সেতু বাঁচান কিন্তু যাত্রীদের বিপদে ফেলবেন না-হঠাৎ সিদ্ধান্তের জের
যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বচ্ছন্দে চলাচল নিশ্চিত করার জন্য দেশে যে একটি টেকসই ও পরিকল্পিত পরিবহনব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৪১ বছর ধরে আমাদের পরিবহন, বিশেষ করে সড়ক পরিবহনব্যবস্থায় নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলে আসছে। কোথাও শৃঙ্খলার বালাই নেই।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আকস্মিক সিদ্ধান্তে গত শুক্রবার দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে হাজার হাজার যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়ে। কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সকাল পাঁচটা থেকে দাউদকান্দিতে মেঘনা সেতুর ওপর ১৫ টনের বেশি ওজনের ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেয়। তাদের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে চালকেরা রাস্তায় এলোমেলো ট্রাক ছড়িয়ে রাখলে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এই সিদ্ধান্ত হয়তো অযৌক্তিক নয়। সড়ক ও সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় তারা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু সেটি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে। ট্রাকের চালকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। চট্টগ্রাম বা আরও দূরবর্তী স্থান থেকে তাঁরা মালবাহী ট্রাক নিয়ে এলে জানানো হয়, সেতু পার হওয়া যাবে না।
সড়ক যোগাযোগ আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এর সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। সে কারণে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে, যেমনটি হয়েছে গত শুক্রবার। আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করা হলে কর্তৃপক্ষের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। ট্রাকের চালকদের চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ সেদিন ভারী যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। চার ঘণ্টার ধর্মঘট ১৬ ঘণ্টার অবরোধে পরিণত হয়।
ভবিষ্যতে যাতে সড়ক পরিবহনে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে সতর্ক থাকতে হবে। সড়ক ও সেতুর নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনি যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এই সিদ্ধান্ত হয়তো অযৌক্তিক নয়। সড়ক ও সেতুর নিরাপত্তা রক্ষায় তারা যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু সেটি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে। ট্রাকের চালকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। চট্টগ্রাম বা আরও দূরবর্তী স্থান থেকে তাঁরা মালবাহী ট্রাক নিয়ে এলে জানানো হয়, সেতু পার হওয়া যাবে না।
সড়ক যোগাযোগ আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এর সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। সে কারণে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে, যেমনটি হয়েছে গত শুক্রবার। আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করা হলে কর্তৃপক্ষের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। ট্রাকের চালকদের চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ সেদিন ভারী যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। চার ঘণ্টার ধর্মঘট ১৬ ঘণ্টার অবরোধে পরিণত হয়।
ভবিষ্যতে যাতে সড়ক পরিবহনে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে সতর্ক থাকতে হবে। সড়ক ও সেতুর নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনি যাত্রীসাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।
No comments