আইনি পরামর্শক নিয়োগের নতুন শর্ত- শোভন জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য অর্থছাড় করেনি বিশ্বব্যাংক by হারুন আল রশীদ
জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) শোভন সংস্করণের জন্য এখনো টাকা ছাড় করেনি বিশ্বব্যাংক। ভোটার নিবন্ধনসংক্রান্ত আইন ও প্রস্তাবিত বিধিবিধান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বিশ্বব্যাংক এবার নির্বাচন কমিশনকে আন্তর্জাতিক মানের একজন আইনি পরামর্শক নিয়োগের শর্ত দিয়েছে।
তবে একই প্রকল্পভুক্ত কেন্দ্রভিত্তিক তথ্যভান্ডার বিকেন্দ্রীকরণ কাজের জন্য বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে তিন কোটি টাকা ছাড় করেছে। তথ্যভান্ডার বিকেন্দ্রীকরণ হলে কেন্দ্রের সঙ্গে উপজেলা সার্ভার স্টেশনের আন্তসম্পর্ক (নেটওয়ার্ক) স্থাপন হবে। এতে নাগরিকেরা যেকোনো সময় উপজেলা পর্যায়ে ভোটার হয়ে সেখান থেকে এনআইডি সংগ্রহ করতে পারবেন। বর্তমানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভোটার হতে এবং এনআইডির যেকোনো ধরনের ত্রুটি সংশোধনের জন্য মানুষকে ঢাকায় আসতে হয়।
নির্বাচন কমিশন গত বছর ২১ আগস্ট উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্যাটাবেস ও নেটওয়ার্ক তৈরিসংক্রান্ত প্রকল্পের (আইডিয়া প্রকল্প) জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা) ঋণচুক্তি করে। কমিশনের সূত্র জানায়, এই অর্থের মধ্যে শোভন এনআইডি মুদ্রণ ও বিতরণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭৮৭ কোটি টাকা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাত হলো: ড্যাটা এন্ট্রি অপারেটর সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০১ কোটি টাকা, যন্ত্রপাতি ক্রয় ৯৪ কোটি, ভোটারদের ঘরে শোভন এনআইডি পৌঁছানো বাবদ ৯০ কোটি, উপজেলার সঙ্গে কেন্দ্রের আন্তসম্পর্ক তৈরিতে ৪৪ কোটি, সফটওয়্যার ক্রয় ৩২ কোটি এবং কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ২২ কোটি টাকা। চুক্তির শর্তে বলা হয়েছিল, বিশ্বব্যাংক প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আইনকানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন ভূমি মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভোটারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়, যা আগের তথ্য ফরমে ছিল না। এর মধ্যে রয়েছে ভোটারের মাতা-পিতা, স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং ভোটারের জন্ম নিবন্ধন নম্বর। এগুলোকে আইনসিদ্ধ করতে কমিশন সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিতে সংশোধনী আনতে খসড়া তৈরি করেছে।
বিশ্বব্যাংক এসব আইনকানুন পরীক্ষা করে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেয়। তারা বলেছে, কমিশন যে আইনের আওতায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে, তা আন্তর্জাতিক আইন ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এতে নাগরিকের নিরাপত্তা ও প্রদত্ত তথ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। বিশ্বব্যাংক ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় সংগ্রহের বিষয়েও আপত্তি তুলেছে।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের চিঠির জবাবে নির্বাচন কমিশন বিদ্যমান আইন ও প্রস্তাবিত বিধিবিধানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির পর বিশ্বব্যাংক আইনকানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একজন আইনি পরামর্শক নিয়োগের শর্ত দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী কমিশন একজন আইনি পরামর্শক নিয়োগের জন্য প্রথমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোনো আবেদন পায়নি। তাই দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এই আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২৩ আগস্ট।
শোভন এনআইডির জন্য বিশ্বব্যাংক এখনো অর্থছাড় না করলেও এই প্রকল্পের পরিচালক আখতারুজ্জামান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, আইনি পরামর্শক নিয়োগের পর জটিলতার অবসান হবে। সে ক্ষেত্রে ভোটারদের জন্য শোভন এনআইডি তৈরির পরীক্ষামূলক পর্ব আগামী অক্টোবরের মধ্যে শুরু করা যাবে।
নির্বাচন কমিশন গত বছর ২১ আগস্ট উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্যাটাবেস ও নেটওয়ার্ক তৈরিসংক্রান্ত প্রকল্পের (আইডিয়া প্রকল্প) জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১৯৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা) ঋণচুক্তি করে। কমিশনের সূত্র জানায়, এই অর্থের মধ্যে শোভন এনআইডি মুদ্রণ ও বিতরণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৭৮৭ কোটি টাকা। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাত হলো: ড্যাটা এন্ট্রি অপারেটর সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের জন্য ১০১ কোটি টাকা, যন্ত্রপাতি ক্রয় ৯৪ কোটি, ভোটারদের ঘরে শোভন এনআইডি পৌঁছানো বাবদ ৯০ কোটি, উপজেলার সঙ্গে কেন্দ্রের আন্তসম্পর্ক তৈরিতে ৪৪ কোটি, সফটওয়্যার ক্রয় ৩২ কোটি এবং কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যন্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ২২ কোটি টাকা। চুক্তির শর্তে বলা হয়েছিল, বিশ্বব্যাংক প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আইনকানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন ভূমি মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ভোটারদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিছু তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়, যা আগের তথ্য ফরমে ছিল না। এর মধ্যে রয়েছে ভোটারের মাতা-পিতা, স্বামী বা স্ত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং ভোটারের জন্ম নিবন্ধন নম্বর। এগুলোকে আইনসিদ্ধ করতে কমিশন সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিতে সংশোধনী আনতে খসড়া তৈরি করেছে।
বিশ্বব্যাংক এসব আইনকানুন পরীক্ষা করে ভোটারদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেয়। তারা বলেছে, কমিশন যে আইনের আওতায় নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে, তা আন্তর্জাতিক আইন ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। এতে নাগরিকের নিরাপত্তা ও প্রদত্ত তথ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। বিশ্বব্যাংক ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় সংগ্রহের বিষয়েও আপত্তি তুলেছে।
সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের চিঠির জবাবে নির্বাচন কমিশন বিদ্যমান আইন ও প্রস্তাবিত বিধিবিধানের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির পর বিশ্বব্যাংক আইনকানুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একজন আইনি পরামর্শক নিয়োগের শর্ত দিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী কমিশন একজন আইনি পরামর্শক নিয়োগের জন্য প্রথমবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোনো আবেদন পায়নি। তাই দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এই আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে ২৩ আগস্ট।
শোভন এনআইডির জন্য বিশ্বব্যাংক এখনো অর্থছাড় না করলেও এই প্রকল্পের পরিচালক আখতারুজ্জামান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, আইনি পরামর্শক নিয়োগের পর জটিলতার অবসান হবে। সে ক্ষেত্রে ভোটারদের জন্য শোভন এনআইডি তৈরির পরীক্ষামূলক পর্ব আগামী অক্টোবরের মধ্যে শুরু করা যাবে।
No comments