চালচিত্র-মন্ত্রণালয়ের কাজ কি জনদুর্ভোগ বাড়ানো! by শুভ রহমান
অনিবার্য কারণে লেখালেখিতে কিছু ছেদ পড়ে গেল। সমস্যাসংকুল জীবনে চলার গতি মসৃণ কারো নয়। লক্ষণীয়, ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত সময়ে, মোটা দাগে, রাজনীতি, অর্থনীতি, প্রায় সব ক্ষেত্রেই আগের অবস্থাই বিরাজ করছে। বলা যায়, সেই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়। কথা তাই যেকোনো জায়গা থেকে শুরু করলেই হয়।
অবাক লাগল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির বক্তব্য শুনে। প্রায় সব কাগজেই সে বক্তব্য রয়েছে। তিনি বলেছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নাকি যৌক্তিক! এ কোন প্রতিনিধি! মন্ত্রণালয়ের কাজটা কী! মন্ত্রণালয় কি শুধু মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানোর লক্ষ্যেই কাজ করবে? আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমছে, বাড়ছে না আমদানি শুল্ক আর চাহিদা, অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের রয়েছে পর্যাপ্ত মজুদ, সরবরাহও বাজারে পর্যাপ্ত- তার পরও কোন যুক্তিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে এবং সে বৃদ্ধি হবে যৌক্তিক- অর্থনৈতিক বিশ্লেষকসহ সাধারণ মানুষ, ভোক্তাসাধারণ, কারোরই তা বোধগম্য হচ্ছে না। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে সম্প্রতি এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মূল্যবৃদ্ধির সাফাই গেয়েছেন। তাঁর যুক্তি হচ্ছে, গত রমজানের সময় মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ছিল ৭৫ টাকা ২০ পয়সা, ব্যাংকঋণের সুদের হার ছিল ১২ শতাংশ, বিদ্যুতের দাম ছিল ইউনিটপ্রতি পাঁচ টাকা আর গ্যাসের দাম ছিল প্রতি ইউনিট চার টাকা। বর্তমানে ডলারের বিনিময় মূল্য ৮২ টাকা ৪৫ পয়সা, ব্যাংকঋণের সুদের হার ১৮ শতাংশ (তবে ব্যাংকগুলো নাকি ১৫ শতাংশের বেশি সুদ নিচ্ছে না), আর বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বর্তমানে ইউনিটপ্রতি যথাক্রমে আট টাকা ও ছয় টাকা। এই বেশি দামে ডলার আর বিদ্যুৎ ও গ্যাস কেনার দরুন ব্যবসায়ীদের নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যৌক্তিক বলে মত দেন। বৈঠকে তাঁর মতকে কিন্তু উপস্থিত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা ছাড়া আর কেউ মানেননি বলে সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। উপস্থিত এক গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিনিধির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। তা ছাড়া সে গোয়েন্দা কর্মকর্তা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে দাম বাড়িয়ে জনসাধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করার তথ্য তুলে ধরেন এবং মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে কঠোর হতে বলেন।
মন্ত্রণালয় কার বিরুদ্ধে কঠোর হবে, কঠোর তো হতে হবে মন্ত্রণালয়ের ভেতরেই একশ্রেণীর স্বার্থান্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধেই।
এ ঘটনাই প্রমাণ করে, শুধু মন্ত্রী বদলই সমস্যার সমাধান নয়, মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাই জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রধান বিবেচ্য। বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে খবরটিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকঋণের সুদের হার, ডলারের দাম, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাজারের পণ্যমূল্যকে প্রভাবিত করলেও তাতে কতটা প্রভাবিত হতে পারে এবং তা কতটা মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে পারে, সেটা ভেবে দেখা দরকার।
বস্তুত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজই হওয়া উচিত সেটা বিচার-বিশ্লেষণ করে নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া। মন্ত্রণালয় তার উল্টো কাজটি করছে এবং একশ্রেণীর অসৎ ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়াতে মদদ জোগাচ্ছে।
সচেতন জনমানুষ স্বভাবতই প্রশ্ন করছে, এই প্রতিনিধি কারা? শবেবরাত ও রমজান মাস সামনে রেখে যেখানে জনকল্যাণমুখী সরকারের লক্ষ্যই থাকবে নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করা, সেখানে সরকারকে অপ্রিয় ও জনবিচ্ছিন্ন করার অসৎ লক্ষ্য নিয়ে সরকারের ভেতরেই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্বের নামে এক শ্রেণীর গণশত্রু নিঃশব্দে ও সন্তর্পণে কাজ করে চলেছে। সরকারের উচিত হবে কালবিলম্ব না করে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে ত্বরিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শবেবরাত ও রমজান মাসে সাধারণ মানুষের বিশেষ পণ্য চাহিদা যৌক্তিক মূল্যে মেটানোর ব্যবস্থা করা।
গণতন্ত্রের অর্থ তো সাধারণ মানুষের উৎসব, পালাপার্বণ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিশ্চিন্ত মনে পালন করতে সর্বতোভাবে সহায়তা করা, সেসব উপলক্ষের সুযোগ নিয়ে তাদের চুষে খেতে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা নয়।
সরকারের মেয়াদের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেও সরকারকে অজনপ্রিয় করতে মন্ত্রণালয়ের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী উঠেপড়ে লেগেছে, কালক্ষেপণ না করে তাদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজনীতি, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা- সব ক্ষেত্রেই গণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া ২০০৮-এর গণম্যান্ডেট অক্ষুণ্ন রাখার কোনো উপায় ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের নেই। সরকারের গণবিরোধী হওয়া মানেই এ দেশে গণতন্ত্রের পক্ষে দেওয়া নিরঙ্কুশ গণম্যান্ডেটই পরাজিত হওয়া, গণতন্ত্রবিরোধী, গণবিরোধী শক্তির মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। আর গণবিরোধী শক্তি আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় জেঁকে বসতে পারলে এ দেশে সমাজ ও রাষ্ট্রের গণতন্ত্রায়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, দেশ ও সমাজের অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে পড়বে।
মন্ত্রণালয় কার বিরুদ্ধে কঠোর হবে, কঠোর তো হতে হবে মন্ত্রণালয়ের ভেতরেই একশ্রেণীর স্বার্থান্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধেই।
এ ঘটনাই প্রমাণ করে, শুধু মন্ত্রী বদলই সমস্যার সমাধান নয়, মন্ত্রণালয়ের ভূমিকাই জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রধান বিবেচ্য। বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে খবরটিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকঋণের সুদের হার, ডলারের দাম, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি বাজারের পণ্যমূল্যকে প্রভাবিত করলেও তাতে কতটা প্রভাবিত হতে পারে এবং তা কতটা মূল্যবৃদ্ধি ঘটতে পারে, সেটা ভেবে দেখা দরকার।
বস্তুত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজই হওয়া উচিত সেটা বিচার-বিশ্লেষণ করে নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া। মন্ত্রণালয় তার উল্টো কাজটি করছে এবং একশ্রেণীর অসৎ ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটকে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়াতে মদদ জোগাচ্ছে।
সচেতন জনমানুষ স্বভাবতই প্রশ্ন করছে, এই প্রতিনিধি কারা? শবেবরাত ও রমজান মাস সামনে রেখে যেখানে জনকল্যাণমুখী সরকারের লক্ষ্যই থাকবে নিত্যপণ্যের মূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় করে সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করা, সেখানে সরকারকে অপ্রিয় ও জনবিচ্ছিন্ন করার অসৎ লক্ষ্য নিয়ে সরকারের ভেতরেই মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্বের নামে এক শ্রেণীর গণশত্রু নিঃশব্দে ও সন্তর্পণে কাজ করে চলেছে। সরকারের উচিত হবে কালবিলম্ব না করে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে ত্বরিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং শবেবরাত ও রমজান মাসে সাধারণ মানুষের বিশেষ পণ্য চাহিদা যৌক্তিক মূল্যে মেটানোর ব্যবস্থা করা।
গণতন্ত্রের অর্থ তো সাধারণ মানুষের উৎসব, পালাপার্বণ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিশ্চিন্ত মনে পালন করতে সর্বতোভাবে সহায়তা করা, সেসব উপলক্ষের সুযোগ নিয়ে তাদের চুষে খেতে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাহায্য করা নয়।
সরকারের মেয়াদের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেও সরকারকে অজনপ্রিয় করতে মন্ত্রণালয়ের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী উঠেপড়ে লেগেছে, কালক্ষেপণ না করে তাদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজনীতি, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা- সব ক্ষেত্রেই গণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ছাড়া ২০০৮-এর গণম্যান্ডেট অক্ষুণ্ন রাখার কোনো উপায় ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের নেই। সরকারের গণবিরোধী হওয়া মানেই এ দেশে গণতন্ত্রের পক্ষে দেওয়া নিরঙ্কুশ গণম্যান্ডেটই পরাজিত হওয়া, গণতন্ত্রবিরোধী, গণবিরোধী শক্তির মাথাচাড়া দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। আর গণবিরোধী শক্তি আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় জেঁকে বসতে পারলে এ দেশে সমাজ ও রাষ্ট্রের গণতন্ত্রায়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে, দেশ ও সমাজের অগ্রগতি রুদ্ধ হয়ে পড়বে।
No comments