নওগাঁয় আদিবাসী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নওগাঁর ধামইরহাটে আদিবাসী দিনমজুর জাম্বু চৌরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বিবদমান জমি দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিরবিদ্ধ হয়ে জাম্বু চৌরে নিহত হন।


জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, ধামইরহাট শাখা গতকাল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। আদিবাসী নেতা দেবলাল টুডুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন আদিবাসী পরিষদের নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ভারত পাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক নরেন পাহান, উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন প্রমুখ। বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ ছাড়া আদিবাসীদের জমি জালিয়াত চক্রের হাত থেকে উদ্ধারেরও দাবি জানান। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে আজ সোমবার ধামইরহাট-নওগাঁ সড়ক অবরোধ ও ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সঞ্চারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামইরহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাযহারুল ইসলাম বলেন, জমির দাবিদার রুবি হাঁসদার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১৮ জুলাই সেখানে ১৪৪ ধারা জারির আদেশ দেন। কিন্তু জয়নাল আবেদিনের দল আদালতের এ নির্দেশ উপেক্ষা করে বিরোধপূর্ণ জমিতে গত শুক্রবার সকালে ধান লাগাতে গেলে বৈদ্যবাটী গ্রামের রুবি হাঁসদার লোকজন বাধা দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধে এবং একপর্যায়ে জাম্বু চৌরে তিরবিদ্ধ হন।
জাম্বু চৌরেকে প্রথমে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রুবি হাঁসদা জয়নাল আবেদিনকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। তবে পুলিশ ঘটনার দিনই সাহাপুর থেকে জয়নাল পক্ষের মুকুল ও মাসুদ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ধামইরহাট থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, বিবদমান জমি দখল নিয়ে বর্তমানে একটি মহল আদিবাসীদের মাধ্যমে তির-ধনুকের ব্যবহার করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, যা মোটেও কাম্য নয়। যেকোনো মূল্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.