মমতাজবিরোধী সেই নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা by মিলন রহমান
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল আলমের (বুলু ডাক্তার) বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার ধুন্দার গ্রামের চৈতন্যনাথ দাস গত মঙ্গলবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-২-এ মামলাটি করেন।
আদালত অভিযোগটি তদন্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা দায়েরের পর বাদীকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। মামলায় যে ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে, তাঁদের দু-একজন ছাড়া কেউ এই মামলা সম্পর্কে কিছু জানেন না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের বিরোধী নেতা হওয়ায় এই মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শফিউল আলম। এর আগে প্রকাশ্য জনসভায় তাঁর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছিল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২২ মে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে শফিউল আলমের নেতৃত্বে বাদীর বাড়ি ধুন্দার গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে গরু, মহিষ, টাকা-পয়সা লুটপাট শেষে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের বামনগ্রামে আক্রমণ চালিয়ে আটজনকে আটক এবং পরে গুলি করে পূর্ণ চন্দ্র নামের একজনকে হত্যা করা হয়।
গত শনিবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার গ্রাম। এই গ্রামের প্রয়াত কুঞ্জু বিহারি দাসের ছেলে চৈতন্যনাথ দাস। ৫০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ধুন্দার বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। মামলার পর তাঁকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। বাদীর বাড়িতে গেলে তাঁর বড় ভাই ও মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী মনীন্দ্রনাথ দাস জানান, তাঁর ভাই ১০ বছর আগে বাড়ি বিক্রি করে চলে গেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় তাঁদের বাড়িতে লুটপাটের সময় শফিউল আলম ছিলেন না। তাঁকে মামলার সাক্ষী করার বিষয়টিও তিনি জানেন না।
মামলায় যে ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে, তাঁদের চারজন এই গ্রামের। প্রথম সাক্ষী গ্রাম্য চিকিৎসক ইদ্রিস আলী মামলার খবরে হতবাক হয়ে বলেন, এই মামলা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। দ্বিতীয় সাক্ষী উপজেলা সদরে বসবাসকারী ব্যাংক কর্মকর্তা আজহার আলী বিস্ময় প্রকাশ করেন। ধুন্দার গ্রামের হবিবর রহমানকে (৭২) এই মামলার সাক্ষী করা হলেও তিনি কিছুই জানেন না। বামনগ্রামের যাঁদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বিপিন চন্দ্র, ননীচন্দ্র, সুধীর চন্দ্র, হীরন চন্দ্র, দীনবন্ধু মিত্র—কেউ এই মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না। এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর, আবু বক্কর সিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন ও কবির উদ্দিন জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে শফিউল আলম তাঁদের যে সহযোগিতা করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মামলার সাক্ষী উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুছ আলী বলেন, এটা নোংরামি ছাড়া কিছু নয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে বিরোধের কারণে এই মামলা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তাঁর জানা নেই। কমিটির সদস্য ও মামলার সাক্ষী রইচউদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছোট ছিলেন। তাই তখনকার কিছুই বলতে পারবেন না।
এসব বিষয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েকবার তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, শফিউল আলম যুদ্ধাপরাধী, এমন তালিকা জেলা প্রশাসনে নেই বলে তিনি জেনেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২২ মে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে শফিউল আলমের নেতৃত্বে বাদীর বাড়ি ধুন্দার গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে গরু, মহিষ, টাকা-পয়সা লুটপাট শেষে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের বামনগ্রামে আক্রমণ চালিয়ে আটজনকে আটক এবং পরে গুলি করে পূর্ণ চন্দ্র নামের একজনকে হত্যা করা হয়।
গত শনিবার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার গ্রাম। এই গ্রামের প্রয়াত কুঞ্জু বিহারি দাসের ছেলে চৈতন্যনাথ দাস। ৫০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ধুন্দার বাজারে নৈশপ্রহরীর কাজ করেন। মামলার পর তাঁকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। বাদীর বাড়িতে গেলে তাঁর বড় ভাই ও মামলার ৪ নম্বর সাক্ষী মনীন্দ্রনাথ দাস জানান, তাঁর ভাই ১০ বছর আগে বাড়ি বিক্রি করে চলে গেছেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সময় তাঁদের বাড়িতে লুটপাটের সময় শফিউল আলম ছিলেন না। তাঁকে মামলার সাক্ষী করার বিষয়টিও তিনি জানেন না।
মামলায় যে ১৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে, তাঁদের চারজন এই গ্রামের। প্রথম সাক্ষী গ্রাম্য চিকিৎসক ইদ্রিস আলী মামলার খবরে হতবাক হয়ে বলেন, এই মামলা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। দ্বিতীয় সাক্ষী উপজেলা সদরে বসবাসকারী ব্যাংক কর্মকর্তা আজহার আলী বিস্ময় প্রকাশ করেন। ধুন্দার গ্রামের হবিবর রহমানকে (৭২) এই মামলার সাক্ষী করা হলেও তিনি কিছুই জানেন না। বামনগ্রামের যাঁদের সাক্ষী করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বিপিন চন্দ্র, ননীচন্দ্র, সুধীর চন্দ্র, হীরন চন্দ্র, দীনবন্ধু মিত্র—কেউ এই মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না। এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর, আবু বক্কর সিদ্দিক, দেলোয়ার হোসেন ও কবির উদ্দিন জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে শফিউল আলম তাঁদের যে সহযোগিতা করেছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মামলার সাক্ষী উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুছ আলী বলেন, এটা নোংরামি ছাড়া কিছু নয়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়তেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে বিরোধের কারণে এই মামলা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তাঁর জানা নেই। কমিটির সদস্য ও মামলার সাক্ষী রইচউদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছোট ছিলেন। তাই তখনকার কিছুই বলতে পারবেন না।
এসব বিষয়ে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েকবার তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ বলেন, শফিউল আলম যুদ্ধাপরাধী, এমন তালিকা জেলা প্রশাসনে নেই বলে তিনি জেনেছেন।
No comments