বিশ্ব পুষ্টি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী- দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মোকাবিলায় বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবিলায় বৈশ্বিক কর্মপন্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল রোববার লন্ডনে বিশ্ব পুষ্টি সমেঞ্চলনে দেওয়া ভাষণে এই আহ্বান জানান। খবর বাসসের।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা কোনো একক দেশের সমস্যা নয়, বরং এর প্রভাব বিশ্বের সর্বত্র।
এ জন্য বিশ্বের সম্পদের ব্যবহার, অভিজ্ঞতা বিনিময়, গবেষণা ও প্রযুক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে গোটা বিশ্বকেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা এবং অপুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলায় সমন্বিত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এসব উদ্যোগের মধ্যে খাদ্যশস্যের আঞ্চলিক মজুত, খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা বা কোনো কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক সুযোগের নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ১০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা কমে যায়। এতে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের উৎপাদন হ্রাস পায়। যার মূল্য প্রায় ২৫০ কোটি ডলার। এর পরিমাণ হচ্ছে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর সঙ্গে সম্পদ ও অনুরূপ অন্যান্য যোগ হলে বাংলাদেশের এই ক্ষতির পরিমাণ হবে জিডিপির ৩ থেকে ৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া গেলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সহজেই অনেক বেশি হতো। এতে অর্থনৈতিক ভিত দৃঢ় হতো, কর্মসংস্থান বাড়ত, খাদ্য উৎপাদন ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেত। এর ফলে আমাদের পুষ্টির ঘাটতি ও শিশু বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতো।’
উদ্বোধনী অধিবেশনের কো-চেয়ারম্যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল টিমারও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ইরানে ভূমিকম্পের ঘটনায় শোক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে জীবন ও সম্পদহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে পাঠানো এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি দেশটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী ক্ষুধা এবং অপুষ্টির ঘাটতি মোকাবিলায় সমন্বিত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এসব উদ্যোগের মধ্যে খাদ্যশস্যের আঞ্চলিক মজুত, খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করা বা কোনো কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সে ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারমূলক সুযোগের নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ১০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা কমে যায়। এতে প্রায় ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের উৎপাদন হ্রাস পায়। যার মূল্য প্রায় ২৫০ কোটি ডলার। এর পরিমাণ হচ্ছে জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এর সঙ্গে সম্পদ ও অনুরূপ অন্যান্য যোগ হলে বাংলাদেশের এই ক্ষতির পরিমাণ হবে জিডিপির ৩ থেকে ৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া গেলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সহজেই অনেক বেশি হতো। এতে অর্থনৈতিক ভিত দৃঢ় হতো, কর্মসংস্থান বাড়ত, খাদ্য উৎপাদন ও স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেত। এর ফলে আমাদের পুষ্টির ঘাটতি ও শিশু বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হতো।’
উদ্বোধনী অধিবেশনের কো-চেয়ারম্যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল টিমারও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ইরানে ভূমিকম্পের ঘটনায় শোক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে জীবন ও সম্পদহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। গতকাল ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে পাঠানো এক শোক বার্তায় শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি দেশটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী নিহত ব্যক্তিদের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানান।
No comments