পাখি শিকার বন্ধ করতে কঠোর উদ্যোগ নিন-অসাধারণ উদ্যোগ
প্রতিদিনের সংবাদমাধ্যমে দুঃসংবাদের ভিড়ে সুসংবাদের প্রত্যাশায় উদগ্রীব হয়ে থাকে মানুষের মন। একটি সুসংবাদ প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবারের প্রথম আলোর শেষ পাতায়। ‘আপন ঠিকানায় হাজার টিয়া’ শিরোনামের সচিত্র প্রতিবেদনটিতে মানুষের সংবেদনশীলতা দেখে আশাবাদ জেগে ওঠে।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার সাত-আটজন পেশাদার পাখিশিকারি জাল পেতে ধরেছিলেন হাজার খানেক টিয়া; স্থানীয় কয়েকজন যুবক পাখিগুলোকে উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছেন।
পাখি শিকার যে বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ—এ তথ্য ততটা প্রচারিত নয়। এই ঘটনার সুবাদে ফেনীর পরশুরাম এলাকার মানুষ তা ভালোভাবেই জানতে পারল। আরও জানা গেল, ওই অঞ্চলে সংঘবদ্ধ পাখিশিকারিদের অনেক দল সক্রিয় রয়েছে, যারা ফসলের খেতসহ বিভিন্ন পাখি বিচরণক্ষেত্রে জাল পেতে পাখি শিকার করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। এ জন্য তারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে, পাখি ধরে লুকিয়ে রাখা ও পাচারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাড়িতে এমন কজন পাখিশিকারি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন, এমন খবরও পাওয়া গেল।
পরশুরামের উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা এই খবর পেয়েছেন। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। থানার ওসি বলেছেন, তিনি পরশুরামের বিভিন্ন স্থানে পাখি শিকারের কথা শুনে আসছেন, কিন্তু শিকারিদের খুঁজে পাননি। ১০-২০টি নয়, একসঙ্গে এক হাজার টিয়া পাখি কয়েকজন সাধারণ যুবকের উদ্যোগে মুক্তি পেল—এ ঘটনার পরও কি ওই অঞ্চলে পাখিশিকারিদের খুঁজে পেতে থানা-পুলিশের কষ্ট হওয়ার কথা?
পাখি শিকার বন্ধ করতে সবকিছুর আগে প্রয়োজন সংবেদনশীলতা—যা দেখিয়েছেন পরশুরামের ওই যুবকেরা। সারা বছর বিভিন্ন জাতের দেশি পাখির শিকার চলে, হেমন্তের শেষ থেকে পুরো শীতকাল চলে অতিথি পাখি শিকার। ইতিমধ্যে অতিথি পাখিদের আসা শুরু হয়েছে। কোনোভাবেই যেন এসব পাখি কেউ ধরতে না পারে, তাদের প্রজনন ও অবাধ বিচরণ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সংবেদনশীল উদ্যোগ প্রয়োজন। সামাজিক প্রতিরোধ এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ফলপ্রসূ হতে পারে।
পাখি শিকার যে বেআইনি ও দণ্ডনীয় অপরাধ—এ তথ্য ততটা প্রচারিত নয়। এই ঘটনার সুবাদে ফেনীর পরশুরাম এলাকার মানুষ তা ভালোভাবেই জানতে পারল। আরও জানা গেল, ওই অঞ্চলে সংঘবদ্ধ পাখিশিকারিদের অনেক দল সক্রিয় রয়েছে, যারা ফসলের খেতসহ বিভিন্ন পাখি বিচরণক্ষেত্রে জাল পেতে পাখি শিকার করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। এ জন্য তারা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে, পাখি ধরে লুকিয়ে রাখা ও পাচারের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাড়িতে এমন কজন পাখিশিকারি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন, এমন খবরও পাওয়া গেল।
পরশুরামের উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা এই খবর পেয়েছেন। কিন্তু কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। থানার ওসি বলেছেন, তিনি পরশুরামের বিভিন্ন স্থানে পাখি শিকারের কথা শুনে আসছেন, কিন্তু শিকারিদের খুঁজে পাননি। ১০-২০টি নয়, একসঙ্গে এক হাজার টিয়া পাখি কয়েকজন সাধারণ যুবকের উদ্যোগে মুক্তি পেল—এ ঘটনার পরও কি ওই অঞ্চলে পাখিশিকারিদের খুঁজে পেতে থানা-পুলিশের কষ্ট হওয়ার কথা?
পাখি শিকার বন্ধ করতে সবকিছুর আগে প্রয়োজন সংবেদনশীলতা—যা দেখিয়েছেন পরশুরামের ওই যুবকেরা। সারা বছর বিভিন্ন জাতের দেশি পাখির শিকার চলে, হেমন্তের শেষ থেকে পুরো শীতকাল চলে অতিথি পাখি শিকার। ইতিমধ্যে অতিথি পাখিদের আসা শুরু হয়েছে। কোনোভাবেই যেন এসব পাখি কেউ ধরতে না পারে, তাদের প্রজনন ও অবাধ বিচরণ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বন বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সংবেদনশীল উদ্যোগ প্রয়োজন। সামাজিক প্রতিরোধ এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ফলপ্রসূ হতে পারে।
No comments