ভূস্বর্গ ভ্রমণে... by ইউসুফ আল-মামুন
ভূস্বর্গ বলে কথা! যেখানে এসে স্বয়ং মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর নাকি বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে যদি কোথাও স্বর্গ থাকে, তবে তা এখানেই আছে, এখানেই আছে এবং এখানেই আছে।’ এমন জায়গায় কে না যেতে চায়? সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাত হাজার ফুট ওপরে সবুজ উপত্যকা আর শান্ত হ্রদে ঘেরা কাশ্মীরে এসে আপনার কাছে মনে হবে, সময়টা বুঝি
হঠাৎ থেমে গেছে। সবকিছু ছবির মতো। কোটি কোটি বুনো ফুলে ঢাকা উপত্যকায় ছুটে বেড়ানো ঘোড়ার দল, পাইন, ফার, বার্চগাছের সারি, নীল আকাশে মাথা গুঁজে থাকা পর্বতজুড়ে মেঘেদের খেলা, সেখান থেকে নেমে আসা দুরন্ত ঝরনার নাচ, পর্বতমালার ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলা রাস্তা, কখনো মাটি থেকে হাজার হাজার ফুট ওপরে, কখনো বা ঢাল বেয়ে সটান নিচে, কখনো ঘুটঘুটে অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভেতরে, আবার কখনো রাস্তার ধারালো বাঁকে গভীর গিরিখাদের নিচে উন্মত্ত পাহাড়ি নদী। সব মিলিয়ে যেন একটা স্বপ্ন দেখার মতো অভিজ্ঞতা।
কীভাবে যাবেন?
চাইলে পুরোটা পথই পাড়ি দিতে পারেন আকাশপথে। কলকাতা থেকে শ্রীনগর রুটে প্রতিদিন চলাচল করে কিংফিশার এয়ারলাইনসের বিমান। এ ছাড়া আছে ইনডিগো এবং স্পাইসজেট। ঢাকা থেকেও রয়েছে দিল্লি হয়ে শ্রীনগরগামী জেট এয়ারলাইনসের ফ্লাইট। ট্রেনেও যেতে পারেন। কলকাতা থেকে সরাসরি রয়েছে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস। চিৎপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিনই ছাড়ে এ ট্রেন। জম্মু পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ ঘণ্টা। এরপর জম্মু থেকে ফোর হুইল জিপে শ্রীনগর, প্রায় আট ঘণ্টার রাস্তা। কলকাতার হাওড়া স্টেশন থেকেও জম্মুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় হিমগিরি এক্সপ্রেস শুক্র, শনি আর মঙ্গলবার। এতে সময় লাগে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। এ ছাড়া কলকাতা থেকে অমৃতসর অভিমুখে যায় আরও চারটি ট্রেন। এর কোনো একটায় উঠে পড়তে পারেন। কারণ, অমৃতসর থেকে সড়কপথে শ্রীনগরের দূরত্ব মাত্র ২৭২ কিলোমিটার। এখানে বলে রাখি, সড়ক আর রেলপথ মিলিয়ে কলকাতা আর শ্রীনগরের মধ্যে দূরত্ব দুই হাজার কিলোমিটারের বেশি। জম্মু থেকে শ্রীনগর সরাসরি রেলের যোগাযোগ নেই।
কোথায় থাকবেন, কী দেখবেন?
রাজকীয় আনন্দটা নিতে চাইলে আপনাকে অন্তত একটা রাত কাটাতে হবে বোটহাউসে। শ্রীনগর শহর ঘিরে আছে প্রায় ২৬ বর্গকিলোমিটার ডাল লেকের স্বচ্ছ পানি। এই হ্রদের তীর ঘেঁষে ভেসে আছে সারি সারি বোটহাউস। দেখতে ছোটখাটো লঞ্চের মতো। তবে পুরোটাই অত্যন্ত দামি কাঠের তৈরি। দেয়ালে আর সিলিংয়ে কাঠের সূক্ষ্ম নকশার কাজ দেখে বোঝা যায় এর শিল্পমূল্য। বারান্দা, ড্রয়িংরুম, ডাইনিংরুম, বেডরুম সবই আছে বোটহাউসে। মেঝেতে বিছানো কাশ্মীরি গালিচা, সিলিংয়ে ঝাড়বাতি আর জানালায় ঝুলে থাকা পশমিনা শালের পর্দা আপনাকে জানান দেবে উষ্ণ আতিথেয়তার। আর বোটহাউসের বারান্দায় বসে যদি আকাশে মিলে যায় পূর্ণিমার চাঁদ, তাহলে তো কথাই নেই।
পরদিন সকালে বেরিয়ে পড়ুন সারা দিন সময় হাতে নিয়ে। প্রথমেই ঘুরে নিতে পারেন ডাল লেক। রাজকীয় ডিঙি নৌকা, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে ‘শিকারা’, তাতে চড়ে চক্কর দিতে পারেন ডাল লেকের অলিগলি, দেখে নিতে পারেন নেহরু পার্ক, ভাসমান পোস্ট অফিস, চাঁদনি চক আর বাজার, যেখানে রকমারি পসরা সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় অধিবাসীরা। শ্রীনগরে দেখার মতো আরও আছে ইন্দিরা গান্ধী টিউলিপ গার্ডেন, চশমা শাহি, নিশাত গার্ডেন আর শালিমারবাগের মতো বড় বাগান, যেখানে শানবাঁধানো পাহাড়ি ঝরনা থেকে পড়ছে অবিরাম জলধারা আর বাগান রাঙিয়ে আছে হাজারো ফুলের গাছ। এখানে আরও আছে পরিমহল, মানসবাল লেক, নাগিন লেক, ঐতিহাসিক চারার-ই-শরিফ ও হজরতবাল মসজিদ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঝিলম নদী এবং শ্রী প্রতাপ সিং মিউজিয়াম।
হাতে দিন দুয়েক সময় থাকলে একদিন বেরিয়ে পড়ুন গুলমার্গের উদ্দেশে। বাসে দুই ঘণ্টার যাত্রা। বরফাচ্ছাদিত পর্বতে কেবল কারে চড়ে দেখে নিতে পারেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর সীমান্ত। ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন চেরি অরচার্ড, পাইন ফরেস্ট কিংবা মিশন কাশ্মীর সিনেমার শুটিং স্পট। এ ছাড়া এখানে রয়েছে আরও অনেক রকম বিনোদনের ব্যবস্থা।
শ্রীনগর থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে নদী-উপত্যকাশোভিত প্যাহেলগাম, সিন্ধু উপত্যকায় সৌন্দর্যের লীলাভূমি সোনমার্গ, ঝিলম নদীর উৎস ভেরিনাগ লেক, হরি পর্বত ইত্যাদি। আরও দূরে যেতে চাইলে আছে লেহ্ লাদাখ কিংবা কারগিল।
খরচাপাতি
ঢাকা-শ্রীনগর প্লেনে আসা-যাওয়ার খরচ ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পড়বে। সড়ক ও রেলপথে এ খরচ জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে হবে। হোটেলে ডাবল বেডের নন-এসি রুম দেড় থেকে দুই হাজার আর এসি রুম আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। বোটহাউসে চারজনের পরিবার নিয়ে এক রাত কাটাতে আপনাকে গুনতে হবে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা। আপনার বাকি খরচ নির্ভর করবে ঘোরাঘুরি, খাওয়া আর কেনাকাটার পরিমাণের ওপর। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কোনো প্যাকেজ ট্যুর নিতে পারেন। তাতে খরচ কম পড়বে আর দলের সঙ্গে ঘোরার আনন্দটা উপভোগ করতে পারবেন।
কখন যাবেন
বসন্ত আর গ্রীষ্ম মিলিয়ে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়টা সবচেয়ে ভালো কাশ্মীর বেড়ানোর। জুলাই-আগস্ট বর্ষাকাল বলে এ সময়টা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, পিচ্ছিল রাস্তা আর ভূমিধসের ফলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে পারেন। তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর শরৎকাল। ভ্রমণের জন্য এটাও ভালো সময়। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কে। বরফ জমে, তুষারপাতে জনজীবন অচল হয়ে যায়। এ সময় লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়ে। জরুরি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হয় না। রাজধানী এ সময় চলে আসে জম্মুতে। এ বছর যেতে চাইলে প্রস্তুতি নিন এখনই।
পরামর্শ
সঙ্গে একটি ম্যাপ এবং তথ্যকণিকা রাখুন। দালালের খপ্পরে পড়বেন না। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন। ট্রাভেল এজেন্ট বা টিকিট কাউন্টার ছাড়া অন্য কোথাও থেকে টিকিট নেবেন না। হোটেল ও ট্যাক্সি রিজার্ভেশনে দর-কষাকষি করুন, খরচ কমবে। হালকা গরম কাপড় সঙ্গে রাখুন। কারণ, কাশ্মীরে দিনে গরম থাকলেও রাতে একটু ঠান্ডা পড়ে। যোগাযোগের প্রয়োজনে মোবাইলে ফোনে একটা সিম কার্ড ভরে নিন। এর জন্য পাসপোর্টের ফটোকপি ও আপনার এক কপি ছবি লাগবে। মনে রাখবেন, পাসপোর্টই আপনার সবচেয়ে বড় সহায়ক। প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে প্রদর্শন করুন।
কীভাবে যাবেন?
চাইলে পুরোটা পথই পাড়ি দিতে পারেন আকাশপথে। কলকাতা থেকে শ্রীনগর রুটে প্রতিদিন চলাচল করে কিংফিশার এয়ারলাইনসের বিমান। এ ছাড়া আছে ইনডিগো এবং স্পাইসজেট। ঢাকা থেকেও রয়েছে দিল্লি হয়ে শ্রীনগরগামী জেট এয়ারলাইনসের ফ্লাইট। ট্রেনেও যেতে পারেন। কলকাতা থেকে সরাসরি রয়েছে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস। চিৎপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিনই ছাড়ে এ ট্রেন। জম্মু পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ ঘণ্টা। এরপর জম্মু থেকে ফোর হুইল জিপে শ্রীনগর, প্রায় আট ঘণ্টার রাস্তা। কলকাতার হাওড়া স্টেশন থেকেও জম্মুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় হিমগিরি এক্সপ্রেস শুক্র, শনি আর মঙ্গলবার। এতে সময় লাগে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। এ ছাড়া কলকাতা থেকে অমৃতসর অভিমুখে যায় আরও চারটি ট্রেন। এর কোনো একটায় উঠে পড়তে পারেন। কারণ, অমৃতসর থেকে সড়কপথে শ্রীনগরের দূরত্ব মাত্র ২৭২ কিলোমিটার। এখানে বলে রাখি, সড়ক আর রেলপথ মিলিয়ে কলকাতা আর শ্রীনগরের মধ্যে দূরত্ব দুই হাজার কিলোমিটারের বেশি। জম্মু থেকে শ্রীনগর সরাসরি রেলের যোগাযোগ নেই।
কোথায় থাকবেন, কী দেখবেন?
রাজকীয় আনন্দটা নিতে চাইলে আপনাকে অন্তত একটা রাত কাটাতে হবে বোটহাউসে। শ্রীনগর শহর ঘিরে আছে প্রায় ২৬ বর্গকিলোমিটার ডাল লেকের স্বচ্ছ পানি। এই হ্রদের তীর ঘেঁষে ভেসে আছে সারি সারি বোটহাউস। দেখতে ছোটখাটো লঞ্চের মতো। তবে পুরোটাই অত্যন্ত দামি কাঠের তৈরি। দেয়ালে আর সিলিংয়ে কাঠের সূক্ষ্ম নকশার কাজ দেখে বোঝা যায় এর শিল্পমূল্য। বারান্দা, ড্রয়িংরুম, ডাইনিংরুম, বেডরুম সবই আছে বোটহাউসে। মেঝেতে বিছানো কাশ্মীরি গালিচা, সিলিংয়ে ঝাড়বাতি আর জানালায় ঝুলে থাকা পশমিনা শালের পর্দা আপনাকে জানান দেবে উষ্ণ আতিথেয়তার। আর বোটহাউসের বারান্দায় বসে যদি আকাশে মিলে যায় পূর্ণিমার চাঁদ, তাহলে তো কথাই নেই।
পরদিন সকালে বেরিয়ে পড়ুন সারা দিন সময় হাতে নিয়ে। প্রথমেই ঘুরে নিতে পারেন ডাল লেক। রাজকীয় ডিঙি নৌকা, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে ‘শিকারা’, তাতে চড়ে চক্কর দিতে পারেন ডাল লেকের অলিগলি, দেখে নিতে পারেন নেহরু পার্ক, ভাসমান পোস্ট অফিস, চাঁদনি চক আর বাজার, যেখানে রকমারি পসরা সাজিয়ে বসেছে স্থানীয় অধিবাসীরা। শ্রীনগরে দেখার মতো আরও আছে ইন্দিরা গান্ধী টিউলিপ গার্ডেন, চশমা শাহি, নিশাত গার্ডেন আর শালিমারবাগের মতো বড় বাগান, যেখানে শানবাঁধানো পাহাড়ি ঝরনা থেকে পড়ছে অবিরাম জলধারা আর বাগান রাঙিয়ে আছে হাজারো ফুলের গাছ। এখানে আরও আছে পরিমহল, মানসবাল লেক, নাগিন লেক, ঐতিহাসিক চারার-ই-শরিফ ও হজরতবাল মসজিদ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ঝিলম নদী এবং শ্রী প্রতাপ সিং মিউজিয়াম।
হাতে দিন দুয়েক সময় থাকলে একদিন বেরিয়ে পড়ুন গুলমার্গের উদ্দেশে। বাসে দুই ঘণ্টার যাত্রা। বরফাচ্ছাদিত পর্বতে কেবল কারে চড়ে দেখে নিতে পারেন পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর সীমান্ত। ঘোড়ায় চড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন চেরি অরচার্ড, পাইন ফরেস্ট কিংবা মিশন কাশ্মীর সিনেমার শুটিং স্পট। এ ছাড়া এখানে রয়েছে আরও অনেক রকম বিনোদনের ব্যবস্থা।
শ্রীনগর থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে নদী-উপত্যকাশোভিত প্যাহেলগাম, সিন্ধু উপত্যকায় সৌন্দর্যের লীলাভূমি সোনমার্গ, ঝিলম নদীর উৎস ভেরিনাগ লেক, হরি পর্বত ইত্যাদি। আরও দূরে যেতে চাইলে আছে লেহ্ লাদাখ কিংবা কারগিল।
খরচাপাতি
ঢাকা-শ্রীনগর প্লেনে আসা-যাওয়ার খরচ ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পড়বে। সড়ক ও রেলপথে এ খরচ জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে হবে। হোটেলে ডাবল বেডের নন-এসি রুম দেড় থেকে দুই হাজার আর এসি রুম আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। বোটহাউসে চারজনের পরিবার নিয়ে এক রাত কাটাতে আপনাকে গুনতে হবে পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা। আপনার বাকি খরচ নির্ভর করবে ঘোরাঘুরি, খাওয়া আর কেনাকাটার পরিমাণের ওপর। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কোনো প্যাকেজ ট্যুর নিতে পারেন। তাতে খরচ কম পড়বে আর দলের সঙ্গে ঘোরার আনন্দটা উপভোগ করতে পারবেন।
কখন যাবেন
বসন্ত আর গ্রীষ্ম মিলিয়ে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সময়টা সবচেয়ে ভালো কাশ্মীর বেড়ানোর। জুলাই-আগস্ট বর্ষাকাল বলে এ সময়টা এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, পিচ্ছিল রাস্তা আর ভূমিধসের ফলে বাড়তি ঝামেলায় পড়তে পারেন। তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর শরৎকাল। ভ্রমণের জন্য এটাও ভালো সময়। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কে। বরফ জমে, তুষারপাতে জনজীবন অচল হয়ে যায়। এ সময় লোকজন কর্মহীন হয়ে পড়ে। জরুরি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের হয় না। রাজধানী এ সময় চলে আসে জম্মুতে। এ বছর যেতে চাইলে প্রস্তুতি নিন এখনই।
পরামর্শ
সঙ্গে একটি ম্যাপ এবং তথ্যকণিকা রাখুন। দালালের খপ্পরে পড়বেন না। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন। ট্রাভেল এজেন্ট বা টিকিট কাউন্টার ছাড়া অন্য কোথাও থেকে টিকিট নেবেন না। হোটেল ও ট্যাক্সি রিজার্ভেশনে দর-কষাকষি করুন, খরচ কমবে। হালকা গরম কাপড় সঙ্গে রাখুন। কারণ, কাশ্মীরে দিনে গরম থাকলেও রাতে একটু ঠান্ডা পড়ে। যোগাযোগের প্রয়োজনে মোবাইলে ফোনে একটা সিম কার্ড ভরে নিন। এর জন্য পাসপোর্টের ফটোকপি ও আপনার এক কপি ছবি লাগবে। মনে রাখবেন, পাসপোর্টই আপনার সবচেয়ে বড় সহায়ক। প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে প্রদর্শন করুন।
কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য কোনো ধরণের permission এর দরকার পড়বে কি? আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমি যাচ্ছি। entry ও permission এর ব্যপারে কোনো constraint আছে কিনা জানালে খুব উপকৃত হব।ধন্যবাদ।
ReplyDeletemiblack_shu@yahoo.com
এখানেইত অনেক তথ্য পেয়ে গেলেন!!
Delete