেন। তাঁর প্রভাবে দুটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কম্পানিকে ৯ হাজার কেজি এফিড্রিন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ম বহির্ভূত।
আলী মুসার গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী খালিদ রানঝা জানান, মামলার শুনানি উপলক্ষে আলী মুসা আদালতে এসেছিলেন। তবে আদালতের ফটক থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনা অনভিপ্রেত। এ ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এএনএফের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। তবে এ বিষয়ে এএনএফের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জামিন মঞ্জুরের পর আলী মুসা জানান, সুপ্রিম কোর্টের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে, তবে এএনএফের প্রতি নেই। সূত্র : ডন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

No comments

Powered by Blogger.