আইনের কঠোর প্রয়োগ ও সামাজিক প্রতিরোধ চাই-অপ্রতিরোধ্য বখাটেরা
বখাটেদের দৌরাত্ম্য থামছেই না। নাটোরের মিজানুর রহমান ও ফরিদপুরের চাঁপা রানী ভৌমিকের পর এবার বখাটেদের হাতে প্রাণ হারালেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ৭০ বছরের বৃদ্ধ আবদুস সোবহান। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া নাতনিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তাঁকে মেরে ফেলা হলো।
অন্যদিকে, রংপুরের বদরগঞ্জে বখাটেদের হামলায় আহত হয়ে এখন হাসপাতালে ছটফট করছে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী। গত শনি ও রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে উত্ত্যক্তের অভিযোগে ১১ জনকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় যেমন বখাটেদের অপ্রতিরোধ্য দাপট, তেমনি নারীর জন্য সামাজিক পরিসরে যে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
নারীকে উত্ত্যক্ত করা একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যখন নারী ও পুরুষের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বাধাগুলো একে একে সরে যাচ্ছে, তখন নারীর প্রতি এ ধরনের সহিংসতা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগজনক। একজন পুরুষ যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে পথে চলতে পারে, নারী যদি তার পথচলায় সেই আত্মবিশ্বাস না পায়, তাহলে সামাজিক অর্জনগুলো মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে নারীর পথচলার মতো মৌলিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত এই উত্ত্যক্ততা। এটি নারীর প্রতি লিঙ্গীয় সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়।
এ ধরনের সহিংসতার সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে অল্প বয়সী নারী। বয়সজনিত নাজুকতার কারণে এরা বেশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়, অন্যদিকে তাদের ওপর প্রভাবও পড়ে মারাত্মক। তারা সহজে ঘাবড়ে যায়। শারীরিক আঘাতের চেয়ে ভয়াবহ আঘাত লাগে মনে। বখাটেদের নির্যাতন, ত্রাস সৃষ্টিজনিত মানসিক ক্ষতির কারণে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি।
যেকোনো সামাজিক ব্যাধির পেছনেই নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত থাকে। তবে যে সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা সেসব ব্যাধির মূলে, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া সমাধানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বখাটেদের দাপটের মূল উৎস সমাজের বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব। সুশিক্ষা ও সুষ্ঠু সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে একে পরাস্ত করতে হবে।
আমাদের সমাজে যত দিন দুর্বৃত্তরা নারীকে লাঞ্ছিত করে, তার জীবন ধ্বংস করে পার পেয়ে যেতে পারে, তত দিন নারীর জন্য সামাজিক পরিসর নিরাপদ হবে না। যারা বখাটেদের অত্যাচারের শিকার, তাদের সুরক্ষা ও সহায়তা দেওয়া এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া সমাজ ও রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব।
নারীকে উত্ত্যক্ত করা একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। যখন নারী ও পুরুষের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বাধাগুলো একে একে সরে যাচ্ছে, তখন নারীর প্রতি এ ধরনের সহিংসতা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগজনক। একজন পুরুষ যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে পথে চলতে পারে, নারী যদি তার পথচলায় সেই আত্মবিশ্বাস না পায়, তাহলে সামাজিক অর্জনগুলো মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে নারীর পথচলার মতো মৌলিক অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত এই উত্ত্যক্ততা। এটি নারীর প্রতি লিঙ্গীয় সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়।
এ ধরনের সহিংসতার সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে অল্প বয়সী নারী। বয়সজনিত নাজুকতার কারণে এরা বেশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়, অন্যদিকে তাদের ওপর প্রভাবও পড়ে মারাত্মক। তারা সহজে ঘাবড়ে যায়। শারীরিক আঘাতের চেয়ে ভয়াবহ আঘাত লাগে মনে। বখাটেদের নির্যাতন, ত্রাস সৃষ্টিজনিত মানসিক ক্ষতির কারণে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি।
যেকোনো সামাজিক ব্যাধির পেছনেই নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত থাকে। তবে যে সামাজিক-রাজনৈতিক বাস্তবতা সেসব ব্যাধির মূলে, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া সমাধানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বখাটেদের দাপটের মূল উৎস সমাজের বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব। সুশিক্ষা ও সুষ্ঠু সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে একে পরাস্ত করতে হবে।
আমাদের সমাজে যত দিন দুর্বৃত্তরা নারীকে লাঞ্ছিত করে, তার জীবন ধ্বংস করে পার পেয়ে যেতে পারে, তত দিন নারীর জন্য সামাজিক পরিসর নিরাপদ হবে না। যারা বখাটেদের অত্যাচারের শিকার, তাদের সুরক্ষা ও সহায়তা দেওয়া এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া সমাজ ও রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব।
No comments