মানুষের হাত থেকে বাঘকে বাঁচাতে হবে-বিশ্ব বাঘ সম্মেলন
বাঘ বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে চার দিনব্যাপী যে বিশ্ব বাঘ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো, তা এক ঐতিহাসিক ঘটনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যেসব দেশে বাঘের অবাধ বিচরণ রয়েছে, সেসব দেশের নেতারা এতে অংশ নিয়েছেন।
ভবিষ্যতের জীবন ও প্রকৃতির স্বার্থে বাঘের অস্তিত্ব রক্ষায় উচ্চপর্যায়ের যে অঙ্গীকার দরকার, তার প্রাথমিক অর্জন হলো এই সম্মেলনে। এখানে ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বের বাঘের সংখ্যা বাড়িয়ে সাত হাজার করার এবং বাঘের আবাসস্থল রক্ষার অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বনেতারা।
শত বছর আগে পৃথিবীতে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ। এখন সেই সংখ্যা কমে প্রায় তিন হাজার দুই শতে নেমে এসেছে। বিশ্বব্যাপী বাঘের অস্তিত্ব এখন যতটা হুমকিতে, তা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবীর বুকে বাঘের অস্তিত্ব থাকবে না। অবশিষ্ট বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গেলে তা হবে পৃথিবীর জন্য এক বিরাট বিপর্যয়। যে পরিবেশে বাঘের বাস, সেখানকার বাস্তুসংস্থানেও নামবে ধস।
বিশ্বব্যাপী বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো: আবাসস্থল ধ্বংস বা দখল হওয়া, অবৈধভাবে বাঘ শিকার এবং বন্য প্রাণীর অবৈধ ব্যবসা। এর প্রতিটির পেছনে আছে মানুষ। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর উপায়ও আমাদের জানা। আবাসস্থল রক্ষা পেলে এবং অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করা গেলে এটা সম্ভব।
বাঘ রক্ষা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কোনো দেশ এককভাবে তা মোকাবিলা করতে পারে না। তাই অর্থ ও জ্ঞানের বৈশ্বিক লেনদেন দরকার। প্রধানমন্ত্রীও বাঘ বাঁচাতে বৈশ্বিক সমন্বিত পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তবে বাঘ রক্ষার দায় প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের ওপরই বর্তায়। এক দেশের বাস্তবতার সঙ্গে আরেক দেশের বাস্তবতায়ও থাকে বিস্তর ফারাক।
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে আমাদের যে বাঘগুলো আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে আবাসস্থলে মানুষের নিয়মিত উপস্থিতি উত্তরোত্তর বাড়ার কারণে। এতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তা জঙ্গলের ধারণক্ষমতার সঙ্গে কতটুকু সংগতিপূর্ণ বা জঙ্গলকে কীভাবে নিরুপদ্রব রাখা যায়, তাও বিবেচনায় নিতে হবে।
এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার ফলে স্থানীয়ভাবে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে এবং নীতিনির্ধারক, রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তারা এখন বাঘ সংরক্ষণে আরও সজাগ হবেন আশা করা যায়। বাঘের আবাসস্থলকে ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা করা এবং বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় লোকজনের জীবনযাপনকে সহনীয় করে তোলার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বাঘ বাঁচাতে বৈশ্বিক তহবিলের পাশাপাশি আমাদের একটি জাতীয় তহবিলও গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের মানুষের কল্পনায় বাঘ আলোড়ন তুলেছে সব সময়। রূপকথা, গল্প-কাহিনিতে বাঘের জীবন্ত উপস্থিতি। বাঘের বিলুপ্তি ঘটলে আমরা শুধু এক অনন্য প্রাণীই হারাব না, সঙ্গে সঙ্গে লুপ্ত হবে পূর্বপ্রজন্মের সঙ্গে আমাদের সংযোগের এক সূত্রও। বাঘ সংরক্ষণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষার মতোই এই সূত্রও অটুট থাক।
শত বছর আগে পৃথিবীতে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ। এখন সেই সংখ্যা কমে প্রায় তিন হাজার দুই শতে নেমে এসেছে। বিশ্বব্যাপী বাঘের অস্তিত্ব এখন যতটা হুমকিতে, তা অব্যাহত থাকলে নিকট ভবিষ্যতে পৃথিবীর বুকে বাঘের অস্তিত্ব থাকবে না। অবশিষ্ট বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গেলে তা হবে পৃথিবীর জন্য এক বিরাট বিপর্যয়। যে পরিবেশে বাঘের বাস, সেখানকার বাস্তুসংস্থানেও নামবে ধস।
বিশ্বব্যাপী বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো: আবাসস্থল ধ্বংস বা দখল হওয়া, অবৈধভাবে বাঘ শিকার এবং বন্য প্রাণীর অবৈধ ব্যবসা। এর প্রতিটির পেছনে আছে মানুষ। তবে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর উপায়ও আমাদের জানা। আবাসস্থল রক্ষা পেলে এবং অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করা গেলে এটা সম্ভব।
বাঘ রক্ষা একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কোনো দেশ এককভাবে তা মোকাবিলা করতে পারে না। তাই অর্থ ও জ্ঞানের বৈশ্বিক লেনদেন দরকার। প্রধানমন্ত্রীও বাঘ বাঁচাতে বৈশ্বিক সমন্বিত পরিকল্পনার কথা বলেছেন। তবে বাঘ রক্ষার দায় প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের ওপরই বর্তায়। এক দেশের বাস্তবতার সঙ্গে আরেক দেশের বাস্তবতায়ও থাকে বিস্তর ফারাক।
বাংলাদেশে এ মুহূর্তে আমাদের যে বাঘগুলো আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে আবাসস্থলে মানুষের নিয়মিত উপস্থিতি উত্তরোত্তর বাড়ার কারণে। এতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তা জঙ্গলের ধারণক্ষমতার সঙ্গে কতটুকু সংগতিপূর্ণ বা জঙ্গলকে কীভাবে নিরুপদ্রব রাখা যায়, তাও বিবেচনায় নিতে হবে।
এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশ নেওয়ার ফলে স্থানীয়ভাবে এর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে এবং নীতিনির্ধারক, রাজনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তারা এখন বাঘ সংরক্ষণে আরও সজাগ হবেন আশা করা যায়। বাঘের আবাসস্থলকে ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা করা এবং বাঘ সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় লোকজনের জীবনযাপনকে সহনীয় করে তোলার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। বাঘ বাঁচাতে বৈশ্বিক তহবিলের পাশাপাশি আমাদের একটি জাতীয় তহবিলও গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের মানুষের কল্পনায় বাঘ আলোড়ন তুলেছে সব সময়। রূপকথা, গল্প-কাহিনিতে বাঘের জীবন্ত উপস্থিতি। বাঘের বিলুপ্তি ঘটলে আমরা শুধু এক অনন্য প্রাণীই হারাব না, সঙ্গে সঙ্গে লুপ্ত হবে পূর্বপ্রজন্মের সঙ্গে আমাদের সংযোগের এক সূত্রও। বাঘ সংরক্ষণের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য রক্ষার মতোই এই সূত্রও অটুট থাক।
No comments