মেঘ থমথমে মেঘের ঈদ by জাকিয়া আহমেদ
গতবারও বাবার সঙ্গে ঈদের নামাজ একসঙ্গে পড়েছে মেঘ। এবার শুধু বাবাই নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আশ্রয় মাও হয়ে গেছেন দূর আকাশের তারা। নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির একমাত্র সন্তান মাহির সারওয়ার মেঘের এবারের ঈদ তাই শুধুই মেঘ থমথমে আর অশ্রুজলে ভাসছে।
কাকতলীয় ভাবে সকাল থেকেই সোমবার ঈদের দিনে থেমে থেমে বৃষ্টিই ঝরছে। তবে ছোট্ট মেঘকে আদর দিয়ে, উপহার দিয়ে ওর ঈদের দিনটাকে ভুলিয়ে রাখতে চেষ্টা করছেন তিন মামা, নানু, দাদী আর অন্য স্বজনেরা।
এদিকে নিহত সাংবাদিক মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমানের ঈদের ফেসবুক স্ট্যাটাসেও ফুটে উঠেছে স্বজন হারানোর বেদনা। ঈদের আনন্দের পরিবর্তে সেখানেও আছে মেঘের জন্য, রুনির জন্য, সাগরের জন্য শুধুই দীর্ঘশ্বাস! আত্মার আত্মীয়রা যখন এমন না ফেরার দেশে চলে যান, সেখানে তো শুধু দীর্ঘশ্বাসই থাকবে।
আর নওশেরের স্ট্যাটাসে একীভূত হচ্ছেন তার সব ফেসবুক বন্ধুরাও।
নওশের লিখেছেন, eid-er din niyeo manuser eto voy r kosto kaaj kore....je bachhatar eid ki ta bujhar somoy se somoy se eid korche baba-ma chara...ebar apur kache salamir jonno jorajuri kora hobe na ..apu custard khaoar jonno basay jaoar jonno barbar phn dibe na.. age basar sobay eid-er din ekta somoyer jonno holeo eksathe hotam..kintu ekhon amader basar soaby 2ta thikana hoye geche 3 jon azimpur r bakira indira road...abba-r sathe eid din dekha korte jetam kintu apu-sagar vaiya jaoar por azimpur jeteo book kapche....eta life na...
নওশেরের এ স্ট্যাটাসে আর্দ্র হচ্ছেন সবাই। নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির দুই পরিবারের সদস্যদের জন্যও মনটা যেন কেমন করে উঠছে।
আর মেঘ! সকাল থেকেই সোমবার ঈদের দিনে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে, এটা কি সাগর-রুনি আর মেঘের কান্না?
গতবারও মেঘ বাবার সঙ্গে ঈদের নামায একসঙ্গে পড়েছে। মেঘের বাবা-মা এবার দূর আকাশের তারা। তবে মেঘের এবারের ঈদটাকে পূর্ণ করে তুলতে তার তিন মামার আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। একই রকম লাল রঙের একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি পরেছেন তারা। এক সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাস মসজিদে।
তবে মেঘ মামাদের বলেছে, ‘‘বাবার সঙ্গে গতবার যে মসজিদে নামাজ পড়েছিলাম, সেখানে নামাজ পড়বো।’’ নওশের জানান, ‘‘আমরা সেখানে গিয়েছিলামও। কিন্তু জায়গা না পাওয়ায় সেখানে নামাজ পড়তে পারিনি।’’
নওশের আরো বলেন, ‘‘সকালে নামাজ পড়ে আজিমপুর গোরস্থানে গিয়েছি আমরা তিন ভাই, আম্মা আর মেঘ। সেখানে কিছুক্ষণ ছিলাম। আগে যেখানে যেতে ভয় পেতাম, এখন সেখানে গেলেই পরম শান্তি পাই। আব্বা, সাগর ভাই আর আপুর কবরের পাশে বসে কয়েকদিন আগেও গিয়ে ইফতারও করেছি।’’
আজিমপুর কবরস্থান থেকে মেঘ তার দাদাবাড়ি নবাবপুরে গিয়ে থেকে এসেছে কিছু সময়।
নওশেরের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখন মেঘ তার নানুর সঙ্গে পাশেই তাদের আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছে বেড়াতে।
‘‘ওকে খুশি রাখতে আমাদের যা করতে হয় আমরা তাই করবো’’ বলেও জানান নওশের।
ছোট্ট মেঘকে না হয় আদর দিয়ে, উপহার দিয়ে ভুলিয়ে রাখা যায়, কিন্তু দুই পরিবারের দুই মা?
‘‘সন্তান হারিয়ে এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেয়ে যন্ত্রণার, কষ্টের আর কি কিছু আর থাকতে পারে’’ প্রশ্ন রাখলেন রুনির মা মেহেরুন্নেছা মীর্জা।
এ প্রশ্নের জবাব কারো কাছেই কি আছে?
এদিকে নিহত সাংবাদিক মেহেরুন রুনির ভাই নওশের আলম রোমানের ঈদের ফেসবুক স্ট্যাটাসেও ফুটে উঠেছে স্বজন হারানোর বেদনা। ঈদের আনন্দের পরিবর্তে সেখানেও আছে মেঘের জন্য, রুনির জন্য, সাগরের জন্য শুধুই দীর্ঘশ্বাস! আত্মার আত্মীয়রা যখন এমন না ফেরার দেশে চলে যান, সেখানে তো শুধু দীর্ঘশ্বাসই থাকবে।
আর নওশেরের স্ট্যাটাসে একীভূত হচ্ছেন তার সব ফেসবুক বন্ধুরাও।
নওশের লিখেছেন, eid-er din niyeo manuser eto voy r kosto kaaj kore....je bachhatar eid ki ta bujhar somoy se somoy se eid korche baba-ma chara...ebar apur kache salamir jonno jorajuri kora hobe na ..apu custard khaoar jonno basay jaoar jonno barbar phn dibe na.. age basar sobay eid-er din ekta somoyer jonno holeo eksathe hotam..kintu ekhon amader basar soaby 2ta thikana hoye geche 3 jon azimpur r bakira indira road...abba-r sathe eid din dekha korte jetam kintu apu-sagar vaiya jaoar por azimpur jeteo book kapche....eta life na...
নওশেরের এ স্ট্যাটাসে আর্দ্র হচ্ছেন সবাই। নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির দুই পরিবারের সদস্যদের জন্যও মনটা যেন কেমন করে উঠছে।
আর মেঘ! সকাল থেকেই সোমবার ঈদের দিনে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে, এটা কি সাগর-রুনি আর মেঘের কান্না?
গতবারও মেঘ বাবার সঙ্গে ঈদের নামায একসঙ্গে পড়েছে। মেঘের বাবা-মা এবার দূর আকাশের তারা। তবে মেঘের এবারের ঈদটাকে পূর্ণ করে তুলতে তার তিন মামার আয়োজনের কোনো কমতি ছিল না। একই রকম লাল রঙের একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি পরেছেন তারা। এক সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়েছেন রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাস মসজিদে।
তবে মেঘ মামাদের বলেছে, ‘‘বাবার সঙ্গে গতবার যে মসজিদে নামাজ পড়েছিলাম, সেখানে নামাজ পড়বো।’’ নওশের জানান, ‘‘আমরা সেখানে গিয়েছিলামও। কিন্তু জায়গা না পাওয়ায় সেখানে নামাজ পড়তে পারিনি।’’
নওশের আরো বলেন, ‘‘সকালে নামাজ পড়ে আজিমপুর গোরস্থানে গিয়েছি আমরা তিন ভাই, আম্মা আর মেঘ। সেখানে কিছুক্ষণ ছিলাম। আগে যেখানে যেতে ভয় পেতাম, এখন সেখানে গেলেই পরম শান্তি পাই। আব্বা, সাগর ভাই আর আপুর কবরের পাশে বসে কয়েকদিন আগেও গিয়ে ইফতারও করেছি।’’
আজিমপুর কবরস্থান থেকে মেঘ তার দাদাবাড়ি নবাবপুরে গিয়ে থেকে এসেছে কিছু সময়।
নওশেরের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখন মেঘ তার নানুর সঙ্গে পাশেই তাদের আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছে বেড়াতে।
‘‘ওকে খুশি রাখতে আমাদের যা করতে হয় আমরা তাই করবো’’ বলেও জানান নওশের।
ছোট্ট মেঘকে না হয় আদর দিয়ে, উপহার দিয়ে ভুলিয়ে রাখা যায়, কিন্তু দুই পরিবারের দুই মা?
‘‘সন্তান হারিয়ে এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেয়ে যন্ত্রণার, কষ্টের আর কি কিছু আর থাকতে পারে’’ প্রশ্ন রাখলেন রুনির মা মেহেরুন্নেছা মীর্জা।
এ প্রশ্নের জবাব কারো কাছেই কি আছে?
No comments