মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-প্রফুল্ল সিংহকে আসামি পক্ষের জেরা চলছে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী প্রফুল্ল রঞ্জন সিংহকে গতকাল দ্বিতীয় দিনেও জেরা করেছে আসামি পক্ষ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে আবার জেরা করা হবে।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল সোমবার প্রফুল্ল সিংহকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসানুল হক। গতকাল তাঁকে প্রায় দেড় ঘণ্টা জেরা করা হয়। প্রফুল্ল কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ নূতন চন্দ্র সিংহের ছোট ছেলে।
আসামির কাঠগড়ায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে আহসানুল জানতে চান, অসহযোগ আন্দোলনেরসময় কুণ্ডেশ্বরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মলোটভ ককটেল’ বানাতে বোতল সরবরাহ করা হতো কি না? জবাবে প্রফুল্ল বলেন, ‘হ্যাঁ, এক দিন সাত-আটটা বোতল কুণ্ডেশ্বরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’ পরের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নূতন চন্দ্র তাঁর (প্রফুল্ল) মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কুণ্ডেশ্বরীতে যাওয়ার জন্য খবর পাঠিয়েছিলেন।
আহসানুল বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী সাক্ষীর বিরুদ্ধে ঢাকার চার নম্বর যুগ্ম জেলা জজের আদালতে ৫০০ কোটি টাকা দাবি করে মানহানি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানও বিবাদী। প্রফুল্ল এ বক্তব্যে ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় সাক্ষী তদন্ত সংস্থায় ব্যক্তিগতভাবে কোনো অভিযোগ দিয়েছিলেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী ‘না’ সূচক জবাব দেন। পরের কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা দুবার তাঁদের বাড়ি গেছেন। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কত তারিখে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তা তাঁর মনে নেই। চট্টগ্রামে কুণ্ডেশ্বরীতে নিজ বাড়িতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দাদা গৌরাঙ্গ সিংহও ছিলেন।
জেরার একপর্যায়ে সাক্ষী প্রফুল্ল সিংহ বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতা আবদুল্লাহ আল-নোমান তাঁকে একাত্তরের ১১ এপ্রিল বিকেল চারটার দিকে ভারতে চলে যেতে বলেছিলেন। তিনি কার কাছ থেকে কুণ্ডেশ্বরীর নিরাপত্তা সমস্যার বিষয়ে জেনেছিলেন, আহসানুল হকের এ প্রশ্নের জবাবে প্রফুল্ল বলেন, নোমানের কাছে তিনি তা জানতে চাননি। তবে তাঁর সঙ্গে তিনি রামগড় দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। নূতন চন্দ্রের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নোমান কার কাছে শুনেছিলেন তা তিনি (প্রফুল্ল) জিজ্ঞাসা করেননি বলে জানান।
সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিনকে গতকালও জেরা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। জেরায় এই মামলার সাক্ষীদের বাড়ির ছবি প্রদর্শন করে নানা প্রশ্ন করা হয়। আজ আবার হেলালউদ্দিনকে জেরা করা হবে।
আসামির কাঠগড়ায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে আহসানুল জানতে চান, অসহযোগ আন্দোলনেরসময় কুণ্ডেশ্বরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মলোটভ ককটেল’ বানাতে বোতল সরবরাহ করা হতো কি না? জবাবে প্রফুল্ল বলেন, ‘হ্যাঁ, এক দিন সাত-আটটা বোতল কুণ্ডেশ্বরী থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’ পরের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নূতন চন্দ্র তাঁর (প্রফুল্ল) মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কুণ্ডেশ্বরীতে যাওয়ার জন্য খবর পাঠিয়েছিলেন।
আহসানুল বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী সাক্ষীর বিরুদ্ধে ঢাকার চার নম্বর যুগ্ম জেলা জজের আদালতে ৫০০ কোটি টাকা দাবি করে মানহানি মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানও বিবাদী। প্রফুল্ল এ বক্তব্যে ‘হ্যাঁ’ সূচক জবাব দেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় সাক্ষী তদন্ত সংস্থায় ব্যক্তিগতভাবে কোনো অভিযোগ দিয়েছিলেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে সাক্ষী ‘না’ সূচক জবাব দেন। পরের কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা দুবার তাঁদের বাড়ি গেছেন। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কত তারিখে জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তা তাঁর মনে নেই। চট্টগ্রামে কুণ্ডেশ্বরীতে নিজ বাড়িতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দাদা গৌরাঙ্গ সিংহও ছিলেন।
জেরার একপর্যায়ে সাক্ষী প্রফুল্ল সিংহ বলেন, বর্তমানে বিএনপির নেতা আবদুল্লাহ আল-নোমান তাঁকে একাত্তরের ১১ এপ্রিল বিকেল চারটার দিকে ভারতে চলে যেতে বলেছিলেন। তিনি কার কাছ থেকে কুণ্ডেশ্বরীর নিরাপত্তা সমস্যার বিষয়ে জেনেছিলেন, আহসানুল হকের এ প্রশ্নের জবাবে প্রফুল্ল বলেন, নোমানের কাছে তিনি তা জানতে চাননি। তবে তাঁর সঙ্গে তিনি রামগড় দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত গিয়েছিলেন। নূতন চন্দ্রের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নোমান কার কাছে শুনেছিলেন তা তিনি (প্রফুল্ল) জিজ্ঞাসা করেননি বলে জানান।
সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিনকে গতকালও জেরা করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। জেরায় এই মামলার সাক্ষীদের বাড়ির ছবি প্রদর্শন করে নানা প্রশ্ন করা হয়। আজ আবার হেলালউদ্দিনকে জেরা করা হবে।
No comments