আপিল বিভাগে প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে গতকাল বুধবার সকালে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পাওয়া প্রথম নারী বিচারপতি। ২০০০ সালের ২৮ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তিনিই ছিলেন দেশের উচ্চ আদালতে প্রথম নারী বিচারপতি।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা গতকাল সন্ধ্যায় কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আপিল বিভাগে প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় আমি গর্বিত, আনন্দিত। এ নিয়োগের মাধ্যমে আমার কাজের মূল্যায়ন হয়েছে। প্রত্যাশা ছিল, আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে কাজ করার। সে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।'
ময়মনসিংহ জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। তাঁর বাবা চৌধুরী আবুল কাশেম মইনউদ্দিন ও মা বেগম রাশিদা সুলতানা। পাঁচ ভাইবোনের সঙ্গে শৈশব ও কৈশোর এবং স্কুল-কলেজের পড়ালেখাও ওই শহরেই। বিএসসি পাসের পর ময়মনসিংহ আইন কলেজ থেকে পাস করে ১৯৭২ সালে প্রথম নারী আইনজীবী হিসেবে ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতিতে নাম লেখান।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর তিনি মুনসেফ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন। বিচারক হিসেবে প্রথমেই খুলনা জেলা আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। সে বছরই বিয়ে হয় এক প্রকৌশলীর সঙ্গে। এরপর ১৯৮৭ সালে অতিরিক্ত জেলা জজ এবং ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলায়। ২০০০ সালের ২৮ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং দুই বছর পর হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ফতোয়া নিষিদ্ধ করে ২০০১ সালে বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি নিয়ে মামলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা শুধু বিচারিক দায়িত্ব পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, দেশের নারী বিচারকদের নিয়ে গড়ে তোলেন 'মহিলা জাজ অ্যাসোসিয়েশন'। বর্তমানে 'ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ওমেন জাজ'-এর আন্তর্জাতিক পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মজীবনে ইতালি, চীন, হংকং, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, পানামা, ভারত, নেপালসহ কয়েকটি দেশে অনুষ্ঠিত আইনবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন। কর্মজীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে সব সময় পাশে পেয়েছেন স্বামীকে।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার কর্মজীবনের প্রশংসা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, 'বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার কোনো কোনো রায়ের ব্যাপারে আইনজীবীদের দ্বিমত থাকতেই পারে। তবে বিচারক হিসেবে তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে কারো প্রশ্ন নেই।'
ময়মনসিংহ জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা। তাঁর বাবা চৌধুরী আবুল কাশেম মইনউদ্দিন ও মা বেগম রাশিদা সুলতানা। পাঁচ ভাইবোনের সঙ্গে শৈশব ও কৈশোর এবং স্কুল-কলেজের পড়ালেখাও ওই শহরেই। বিএসসি পাসের পর ময়মনসিংহ আইন কলেজ থেকে পাস করে ১৯৭২ সালে প্রথম নারী আইনজীবী হিসেবে ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতিতে নাম লেখান।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর তিনি মুনসেফ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন। বিচারক হিসেবে প্রথমেই খুলনা জেলা আদালতে দায়িত্ব পালন করেন। সে বছরই বিয়ে হয় এক প্রকৌশলীর সঙ্গে। এরপর ১৯৮৭ সালে অতিরিক্ত জেলা জজ এবং ১৯৯০ সালের ২০ ডিসেম্বর জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলায়। ২০০০ সালের ২৮ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে এবং দুই বছর পর হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ফতোয়া নিষিদ্ধ করে ২০০১ সালে বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি নিয়ে মামলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা শুধু বিচারিক দায়িত্ব পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, দেশের নারী বিচারকদের নিয়ে গড়ে তোলেন 'মহিলা জাজ অ্যাসোসিয়েশন'। বর্তমানে 'ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ওমেন জাজ'-এর আন্তর্জাতিক পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মজীবনে ইতালি, চীন, হংকং, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, পানামা, ভারত, নেপালসহ কয়েকটি দেশে অনুষ্ঠিত আইনবিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন। কর্মজীবনে অনুপ্রেরণা হিসেবে সব সময় পাশে পেয়েছেন স্বামীকে।
বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার কর্মজীবনের প্রশংসা করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, 'বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার কোনো কোনো রায়ের ব্যাপারে আইনজীবীদের দ্বিমত থাকতেই পারে। তবে বিচারক হিসেবে তাঁর দক্ষতা, যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে কারো প্রশ্ন নেই।'
No comments