বীরের জন্য ভালোবাসা- বিদায় শাফায়াত জামিল
মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা শাফায়াত জামিলের মৃত্যু আমাদের কাছে নিছক বিয়োগান্তক নয়, গভীর শোক ও বেদনার। ৭২ বছর বয়সে এই সেনা কর্মকর্তার প্রয়াণ প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালে হলেও দেশ ও জাতির জন্য তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৭১ সালে তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ভূষিত হয়েছেন বীর বিক্রম খেতাবে।
শাফায়াত জামিলের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সংঘটিত কথিত সেনা অভ্যুত্থানকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। একদল বিপথগামী সেনার হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে যে মুষ্টিমেয় সেনা কর্মকর্তা প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন, ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার শাফায়াত জামিল ছিলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়ে, অভ্যুত্থানকারীরা বঙ্গভবনে বসে সেনাবাহিনী পরিচালনা করতে থাকেন। আইনের প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত শাফায়াত জামিল তৎকালীন চিফ অব স্টাফ খালেদ মোশাররফকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করেন, তা ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান হিসেবে পরিচিত। নানামুখী চক্রান্তের কারণে এই অভ্যুত্থান সফল না হলেও ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ হয়। ৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে খালেদ মোশাররফ-হুদা প্রমুখ নিহত হলেও শাফায়াত জামিল বেঁচে যান।
পঁচাত্তরের ঘটনাপ্রবাহে শাফায়াত জামিল কারাবন্দী এবং সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হলেও সেই দুঃসময়ে সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, পরবর্তীকালে কোনো সরকারই এই জাতীয় বীরের মূল্যায়ন করেনি। শাফায়াত জামিল পঁচাত্তরের সেই সংকটময় সময়ের কথা লিখে রেখে গেছেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর গ্রন্থে, যা আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মুক্তিযুদ্ধের এই অমর বীর সেনানীর প্রতি আমাদের রইল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।
শাফায়াত জামিলের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সংঘটিত কথিত সেনা অভ্যুত্থানকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। একদল বিপথগামী সেনার হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর ভেতর থেকে যে মুষ্টিমেয় সেনা কর্মকর্তা প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন, ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার শাফায়াত জামিল ছিলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড পুরোপুরি ভেঙে পড়ে, অভ্যুত্থানকারীরা বঙ্গভবনে বসে সেনাবাহিনী পরিচালনা করতে থাকেন। আইনের প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত শাফায়াত জামিল তৎকালীন চিফ অব স্টাফ খালেদ মোশাররফকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারীদের বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালনা করেন, তা ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থান হিসেবে পরিচিত। নানামুখী চক্রান্তের কারণে এই অভ্যুত্থান সফল না হলেও ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারীদের চক্রান্ত নস্যাৎ হয়। ৭ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থানে খালেদ মোশাররফ-হুদা প্রমুখ নিহত হলেও শাফায়াত জামিল বেঁচে যান।
পঁচাত্তরের ঘটনাপ্রবাহে শাফায়াত জামিল কারাবন্দী এবং সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হলেও সেই দুঃসময়ে সেনাবাহিনীর চেইন অব কমান্ড প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, পরবর্তীকালে কোনো সরকারই এই জাতীয় বীরের মূল্যায়ন করেনি। শাফায়াত জামিল পঁচাত্তরের সেই সংকটময় সময়ের কথা লিখে রেখে গেছেন একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর গ্রন্থে, যা আমাদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মুক্তিযুদ্ধের এই অমর বীর সেনানীর প্রতি আমাদের রইল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি জানাই সমবেদনা ও সহমর্মিতা।
No comments