সেনাপ্রধান তানতাউয়িকে সরালেন মুরসি
মিসরের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়ি এবং সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ সামি আনানকে অপসারণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। দুই জেনারেলকে বরখাস্তের পাশাপাশি মুরসি সামরিক পরিষদের আনা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্বকারী সাংবিধানিক সংশোধনীও বাতিল করেছেন।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইয়াসের আলী গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, সে দেশের বিচারপতি মাহমুদ মেক্কিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন মুরসি।
সেনাবাহিনীর এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় মুরসি সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দ্বন্দ্ব অনেকটাই প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে মুরসির মুখপাত্র বলেন, ‘আজ থেকে ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়িকে অবসরে পাঠানো হলো। তাঁর জায়গায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।’
আর আনানের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিদকি সৈয়দ আহমেদকে। অবসরে পাঠানো তানতাউয়ি ও সামি আনান দুজনকেই প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হচ্ছে।
একই সঙ্গে তাঁদের মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা হিসেবে ‘গ্র্যান্ড কলার অব দ্য নাইল’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তবে ফিল্ড মার্শাল তানতাউয়ি প্রেসিডেন্ট মুরসির এই পদক্ষেপ মেনে নিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।
গত জুনে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য। গত বছর প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের পর থেকে ব্রাদারহুড ও সেনাবাহিনীর সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
মুরসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে মিসরের ক্ষমতাসীন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদ (স্কাফ) নানাভাবে তাঁকে (মুরসিকে) হয়রানির মুখে ফেলেছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হোসনি মোবারকের পতনের পর স্কাফের প্রধান হিসেবে তানতাউয়ি মিসরের অন্তর্বর্তী শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেসিডেন্টের ইসলামপন্থী জোটের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্ট বাতিল ঘোষণাও করেছিল সামরিক পরিষদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তানতাউয়ি যে সংবিধান প্রণয়ন করেন তাতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়াসহ সামরিক ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে বিধান রাখা হয়। গতকাল প্রেসিডেন্ট মুরসি সংবিধান সংশোধন করে এই বিধান বাতিল করেন।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, মোবারকের পতনের পর থেকেই ইসলামপন্থী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল, তানতাউয়িকে সরানোর মধ্য দিয়ে তা আরও ভয়ানক অবস্থায় চলে এল। এর মধ্য দিয়ে মিসরে নতুন করে বিশৃঙ্খলা শুরু হতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিনাইয়ে ১৬ জন মিসরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হওয়ার পর সরকারের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।
এদিকে, সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা জানিয়েছে, সে দেশের বিচারপতি মাহমুদ মেক্কিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন মুরসি।
সেনাবাহিনীর এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় মুরসি সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দ্বন্দ্ব অনেকটাই প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে মুরসির মুখপাত্র বলেন, ‘আজ থেকে ফিল্ড মার্শাল হুসেইন তানতাউয়িকে অবসরে পাঠানো হলো। তাঁর জায়গায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।’
আর আনানের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিদকি সৈয়দ আহমেদকে। অবসরে পাঠানো তানতাউয়ি ও সামি আনান দুজনকেই প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে রাখা হচ্ছে।
একই সঙ্গে তাঁদের মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা হিসেবে ‘গ্র্যান্ড কলার অব দ্য নাইল’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। তবে ফিল্ড মার্শাল তানতাউয়ি প্রেসিডেন্ট মুরসির এই পদক্ষেপ মেনে নিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।
গত জুনে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসি ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য। গত বছর প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের পর থেকে ব্রাদারহুড ও সেনাবাহিনীর সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে।
মুরসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে মিসরের ক্ষমতাসীন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ পরিষদ (স্কাফ) নানাভাবে তাঁকে (মুরসিকে) হয়রানির মুখে ফেলেছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে হোসনি মোবারকের পতনের পর স্কাফের প্রধান হিসেবে তানতাউয়ি মিসরের অন্তর্বর্তী শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেসিডেন্টের ইসলামপন্থী জোটের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্ট বাতিল ঘোষণাও করেছিল সামরিক পরিষদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে তানতাউয়ি যে সংবিধান প্রণয়ন করেন তাতে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়াসহ সামরিক ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে বিধান রাখা হয়। গতকাল প্রেসিডেন্ট মুরসি সংবিধান সংশোধন করে এই বিধান বাতিল করেন।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, মোবারকের পতনের পর থেকেই ইসলামপন্থী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল, তানতাউয়িকে সরানোর মধ্য দিয়ে তা আরও ভয়ানক অবস্থায় চলে এল। এর মধ্য দিয়ে মিসরে নতুন করে বিশৃঙ্খলা শুরু হতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিনাইয়ে ১৬ জন মিসরীয় সীমান্তরক্ষী নিহত হওয়ার পর সরকারের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্স।
No comments