প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ-অযোগ্য শিক্ষকেরা সময় পাবেন তিন বছর by মোশতাক আহমেদ
জাতীয়করণের জন্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষকের নির্ধারিত যোগ্যতা নেই, তাঁরা যোগ্যতা অর্জনের জন্য তিন বছরের সুযোগ পাবেন। তবে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষকতায় কমপক্ষে ২৫ বছর অথবা বয়স ৪৫ হওয়া শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ওই শর্ত শিথিল করা হচ্ছে।
এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের রূপরেখা’র খসড়া তৈরি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বাধীন কমিটি। আজ মঙ্গলবার জাতীয়করণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠেয় সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আজকের সভায় রূপরেখাসহ জাতীয়করণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
খসড়া রূপরেখা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া স্থায়ী বা অস্থায়ী নিবন্ধন পাওয়া ও পাঠদানের অনুমতি পাওয়া বিদ্যালয়সহ বর্তমানে চালু থাকা সব কমিউনিটি ও এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। তবে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান চালু নেই এমন এমপিওবহির্ভূত বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি সংস্থার নিজস্ব উদ্যোগে স্থাপিত ও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীন বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে জাতীয়করণের প্রযোজ্যতা সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে।
আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এই কমিটি গত ২৯ মে গঠন করা হয়েছিল। এর আগে ২৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বেসরকারি নিবন্ধিত (রেজিস্টার্ড) ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আশ্বাস দেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে কিছু দেরি হলেও এটি কার্যকর হবে আগামী জুলাইয়ে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছর থেকে। শিক্ষকেরা আগামী তিন বছরে তিন ভাগে জাতীয়করণের পুরো টাকা পাবেন।
রূপরেখায় বলা হয়েছে, জাতীয়করণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত অবস্থা ও পাঠদান-পরিস্থিতি বাস্তব যাচাই করে জাতীয়করণের উপযুক্ত বিদ্যালয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে যাচাই কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের ভূমি, অবকাঠামো, অন্যান্য সম্পত্তি, দায়-দেনা ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা সম্পর্কে জুলাইয়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করবে। এই কমিটির তথ্য পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত জেলা কমিটি আগস্টের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
জেলা কমিটির সুপারিশ বিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করে রূপরেখায় বলা হয়, টাস্কফোর্স দৈবচয়ন ভিত্তিতে ন্যূনতম ২ শতাংশ বিদ্যালয়ে নমুনা জরিপ করে জাতীয়করণযোগ্য বিদ্যালয়ের তালিকা সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করবে।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, খসড়া রূপরেখার এসব সময় ও বিষয় চূড়ান্ত পর্যায়ে কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে।
রূপরেখা অনুযায়ী সাধারণভাবে অধিগ্রহণকৃত প্রত্যেক বিদ্যালয়ের জন্য একজন প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষককে জাতীয়করণের জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে পঞ্চম শিক্ষকের পদ ইতিমধ্যে সৃজিত আছে এমন বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পাঁচজন শিক্ষক বিবেচনা করা হবে।
জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ও আত্তীকরণের সুবিধার্থে ‘দ্য প্রাইমারি স্কুলস (টেকিং ওভার) অ্যাক্ট ১৯৭৪’ এর অধীনে একটি বিধিমালা করতে হবে। এই বিধিমালায় প্রথমে শিক্ষকদের অস্থায়ী (এডহক) ভিত্তিতে নিয়োগ ও পরে অস্থায়ী নিয়োগ নিয়মিতকরণের বিধান থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরির নিয়ম রক্ষার জন্য প্রথমে অস্থায়ী নিয়োগ দিয়ে নিয়মিত করা হবে। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
রূপরেখায় বলা হয়, নির্ধারিত যোগ্যতা নেই এমন শিক্ষকদের অস্থায়ী নিয়োগের পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ধারাবাহিকভাবে ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব সময়ব্যাপী শিক্ষকতায় নিয়োজিত অথবা বয়স ৪৫ বছর অতিক্রমকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
নির্ধারিত সময়ে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ শিক্ষকদের অস্থায়ী নিয়োগ নিয়মিতকরণ বা চাকরির বিষয়ে ১৯৭৩ সালের জাতীয়করণসহ পরবর্তী জাতীয়করণের ক্ষেত্রে অনুসৃত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রূপরেখা অনুযায়ী, কম বা বেশি বয়সে যোগদানের কারণে কাউকে এডহক নিয়োগের অযোগ্য বিবেচনা করা যাবে না।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত নিবন্ধনকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২২ হাজার ৯৬১টি। এ ধরনের বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৩৯ জন। তবে কমিউনিটিসহ সমপর্যায়ের আরও কয়েক হাজার বিদ্যালয় আছে। সব মিলিয়ে শিক্ষক হবে প্রায় এক লাখ।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এম এম নিয়াজউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় আজকের সভায় রূপরেখাসহ জাতীয়করণের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
খসড়া রূপরেখা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া স্থায়ী বা অস্থায়ী নিবন্ধন পাওয়া ও পাঠদানের অনুমতি পাওয়া বিদ্যালয়সহ বর্তমানে চালু থাকা সব কমিউনিটি ও এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। তবে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান চালু নেই এমন এমপিওবহির্ভূত বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয় সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি সংস্থার নিজস্ব উদ্যোগে স্থাপিত ও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীন বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে জাতীয়করণের প্রযোজ্যতা সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে।
আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এই কমিটি গত ২৯ মে গঠন করা হয়েছিল। এর আগে ২৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বেসরকারি নিবন্ধিত (রেজিস্টার্ড) ও কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আশ্বাস দেন।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে কিছু দেরি হলেও এটি কার্যকর হবে আগামী জুলাইয়ে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছর থেকে। শিক্ষকেরা আগামী তিন বছরে তিন ভাগে জাতীয়করণের পুরো টাকা পাবেন।
রূপরেখায় বলা হয়েছে, জাতীয়করণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত অবস্থা ও পাঠদান-পরিস্থিতি বাস্তব যাচাই করে জাতীয়করণের উপযুক্ত বিদ্যালয়ের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে যাচাই কমিটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিদ্যালয়ের ভূমি, অবকাঠামো, অন্যান্য সম্পত্তি, দায়-দেনা ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা সম্পর্কে জুলাইয়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করবে। এই কমিটির তথ্য পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত জেলা কমিটি আগস্টের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
জেলা কমিটির সুপারিশ বিবেচনার জন্য কেন্দ্রীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ করে রূপরেখায় বলা হয়, টাস্কফোর্স দৈবচয়ন ভিত্তিতে ন্যূনতম ২ শতাংশ বিদ্যালয়ে নমুনা জরিপ করে জাতীয়করণযোগ্য বিদ্যালয়ের তালিকা সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করবে।
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, খসড়া রূপরেখার এসব সময় ও বিষয় চূড়ান্ত পর্যায়ে কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে।
রূপরেখা অনুযায়ী সাধারণভাবে অধিগ্রহণকৃত প্রত্যেক বিদ্যালয়ের জন্য একজন প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষককে জাতীয়করণের জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে পঞ্চম শিক্ষকের পদ ইতিমধ্যে সৃজিত আছে এমন বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পাঁচজন শিক্ষক বিবেচনা করা হবে।
জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ও আত্তীকরণের সুবিধার্থে ‘দ্য প্রাইমারি স্কুলস (টেকিং ওভার) অ্যাক্ট ১৯৭৪’ এর অধীনে একটি বিধিমালা করতে হবে। এই বিধিমালায় প্রথমে শিক্ষকদের অস্থায়ী (এডহক) ভিত্তিতে নিয়োগ ও পরে অস্থায়ী নিয়োগ নিয়মিতকরণের বিধান থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরির নিয়ম রক্ষার জন্য প্রথমে অস্থায়ী নিয়োগ দিয়ে নিয়মিত করা হবে। এটা কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
রূপরেখায় বলা হয়, নির্ধারিত যোগ্যতা নেই এমন শিক্ষকদের অস্থায়ী নিয়োগের পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জনের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে ধারাবাহিকভাবে ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব সময়ব্যাপী শিক্ষকতায় নিয়োজিত অথবা বয়স ৪৫ বছর অতিক্রমকারী শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এ শর্ত শিথিল করা যেতে পারে।
নির্ধারিত সময়ে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ শিক্ষকদের অস্থায়ী নিয়োগ নিয়মিতকরণ বা চাকরির বিষয়ে ১৯৭৩ সালের জাতীয়করণসহ পরবর্তী জাতীয়করণের ক্ষেত্রে অনুসৃত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তার আলোকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রূপরেখা অনুযায়ী, কম বা বেশি বয়সে যোগদানের কারণে কাউকে এডহক নিয়োগের অযোগ্য বিবেচনা করা যাবে না।
মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত নিবন্ধনকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২২ হাজার ৯৬১টি। এ ধরনের বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৮৩৯ জন। তবে কমিউনিটিসহ সমপর্যায়ের আরও কয়েক হাজার বিদ্যালয় আছে। সব মিলিয়ে শিক্ষক হবে প্রায় এক লাখ।
No comments