বিশ্বকাপ ক্রিকেট-আফ্রিদির কাছে বিধ্বস্ত কেনিয়া-পাকিস্তান : ৫০ ওভারে ৩১৭/৭, কেনিয়া : ৩৩.১ ওভারে ১১২/১০, ফল : পাকিস্তান ২০৫ রানে জয়ী by মাসুদ পারভেজ
এর আগে খেলা তিন বিশ্বকাপে বল হাতে যা করেছিলেন, এক ম্যাচেই তা প্রায় ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা শহীদ আফ্রিদির! ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ মিলিয়ে ১২ ম্যাচ খেললেও উইকেট পেয়েছিলেন মোটে ৭টি। আর গতকাল বুধবার কেনিয়া ম্যাচেই নিলেন ৫টি।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলতে নেমেই নিজের সেরা বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স। আর অধিনায়কের নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া বোলিংয়ে এ আসরে আবারও বিধ্বস্ত কেনিয়া। তাঁদের ২০৫ রানের বিশাল হারের লজ্জায় ডুবিয়ে বিশ্বকাপ শুরু পাকিস্তানের।
জয় বড় হোক কিংবা ছোট, পাকিস্তান ৩১৭ রান করার পরই আসলে ম্যাচটা এক রকম শেষ। ভালো কোনো দল হলে ভিন্ন কথা ছিল। কিন্তু দলটার নাম যে কেনিয়া। এ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই যারা ৬৯ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই দলটা ঘুরে দাঁড়াবে, কল্পনা করা কঠিন ছিল। কেননা একেই তারা পরের বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না জেনে হতাশাগ্রস্ত। তার ওপর আবার নানা বিতর্কে জর্জরিত পাকিস্তান এ বিশ্বকাপ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে বিভোর। দুয়ে মিলে পার্থক্যটা আকাশ-পাতালই হওয়ার কথা ছিল এবং হলোও তাই।
হওয়ার পথে শহীদ আফ্রিদিও দেখালেন যে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে তিনি তৈরি। আর স্টিভ টিকোলো দিলেন আরেকটি ব্যর্থতার পরিচয়। নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলছেন। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দলের জন্য অবদান রেখে তরুণদের সামনে উদাহরণ তৈরি করার কথা, পাকিস্তান অধিনায়কের প্রথম শিকার টিকোলো। সেই শুরু এবং তারপর লেগস্পিনে মুড়ি-মুড়কির মতোই যেন উইকেট নিতে থাকলেন। কেনিয়ান দলে আরেক অভিজ্ঞ টমাস ওদোয়োও এ বিপদে ত্রাণকর্তা হতে ব্যর্থ। আফ্রিদির বলে তিনি হলেন এলবিডাবি্লউ। এসব দেখে শেষ চেষ্টা করে যেতে থাকা কলিন্স ওবুয়াও মনোযোগ হারালেন। হলেন আফ্রিদির পঞ্চম শিকার। উমর গুল কেনিয়ার শেষ উইকেটটা উপড়ে না নিলে নিজের সেরা বিশ্বকাপ বোলিংয়ে ক্যারিয়ার সেরায়ও রূপান্তর করে ফেলতে পারতেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তখনো যে দুটো ওভার বাকি ছিল তার। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮ রানে ৬ উইকেট নেওয়াই হয়ে থাকছে তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। উইকেট একটা কম হলেও কালকের বোলিং চোখে লেগে থাকার মতো : ৮-৩-১৬-৫!
২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্যাটিংয়েও দরকার ছিল এমন উজ্জীবনী পারফরম্যান্স। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচে টস ভাগ্যে হাসার পর আফ্রিদির হাসি আরো চওড়া করেছেন কামরান আকমল (৫৫), ইউনুস খান (৫০), মিসবাহ উল হক (৬৫) এবং সবচেয়ে বেশি বোধহয় উমর আকমল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কেনিয়ার বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেওয়া উমরের ফিফটি করতে লেগেছে মোটে ৪০ বল। ৫২ বলে ৭১ রান করা উমরের হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
পাকিস্তান-কেনিয়া স্কোরকার্ড
টস : পাকিস্তান
পাকিস্তান রান বল ৪ ৬
হাফিজ ক ওয়াটার্স ব ওটিয়েনো ৯ ২০ ১ ০
শেহজাদ ক কামান্ডে ব ওডোয়ো ১ ১৮ ০ ০
কামরান স্ট্যা ওউমা ব এনগোচে ৫৫ ৬৭ ৫ ০
ইউনিস এলবিডবি্লউ টিকোলো ৫০ ৬৭ ২ ০
মিসবাহ ক ওটিয়োনো ব কামান্ডে ৬৫ ৬৯ ১ ২
উমর ক ওবুইয়া ব ওডোয়ো ৭১ ৫২ ৮ ১
আফ্রিদি এলবিডবি্লউ ওডোয়ো ৭ ৪ ১ ০
রাজ্জাক অপরাজিত ৮ ৬ ১ ০
রেহমান অপরাজিত ৫ ৩ ০ ০
অতিরিক্ত (লেবা-৩, ও-৩৭, নো-৬) ৪৬
মোট : (৫০ ওভার, ৭ উইকেট) ৩১৭
উইকেট পতন : ১/১১, ২/১২, ৩/১১০, ৪/১৫৫, ৫/২৭৩, ৬/২৮৯, ৭/২৮৯।
বোলিং : ওডোয়ো ৭-২-৪১-৩, ওটিয়েনো ৯-১-৪৯-১, ওদিয়াম্বো ৭-০-৬৫-০, এনগোচে ১০-০-৪৬-১, কামান্ডে ৭-০-৬৪-১, টিকোলো ৯-০-৪৪-১, ওবুইয়া ১-০-৫-০।
জয় বড় হোক কিংবা ছোট, পাকিস্তান ৩১৭ রান করার পরই আসলে ম্যাচটা এক রকম শেষ। ভালো কোনো দল হলে ভিন্ন কথা ছিল। কিন্তু দলটার নাম যে কেনিয়া। এ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই যারা ৬৯ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই দলটা ঘুরে দাঁড়াবে, কল্পনা করা কঠিন ছিল। কেননা একেই তারা পরের বিশ্বকাপে খেলতে পারবে না জেনে হতাশাগ্রস্ত। তার ওপর আবার নানা বিতর্কে জর্জরিত পাকিস্তান এ বিশ্বকাপ দিয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে বিভোর। দুয়ে মিলে পার্থক্যটা আকাশ-পাতালই হওয়ার কথা ছিল এবং হলোও তাই।
হওয়ার পথে শহীদ আফ্রিদিও দেখালেন যে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে তিনি তৈরি। আর স্টিভ টিকোলো দিলেন আরেকটি ব্যর্থতার পরিচয়। নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলছেন। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দলের জন্য অবদান রেখে তরুণদের সামনে উদাহরণ তৈরি করার কথা, পাকিস্তান অধিনায়কের প্রথম শিকার টিকোলো। সেই শুরু এবং তারপর লেগস্পিনে মুড়ি-মুড়কির মতোই যেন উইকেট নিতে থাকলেন। কেনিয়ান দলে আরেক অভিজ্ঞ টমাস ওদোয়োও এ বিপদে ত্রাণকর্তা হতে ব্যর্থ। আফ্রিদির বলে তিনি হলেন এলবিডাবি্লউ। এসব দেখে শেষ চেষ্টা করে যেতে থাকা কলিন্স ওবুয়াও মনোযোগ হারালেন। হলেন আফ্রিদির পঞ্চম শিকার। উমর গুল কেনিয়ার শেষ উইকেটটা উপড়ে না নিলে নিজের সেরা বিশ্বকাপ বোলিংয়ে ক্যারিয়ার সেরায়ও রূপান্তর করে ফেলতে পারতেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তখনো যে দুটো ওভার বাকি ছিল তার। তাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮ রানে ৬ উইকেট নেওয়াই হয়ে থাকছে তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। উইকেট একটা কম হলেও কালকের বোলিং চোখে লেগে থাকার মতো : ৮-৩-১৬-৫!
২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে ব্যাটিংয়েও দরকার ছিল এমন উজ্জীবনী পারফরম্যান্স। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচে টস ভাগ্যে হাসার পর আফ্রিদির হাসি আরো চওড়া করেছেন কামরান আকমল (৫৫), ইউনুস খান (৫০), মিসবাহ উল হক (৬৫) এবং সবচেয়ে বেশি বোধহয় উমর আকমল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কেনিয়ার বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেওয়া উমরের ফিফটি করতে লেগেছে মোটে ৪০ বল। ৫২ বলে ৭১ রান করা উমরের হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
পাকিস্তান-কেনিয়া স্কোরকার্ড
টস : পাকিস্তান
পাকিস্তান রান বল ৪ ৬
হাফিজ ক ওয়াটার্স ব ওটিয়েনো ৯ ২০ ১ ০
শেহজাদ ক কামান্ডে ব ওডোয়ো ১ ১৮ ০ ০
কামরান স্ট্যা ওউমা ব এনগোচে ৫৫ ৬৭ ৫ ০
ইউনিস এলবিডবি্লউ টিকোলো ৫০ ৬৭ ২ ০
মিসবাহ ক ওটিয়োনো ব কামান্ডে ৬৫ ৬৯ ১ ২
উমর ক ওবুইয়া ব ওডোয়ো ৭১ ৫২ ৮ ১
আফ্রিদি এলবিডবি্লউ ওডোয়ো ৭ ৪ ১ ০
রাজ্জাক অপরাজিত ৮ ৬ ১ ০
রেহমান অপরাজিত ৫ ৩ ০ ০
অতিরিক্ত (লেবা-৩, ও-৩৭, নো-৬) ৪৬
মোট : (৫০ ওভার, ৭ উইকেট) ৩১৭
উইকেট পতন : ১/১১, ২/১২, ৩/১১০, ৪/১৫৫, ৫/২৭৩, ৬/২৮৯, ৭/২৮৯।
বোলিং : ওডোয়ো ৭-২-৪১-৩, ওটিয়েনো ৯-১-৪৯-১, ওদিয়াম্বো ৭-০-৬৫-০, এনগোচে ১০-০-৪৬-১, কামান্ডে ৭-০-৬৪-১, টিকোলো ৯-০-৪৪-১, ওবুইয়া ১-০-৫-০।
No comments