দক্ষতা-যোগ্যতাই প্রধান বিবেচ্য হওয়া উচিত-১৮৫ কর্মকর্তার পদোন্নতি
জনপ্রশাসনের ২১০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার জ্যেষ্ঠতা খর্ব করে পদোন্নতি দেওয়া হলো ১৮৫ জনকে। ২১০ জনের মধ্যে পদোন্নতি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বঞ্চিত হলেন ১০৭ জন। প্রশাসনযন্ত্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশে এ রকম পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।
উপসচিব ও সমমর্যাদার ১৮৫ জন কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় পদোন্নতিসংক্রান্ত নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি বলে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের অনেকে অভিযোগ করেছেন। ক্ষেত্র বিশেষে রাজনৈতিক বিবেচনা এবং ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বিষয় অগ্রাধিকার পেয়েছে। অবশ্য সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, আইন ও বিধির আওতায় যাঁরা যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, তাঁদের সবাইকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ রকম পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে জনপ্রশাসনের সংহতি ও সহযোগিতাপূর্ণ কর্মপরিবেশ বজায় থাকা কঠিন।
জনপ্রশাসনের উচ্চপদগুলোতে রদবদল ও পদোন্নতির বিষয়গুলোর সঙ্গে যে রাজনৈতিক বিবেচনার যোগ আছে, তা অস্বীকার করা যায় না। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সচিবসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪৬ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল, ১৫ সচিব পদে রদবদল করেছিল এবং সাতজন সচিবকে ওএসডি করেছিল। আর বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে ১০ সচিবকে ওএসডি করেছে। গত মাসে একসঙ্গে ২১ সচিব পদে রদবদল ও চারজন সচিবকে ওএসডি করা হয়েছে। আর রোববার ১০৭ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার মধ্য দিয়ে এ সরকারের আমলে সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ওএসডির সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৫৮০। এতে যেমন রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের ও প্রশিক্ষিত লোকবলের অপচয়; তেমনি এর মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে জনপ্রশাসনের সাংগঠনিক, নৈতিক ও মানসিক সংহতির অভাব। প্রশাসনযন্ত্রের এই বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা যে সরকারের আস্থাভাজন নন এবং উল্টোদিকে যাঁরা অন্যদের ডিঙিয়ে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁরা যে আস্থাভাজন, তার কী কী কারণ থাকতে পারে? রাজনৈতিক আনুগত্য তথা ‘আমাদের লোক আর ওদের লোক’—এই বিবেচনাই যদি প্রধান হয়ে ওঠে, তাহলে জনপ্রশাসনের কর্ম সম্পাদনের মান, দক্ষতা, কার্যকারিতা ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকবে।
এ ছাড়া কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া বা বঞ্চিত করার অভিযোগগুলোর একটি আইনি দিকও আছে। যেসব কর্মকর্তা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি পাননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তি আছে কি না; যোগ্যতা থাকলে কেন তাঁরা পদোন্নতি পাননি, এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানের কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে কি না ইত্যাদি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কিছুদিন আগে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কাছে, কী কী কারণে তাঁরা পদোন্নতি পাননি, তারও ব্যখ্যা চাওয়া হয়েছে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় যথাযথভাবে কাজটি সম্পন্ন করলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে। সর্বোপরি উপলব্ধি করতে হবে, এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুযায়ী যোগ্যতা-দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতির প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন।
জনপ্রশাসনের উচ্চপদগুলোতে রদবদল ও পদোন্নতির বিষয়গুলোর সঙ্গে যে রাজনৈতিক বিবেচনার যোগ আছে, তা অস্বীকার করা যায় না। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সচিবসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার ৪৬ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছিল, ১৫ সচিব পদে রদবদল করেছিল এবং সাতজন সচিবকে ওএসডি করেছিল। আর বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মধ্যে ১০ সচিবকে ওএসডি করেছে। গত মাসে একসঙ্গে ২১ সচিব পদে রদবদল ও চারজন সচিবকে ওএসডি করা হয়েছে। আর রোববার ১০৭ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করার মধ্য দিয়ে এ সরকারের আমলে সচিবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ওএসডির সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৫৮০। এতে যেমন রাষ্ট্রের বিপুল অর্থের ও প্রশিক্ষিত লোকবলের অপচয়; তেমনি এর মধ্য দিয়ে ফুটে ওঠে জনপ্রশাসনের সাংগঠনিক, নৈতিক ও মানসিক সংহতির অভাব। প্রশাসনযন্ত্রের এই বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা যে সরকারের আস্থাভাজন নন এবং উল্টোদিকে যাঁরা অন্যদের ডিঙিয়ে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁরা যে আস্থাভাজন, তার কী কী কারণ থাকতে পারে? রাজনৈতিক আনুগত্য তথা ‘আমাদের লোক আর ওদের লোক’—এই বিবেচনাই যদি প্রধান হয়ে ওঠে, তাহলে জনপ্রশাসনের কর্ম সম্পাদনের মান, দক্ষতা, কার্যকারিতা ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকবে।
এ ছাড়া কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া বা বঞ্চিত করার অভিযোগগুলোর একটি আইনি দিকও আছে। যেসব কর্মকর্তা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি পাননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের অভিযোগের ভিত্তি আছে কি না; যোগ্যতা থাকলে কেন তাঁরা পদোন্নতি পাননি, এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানের কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে কি না ইত্যাদি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কিছুদিন আগে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের কাছে, কী কী কারণে তাঁরা পদোন্নতি পাননি, তারও ব্যখ্যা চাওয়া হয়েছে। সংস্থাপন মন্ত্রণালয় যথাযথভাবে কাজটি সম্পন্ন করলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে। সর্বোপরি উপলব্ধি করতে হবে, এসব ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা পরিহার করে সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান অনুযায়ী যোগ্যতা-দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতির প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন।
No comments